Tuesday, September 25, 2018

শরত তোমার অরুণ আলোর অঞ্জলি

চেকাপের জন্য রাস্তায় বেরিয়ে কি আহ্লাদ যে হলো কী আর বলি। শরতের রোদে ধোয়া আকাশ, প্যান্ডেলের বাঁশ বাঁধা চলছে। রাস্তায় হরেক কিসিমের লোক। জুতো জামা পরে আপিস যাচ্ছে কেউ তো কেউ সাইকেল নিয়ে কোথায় যেন যাচ্ছে।  এসিটা অফ করে জানলার কাচ নামিয়ে দিতে বলব? বাইরের হাওয়া খেতে ইচ্ছে করছে বেজায়। আচ্ছা থাকগে বললে যদি না করে দেয় দুঃখ হবে, আজ বেশ ঝলমলে দিন আজ দুঃখ পাওয়া যাবে না। 

ভিয়াইপির ধারে বড় বড় গাছ গুলোয় কি করেছে কে জানে পাতা টাতা ঝরিয়ে দাঁড়িয়ে আছে কেমন মনমরা হয়ে। এমন পুজো পুজো দিনে কারো মন খারাপ হলে ভাল্লাগেনা, ওর পাতা গজিয়ে যাক প্লিজ। আরে এই গাছটায় কচি কচি সবুজ দেখা যাচ্ছে না? হ্যাঁ হ্যাঁ। আরে আরে এই গাছটায় তো অনেক সবুজ পাতা জন্মেছে, "প্রাণ আছে এখনো প্রাণ আছে"।  মন ভালো দিন। 

এইরে গাড়িটা বেমক্কা ঘোরাচ্ছে কেন? যাকগে আমার কি, আমার বরং ভালো। বেশী বেশী ঘোরা যাবে। হাঁ করে করে বাইরের দিকে চেয়ে চেয়ে গাছ দেখছি,  ফ্লাইওভার থেকে একটা বাড়ির মাথায় লেখা উচ্চ বিদ্যালয় লেখা দেখছি, আরিব্বাস ওই বাড়িটার ছাদে কত্ত গাছ লাগিয়েছে। একটা গন্ধরাজ ফুলের গাছ লাগাবো বাড়িতে। 

ডাক্তার আসেনি, মাকে বললাম এই পাশের দোকানে চা খেয়ে আসছি একটু। একটা চা দেবেন দাদা? বলে, যেই গোল নোনতা বিস্কুট নিতে গেছি, 'আমায় বলো কি চাই, হাত দিচ্ছো কেন'!  আমি কি চোর নাকি! খাবোই না শালা তোর দোকানে। বললাম, ও তাই, আচ্ছা থ্যাংক ইউ আমার লাগবে না চা। 

রেগে গিয়ে গটমট করে হেঁটে এগিয়েছি। নাহ, রাগ করে মেজাজ খারাও করা যাবে না। আরে এই মিষ্টির দোকানটায় ঢুঁ মারি তো। আরিব্বাস রে পোস্তকদম্ব মানে বহরমপুরের রসকদম্ব।  
আমদই দেখছি,  বাহ বাহ। মা দইবড়া ভালোবাসে, কালাকাঁদটা ভালো মনে হচ্ছে। বাহ বেশ উজ্জ্বল আবিষ্কার হলো তো আজ। 

মিষ্টির প্যাকেট হাতে নিয়ে দেখি আকাশে একটা লাল ঘুড়ি উড়ছে, বেশী উঁচুতে ওড়েনি তখনো৷ এখনো ল্যাতপ্যাত করছে কিন্তু ওড়াচ্ছে যে ছানাটা তার মুখের ভাব বলেই দিচ্ছে আজ আকাশে নীল লাল সব রঙের ছবিই আঁকা হবে। 

আজ রঙের মেলার দিন। আজ তো হবেই। 😊😊

No comments:

Post a Comment