Sunday, November 5, 2017

শীত আসছে

শীত আসছে....মানে কোলকাতার শীত আর কি। কোলকাতার বাইরে সব্বাই শুনে যাকে খিল্লি করে সেই শীত। অবশ্য কোলকাতার সব কিছু নিয়েই তো তামাশা চলে আজকাল, গরীব আত্মীয় বড়লোকের ড্রয়িংরুমে যেমন। তাও কাঁথার আরামের মতোই কোলকাতার মায়া জড়িয়ে রাখে, বড় মায়া হে এ শহর ছাড়িয়ে মাঠ রাস্তা সব খানেই ছড়িয়ে থাকে টুক করে তুলে আনিলেই হয়। অন্য বড় শহরে রাজ্যে প্রদেশেও এরকমই মায়া ছড়িয়ে থাকে হয়ত আমি জানি না আসলে। ঘুরতে গিয়ে না,  কোনো জায়গায় না থাকলে তো তার সঙ্গে বোঝাপড়া তৈরী হয়না, যে সম্পর্কে খালি মন রাখা থাকে, ঝগড়াঝাঁটি রাগারাগি চলে না সে সম্পর্কে ফাঁক রয়ে যায় কিনা।
এই শীতের শুরুতেই কোন কালের শীতের হাওয়া এসে ঝাপটা মারছে। সেই মাফলার জড়ানো বিকেল, ঠান্ডা ঠান্ডা ভাত, দুপুরে ছাদে কমলালেবু,  কিংবা কোনো দুপুরে মাঠে মাঠে ঘুরে বেরানো। লেপের ওম পেতে গেলে আগে একটু সময় দিতে হয়, একটু সময় দিলেই ওম তৈরী হয়ে যায়। আজকাল লেপের দরকার পড়ে না, অত সময় কে দেবে ওম তৈরী করার মতো।

একটা বিড়াল ছিলো, পোষা না ঠিক, খালি আমার পাতেরটুকু পেত, সেই বিড়ালটাই না কোন বিড়ালটা কে জানে ভোরের দিকে এসে লেপের উপর গুটলী মেরে শুয়ে থাকতো আর ভারী চমৎকার উষ্ণতা তৈরী হতো। তিনতলার ঘরের ছাদের সিঁড়ি ছিলো না,  মই দিয়ে দিয়ে উঠতে হতো, শীতের দুপুরে একা একা সেই ছাদে উঠে বসে থাকতাম, মানে ঠিক একাও না, আশেপাশের সব ছাদেই কেউ না কেউ আছে।
আলু বসানো হবে, আলু গাছ হবে, আল বেয়ে বেয়ে জল ছড়িয়ে যাবে এগাছ থেকে সে গাছ,  কোদালে মাটি ওলটপালট হবে, আমি মাটির গন্ধ হীন এক জগতে বসে থাকবো......আমার আল কেটে দেওয়া হবে না, নোংরা জল ঘাঁটা হবেনা, মাটি মাখা হবে না, বাড়ি এসে টিউবওয়েল এর উষ্ণ জলে কাদা ধুয়ে নেওয়া হবে না।
শীতকালের দুপুরের হাওয়ায় বড্ড টান....চামড়া ফাটিয়ে দেয়।