Sunday, June 14, 2015

নানারকম ৪


 আমি বুড়ো কক্ষনো হবনা এমন কথা হামেশাই বলি আমরা। কিন্তু খেয়াল রাখিনা অজান্তেই আমাদের হাঁটুর জোর কেমন কমে যায়, কিংবা সেই ছোটবেলা থেকেই তো।সাবধানী , ভিতু ভিতু।সে যাই হোক বুড়ো হতে হলে এরকম ভাবেই হওয়া উচিত মানে আমার মতে। কোলোরাডো  ন্যাশনাল মনুমেন্টে  দেখেছিলাম দুই বুড়ো বুড়ি চেয়ার পেতে বসেছেন। সামনে নীল আকাশ ঝকঝক করছে। খানিকটা এগুলোতেই গিরিখাতটা শেষ হয়ে নেমে গেছে।ভদ্রমহিলাটি ছবি আঁকছেন আনমনে। আঁকার পর ভদ্রলোককে দেখালেন , তিনি কিছু বললেন আর  তারপর দুজনেই হেসে উঠলেন। সেই ম্যাজিক দিন গুলোর কথা দুজনে কেউ ভোলেননি একটুও। 



ওখানেই অন্য একটা পয়েন্ট এ দেখেছিলাম আর এক আঁকিয়েকে। এক মনে তুলিতে ফুটিয়ে তুলেছে সামনের আকাশ।
এরা ঘুরতে আসে অনেকটা রিলাক্স করে।  আমাদের মত আজ রাতে পাহাড়ে উঠলাম ,ভোরে নেমে মন্দির এর আর্কিটেকচার একবার চোখ বুলিয়ে মূল্যবান মতামত দিয়ে  দুপুরে সমুদ্রে ডাইভ দিয়ে বিকেলে অমুকের বিখ্যাত খাবার খেয়ে এবং বেঁধে, সন্ধ্যেবেলা পিসেমশাইয়ের জেঠতুতো বোনের ননদের জন্য উপহার কিনে তবে রাতের ট্রেন ধরবো এরকম না।
মনুমেন্ট এর কোনো একটা রিম এর উপর শুয়ে সারা সকাল দুপুর কাটিয়ে দেবে।
আমি ক্যালিফর্নিয়াতে একটা লোককে দেখেছিলাম যে রোজ সে একটি বিশেষ জায়গা থেকে  পাহাড় সমুদ্রের ওই ছবিটা আঁকতে আসত, একই ছবি খাতায় আঁকত আর ছিড়ত , সে অবশ্য খেয়ালী শিল্পী। নিচের ভদ্রলোক তা না অবশ্যই



এই সব জায়গা গুলো যখন ঘুরতে যাই দেখেছি একদল বাইসাইক্লিস্ট ওই চড়াই উতরাই ভেঙ্গে চলেছে। বাপস কি খায় এরা কে জানে। হেঁটে উঠতেই যাকে বলে জিভ বেরিয়ে যাবার হাল। আর এরা দিব্বি ওই খাড়া পাহাড় সাইকেলে করে ঘুরছে।  আমরা যেদিন মনুমেন্ট গেছিলাম ঐদিন ছিল মেমোরিয়াল ডে , একদল চির যুবক, বয়েসে হয়ত বুড়ো, বেরিয়েছিল একই ধরনের গাড়ি নিয়ে। দিব্বি লাগছিল দেখতে, একইরকম গাড়ি নিয়ে একসাথে এতজন প্রানবন্ত মানুষ দেখতে 


এদেশের কুকুরদের রাজার জীবন , সত্যি! তুষারপাতের সময়েও তাদের নিয়ে বেড়াতে যেতে হয়।  দেখি দুজন বয়স্ক-বয়স্কা  হার্লে  নিয়ে বেড়িয়েছে , একজনের কুকুর তার গলার ঝোলার মধ্যে, কুকুরের চোখে সানগ্লাস, আর তার সঙ্গিনীর পিছনের সিটে কুকুরের বসার জন্য আলাদা ব্যবস্থা, যাতে করে কুকুরের মুখ আর হাত মানে সামনের দুখানা দেখা যাচ্ছে।

বাঙালি আর মধ্যপ্রদেশে কিঞ্চিত জমি জায়গা থাকবে না তা কি হয়।  আমার নিজের হাতের রান্না খেয়েও যখন সেই জমির মালিক হতে পেরেছি তখন বলাই যায়  ভুঁড়ির  আমি ভুঁড়ির তুমি ভুঁড়ি দিয়ে যায় চেনা। একটা মজার খেলা হয়ে গেছে, ভারতীয় দেখলেই আন্দাজ করা কোন প্রদেশ এর লোক(অন্য কোনো দেশের লোককে দেখে আন্দাজ করার বিদ্যে এখনো হয়নি কিনা)। মিলে গেলে "কি বলেছিলাম না" গোছের ভাব। মনুমেন্টে যাদের হাইকিং করতে দেখছিলাম বেশিরভাগই  এদেশীয়।  ভারতীয়রা এত কষ্ট করে হাটাহাটি করে ঘুরতে বোধহয় কম ভালবাসে।  তা এরকম একজনকে বাঙালি অনুমান করেছি আর মিলেও গেছে তার পরের বাক্যে "বাবু  আর দূরে  যাবেনা "। ১০ বছরের খোকাটির  থেকেও ঢের  দূরে  বেশ কিছু কচিকাঁচা মনের আনন্দে মাটিতে বসে ধূলো মাখছে, তাদের বাবা মা দাঁড়িয়ে  মজা নিছিল বেমালুম তোয়াক্কা না করে, কারোর কারোর তো পাত্তাও দিচ্ছেনা। একটা বাচ্ছা দেখি একা, বসে বসে মাটি মাখছে, আসে পাশে বড় কেউ নেই তারপর দেখি দূরে তার বাবা হাসছে, কাছে এসে বলল কি আবিষ্কার করলে ডিয়ার  আমাকেও দেখাও।  প্রত্যেক বাবা মার স্বাধীনতা থাকবেই তারা কেমন তাদের বাচ্ছাকে বড় করবে, তবে সাবধানী আর ভিতু না শেখালেও  ক্ষতি হয়না বোধহয়।

রান্নার কথা বলতে গিয়ে মনে পড়ল, আগেই  আমি পেটুক মানুষ। পেটুক এর মধ্যে যদি গোত্র থাকে আমি তবে মিষ্টি ভুখ এবং আমিষাশী পেটুক। তা সেদিন সপ্তাহান্তে কথাও যাওয়া হয়নি।বাড়িতে বসে বসে ল্যাদ খেতে খেতে হটাত   মিষ্টি খেতে ইচ্ছে হল। এখন মিষ্টি পাব কোথায় , এত আমাদের দক্খিন্পারার মোড় না যে গেলাম আর কিনে আনলাম। তাইঅগত্যা বানাতে  গেছিলাম।নিজের বিবেচনা মতকরছিলাম। দুধটা খির বানিয়ে, আটা তা গিয়ে ভেজে তাতে দিয়ে লাড্ডু বানানোর চেষ্টায় ছিলাম। তা আটার লাড্ডু বাপারটা খুব একটা সুস্বাদু লাগছেনা, এটাকে বিসকুট এ পরিনত করি।  যা ভাবা তাই কাজ,মাইক্রো ওভেন এ ওই বস্তুত যেটা কিনাআটার  নাড়ু বলা চলে, সেটাচ্যাপ্টা করেঢুকিয়েছি, এবং আমি কি একখানা কাজ করতে লেগেছি, হটাথ কি মনে হলো সেই টিভিতে স্বর্গরাজ্যে যেরকম ধোঁয়ার মধ্যে দেবতারা দাড়িয়ে থাকে নিজেকে তেমন লাগছে। আমি এখনো জলজ্যান্ত মানুষ ধরাধামেই বর্তমান, কেসটা কি হলো ভেবে ঘুরে দেখি মাইক্রো ওভেন থেকেই স্বর্গরাজ্যের আবির্ভাব।(পরিচালকেরা সস্তায় কাজ সারতে চাইলে এভাবে ধোয়া বের করতে পারেন, কিংবা যদি কোনো মহাপুরুষকে বিতারিত করতে ধোয়ার দরকার পরে). এখানে স্মোক এলার্মটা বড় 'ইসেনসিটিভ' বোঝেনা মার্কিন না বাঙালি রান্নাঘর  , এক্ষুনি সারা পাড়া কাঁপিয়ে বেজে উঠবে, দমকল এসে যেতে পারে। চটপট আমার জ্যাকেট খানা দিয়ে ধোঁয়া মুক্ত হলাম। ও হ্যা , খাবার জন্য আটার লাড্ডু বা বিস্কুট বানালে নিজের রিস্কে, আমার কোনো দায় নেই কিন্তু।

Thursday, June 4, 2015

ব্ল্যাক ক্যানিয়ন-আর্চেস-কলোরাডো মনুমেন্ট

এক দিনে ৪ ঋতু দেখার অভিজ্ঞতা  হয়ে গেল। বলেছিলাম না কলোরাডোর আবহাওয়ার মাথার দোষ আছে, তা এইবার ঘুরতে হিয়ে আরো ভালো করে প্রমান করে দিলো।  সকালে বৃষ্টি, তারপর স্নো শাওয়ার ,মাঝে একবার গরমকালের মতো  রোদ  তারপর শরতকালের আকাশ আবার বৃষ্টি , কিংবা মেঘ নেমে আসা আকাশ । 



লং উইকেন্ডে  বাড়িতে বসে থাকার ইচ্ছে ছিল না মোটেও, যাবার জায়গার অভাব নেই কিন্তু লম্বা ছুটিতে দুরে কথাও যাবারই ইচ্ছে হচ্ছিল। এখন আমি নতুন গাড়ি চালাতে শিখেছি বলে বাকিদের আমার উপর তেমন ভরসা নেই।  আমার নিজের অবিশ্যি আছে।  কিন্তু ভিতু আরোহী নিয়ে গাড়ি চালানোর মত ভরসা আমার নেই, প্রতি মুহুর্তে মনে হবে এই বুঝি কিছু ছড়ালাম। তাছাড়া বিয়ে শাদী  করে থিতু হওয়া  লোকেদের ভয়টা একটু বেশী  হয়। তাই আমি চালাবনা ধরে নিয়ে ভাবনা চিন্তা করে ঠিক হলো মোটামুটি বাড়ির টি ৫ ঘন্টা গাড়ি চালিয়ে যাব যাবে এরকম দূরত্বে যাবার জায়গায় যাওয়া হবে।  কলোরাডোর পাশের স্টেট হলো Utah , ওখানে যাবার প্ল্যান প্রথমে করিনি। প্রথমে ঠিক হলো ব্ল্যাক  ক্যানিয়ন এবং কলোরাডো মনুমেন্ট বলে দুটো জায়গায় যাব।  ছবিতে দেখে দুটো জায়গায়ই ভারী চমত্কার লেগেছিল। 


বেড়াতে যাবার আগের আলোচনা গুলো দারুন হয়. নানারকম জিনিস করার সখ হবে কিন্তু পকেট এবং আরো সব কিছু ভেবে কাটছাট হবে, কোনো কিছুই ফাইনাল না হয়ে , চা এবং টা  উড়ে যাবে এবং আবার পরের দিন বসা হবে। 
তো যাই হোক এইসব করে আমাদের মোটামুটি একটা প্ল্যান দাঁড় করানো গেল, একদিন স্যান্ড ডিউনস , একদিন ব্ল্যাক  ক্যানিয়ন আর একদিন কলোরাডো মনুমেন্ট যাব, মানে ছুটি এবং গাড়ি দুটোকেই যতটা পারা যায় ব্যবহার করা আর কি।  কিন্তু যাবার আগের সপ্তাহ থেকে এমন আকাশ এর মুখ ভার হলো আমরা তো বেশ চিন্তায় পরে গেলাম। এখানকার আবহাওয়ার ফোরকাস্ট বেশ নির্ভরজনক , তাই  খানিকটা দমে গেছিলাম। কিন্তু বাড়িতে বসে থাকার মন নেই, তাই ক্যানসেল না করে অন্য কোনো উপায় ভাবনাচিন্তা করছি, অফিসে বাড়িতে। এদিকে আবহাওয়াটাও মজা নিচ্ছে।  ধর রাতে দেখলাম শনিবার ব্লাক ক্যানিয়ন এ বৃষ্টির সম্ভাবনা, তাই আমরা ঠিক করলাম ওই দিন মনুমেন্ট তা ঘুরে আসা  যাক. তা পরের দিন দেখি ফোরকাস্ট বদলে গেছে। শনিবার মনুমেন্ট এ আবহাব ভালো। এরকম তো নাজেহাল করলেও  আমরা না দমে বেরিয়ে পরা গেলো।ওই স্যান্ড ডিউনসটা  বদলে খালি আর্চেস  ন্যাশনাল পার্ক করেছিলাম।
সাকুল্যে ঘন্টা পাঁচেক  এর রাস্তা হলে কি হবে আমরা খাবার তুলেছিলাম মোটামুটি বড় রোড ট্রিপ  এর মতই. তার প্রধান কারণ আমরা প্রত্যেকেই জিভে প্রেম করি, আর দ্বিতীয় কারণ হলো এইধরনের ন্যাশনাল পার্ক গুলোয় আগের অভিজ্ঞতা থেকে জানি ভিতরে খাবার দাবার পাব না, আর খাবার জন্য মাঝপথে বেরোনো বোকামো। তাই আগের শুক্রবার বিকেলে গাড়ি তুলে প্রচুর মাফিন,কাপকেক, ক্রোসা,বিস্কুট,ফলমূল নিয়ে খাবো  বলে ইয়ে থুড়ি যাব বলে রেডি। 
সকালেও বেরোনোর সময় দেখি বৃষ্টি পরছে সমানে। আবার প্ল্যান চেঞ্জ।  ওয়েদার  চ্যানেল এর সাইটের  আপডেট অনুযাই  ব্ল্যাক  ক্যানিয়নই যাওয়া যাক আগে। 


আসে পাশে কিছু খামার বাড়ি, ঘোড়া  চরে বেড়াচ্ছে।  বাঁক হীন  চওরা রাস্তা। খানিকক্ষণের মধ্যেই দেখি রাস্তার ভোল বদলে গেছে, বরফ ঢাকা দুধার আর তারপরেই শুরু হলো বৃষ্টি, তারপর বৃষ্টির তা বদলে গেলো  তুষারবৃষ্টিতে।  চিন্তা হচ্ছে বেশ কিজানি ব্ল্যাক  ক্যানিয়নএ পৌঁছে  কি খেল দেখাবে। 




একটু পরে যখন আবার খটখটে রোদ  বেরোলো  দেখি আমরা একটা লেকের  ধার ধরে যাচ্ছি।  জল দেখলে আমি তো এমনিই কেমন হয়ে যাই। পাহাড়ের কলে নীল্ জল, আহা প্রানটা  জুড়িয়ে যায়।  দাড়ানো  হলো ছবি তোলা হলো। একটি মেয়ে পিঠে ব্যাগ ঝুলিয়ে যাচ্ছিল কোথায় যেন, আমাদের দেখে নিজে থেকেই এগিয়ে এলো গ্রুপ ফোটো  তুলে দেবে।  সে আসলে অন্য স্টেট এর অন্য পার্ক এর রেঞ্জার, এখানে সম্প্রতি এসেছে। 








আমরা ব্ল্যাক ক্যানিয়ন পৌছনোর খানিক আগে একটা ছোট পাহাড়ি নদীর পাশে খানিটা সময় থেমেছিলাম। নদীর পাড়  ধরে খানিকটা এগোনো গেলো। ছোট্ট  নদী হলে কি হয়, স্রোত খুব,লোকে রাফটিং করতে  নেমেছে। এখানে এরা  ঘোরে  বেশ গুছিয়ে। বোট  বেঁধে নিয়ে আসে  গাড়ির সাথেই। তারপর বাপ ব্যাটা নেমে পরে জলে।  



ব্ল্যাক  ক্যানিয়ন মানে মোদ্দা কথায় যে গিরিখাতটার পাহাড়টা  কালোকোলা  দেখতে । যেমন কিনা  ওখানেই আর্টিস্ট পয়েন্ট বলে একটা জায়গা আছে যেটা ই প্রাকৃতিক ভাবে মনে হবে কেউ তুলির আঁচর কেটেছে।


পরের দিন গন্তব্য আর্চেস  ন্যাশনাল পার্ক। আমরা যে মোটেলটাতে  ছিলাম সকালে ব্রেকফাস্ট ইনক্লুড ছিল , মানে সেটা দেখেই নিয়েছিলাম আর কি।  সকাল সকাল উঠে বেরোতে হবে , তাই  সকালে খাবার সময় খুব বেশি ছিল না, কারণ অর্চেস ন্যাশনাল পার্ক এর ওয়েবসাইট এ সাবধানবাণী ছিল যদি ৮টার  মধ্যে না আসতে পারো  তবে কপালে দুঃখ  আছে। আর্চেস ন্যাশনাল পার্কটার বিশেস্বত্ব হলো লাল পাথরের স্বাভাবিক আর্চ। এই লাল পাথর গুলোর উপর সূর্যের  আলো  এত মায়াময় হয় যে সকাল বেলা থেকেই প্রচন্ড ভিড় হয়ে যায়, আর এন্ট্রান্সটা  ফ্রীওয়ে এর মুখেই হওয়ায়  ফ্রীওয়ে তে জ্যাম এড়াতে পার্কে ঢোকা বন্ধ  করে দেওয়া হয়।  আমরা তো ঢোকার মুখেই বাধা পেলাম। মামারা দাড়িয়ে আছে আর সমানে  ইশারা করছেন যাও যাও এগিয়ে যাও ঢোকা যাবেনা। যত্পরনস্তি  হতাশ। সাতসকালে উঠে ভালো করে ব্রেকফাস্ট না করেই এত কষ্ট করে আসাটা  এরকম বেকার হয়ে যাবে! তবে সত্যি কথা বলব আমার কিন্তু ওই ড্রাইভ তাও বেশ লেগেছিল।  ধূ ধূ  মাঠ, টেবিল ল্যান্ড পাহাড়, "নো  সার্ভিস ইন নেক্সট ১০ মাইল" বোর্ড তাছাড়া ঠিক সময়ে পার্ক এ ঢুকতে পারব কিনা সেই উত্তেজনা, সব মিলিয়ে ভারী চমত্কার একটা সকাল। গন্তব্যটা আমার কাছে কোনো সময়েই তত গুরুত্বপূর্ণ হয়না যে চলার পথের সৌন্দর্যকে উপেক্ষা করে যাব। 






যাই হোক আমরা বেশ কয়েকবার পাক মারব ভাবলাম, যদি খোলা পাই।  এখন এদেশের ফ্রীওয়ে গুলোয় তো ইচ্ছে মত গাড়ি ঘোরানো যায়না।  ফলে বেশ খানিকটা পিছিয়ে এবং এগিয়ে যাবার পর দেখলাম আমাদের তেল মোটামুটি শেষের দিকে। তেলটা ভরে নেওয়া দরকার। তেল ভরে ফিরে দেখলাম রাস্তা ফাঁকা , মামারা সরে গেছে। ব্যাস আর কি চল চল.....