Monday, August 29, 2016

ছোটবেলার হিজিবিজি



কোনো কিছুর জন্যই নির্দিষ্ট অপেক্ষা ভারী চমৎকার হয়। মানে যে জিনিস আসবেই জানি বা হবেই জানি শিগগির সেরকম জিনিস এর অপেক্ষা। যেমন পূজোর মাস খানেক আগে থাকতে পূজোর অপেক্ষা। পূজো আসছে বলে আমার ছোটবেলার গল্পো মনে পড়ছে এবং শোনাতেও -_- ^_^ । আমার ছোটবেলা কেটেছে গাছপালা পুকুর মাঠ মানুষ জন দিয়ে। তাই বোধহয় এ সবকটা আমি আমি এখনো এত ভালোবাসি। হ্যাঁ ইনক্লুডিং মানুষ। আমি ক্যাবে উঠি কি ফেসবুকে বকবক করতে আমার আপত্তি নাই।জানতে শুনতে দেখতে আমার ভারী ভালোলাগে।

ছোটবেলার কথা বলছিলাম না। আমার ছিলো মস্ত যৌথ পরিবার। জ্যাঠা জ্যেঠী কাকা কাকি দাদা দিদি ভর্তি। আমার বেশ মনে আছে আমাদের পেল্লায় একটা হাঁড়ি ছিলো ভাতের। মাঠে কাজ করতে আসা বা এদিক সেদিক সব মিলিয়ে জনা ত্রিশ জনের রান্না হতো। শুনতে ভালো বোধ হলে কি হয় খানিক বড় হয়ে টের পেয়েছি সে কি ঝঞ্ঝট এর জিনিস। তবে সে এক মস্ত ব্যাপার বাপস। ভাতের ফ্যান গালার জন্য একটা নির্দিষ্ট উঁচু জায়গা থাকত, দুজন মিলে ওই মস্ত হাঁড়িটা নিয়ে হেলিয়ে দিতো কি এক কায়দায়। তারপর একটা জাঁতাও ছিলো আর শিলনোড়াটা একটা ফিক্সড জায়গায় বসানো থাকত। না দুটো শিলনোড়া থাকত একটা আমিষ মানে পিঁয়াজ রসুন বাটা হবে একটা নিরামিষ পোস্তো ফোস্তোর জন্য। আর আমাদের জেলে একজন নির্দিষ্ট ছিলো, মানে সবারই থাকত কিনা জানিনা তবে আমাদের বামুন, নাপিত আর জেলে নির্দিষ্ট ছিলো। নাপিত মানে হরেনকাকা আসত আমাদের ন্যাড়া করে দিতে -_- । তবে মাছধরাটা একটা বিরাট ব্যাপার ছিলো। ভোরবেলা শংকর জেলে মানে আমার শংকর কাকা আসত, হাঁক দিতো, গ্রামের দিকে সকাল তাড়াতাড়ি হয়। লোকজন সব জড়ো হতো। তারপর সেই মাছ ভাগ বাটোয়ারা করে কেটে ধুয়ে প্রত্যেকের জন্য ঠিক করা.... সে এক যজ্ঞ্যি!! ওই সময় মা জ্যেঠিমাদের কাছে গেলে কপালে দুক্ষু থাকত। মাছ ফাছ তাই মোটেও রোজ ধরা হতো না। ওই বিশেষ দিনেই। বাকি কেনা। ছোটবয়েসে অত কিছু বুঝতাম না অবশ্য। বাড়ির ছোট ছিলাম, আমার বড় জ্যেঠু ছিলেন আমার দাদুর মতন, মানে আমার বড় জ্যেঠতুতো দিদি আমার মা এর বয়েসি ফলে আমার ঠাকুমা ঠাকুর্দার অভাব আমার বড় জ্যঠু যাঁকে বাবুজি বলতাম তিনি আর বড় জ্যেঠিমা মেটাতেন। আমি ইশকুলে ভর্তি হবার আগে আমার বড় জ্যেঠিমার কাছে দুপুরে গপ্পো শুনতে যেতাম। সব রূপকথা আর ভূত। জানলার বাইরে একটা আতা গাছ ছিলো, সারা বছরে একটা বা দুটো আতা হয়ত ফলত আর পাশেই ছিলো একটা জামরুল গাছ। কি মিষ্টি জামরুল ফলত। পিছনের পুকুর জাম গাছ জামরুল গাছ আর কি কি সব গাছ ছিলো আর ওইটেই ছিলো আমার কল্পনার রাজত্ব। ওই পুকুরটায় ডুব দিলেই আমি জানতাম সেইই পাতালপুরি পৌঁছব। রাজকন্যার থেকে ও বয়েসে তলোয়ার বেশী ইন্টারেস্টিং ছিলো।আমাদের পাড়া মানে আমাদের জ্ঞাতিরাই। সেইরকম সম্পর্কিত এক দাদা আমায় ধনুক বানিয়ে দিতো। এক কাকা আমায় গুলতি ছোঁড়া শিখিয়েছিলেন সে অবশ্য অনেক পরে, আরও বড় হয়ে। শীতকালের সকালে আর সন্ধ্যেবেলা আমাদের বাড়ির সামনে সবাই আগুন পোহাতো। আমিও যেতাম। আর বাবুজি আমায় নিয়ে মটরশুঁটি ক্ষেতে নিয়ে যেত আমিও তছনছ করতাম সারা মাঠ দাপিয়ে বেরিয়ে। আর ফেরার সময় একটা বাপুজি কেক বরাদ্দ ছিলো ^_^। কার কোলে পিঠে চড়ে থাকতাম সারাক্ষন কে জানে তবে মাকে আমার খালি রাতেরবেলা ঘুমোতে যাবার সময় ছাড়া লাগতই না।

আমাদের দক্ষিনবাড়ির যে মাঠটা, ওই যে তারপর যে খালটা দেখা যায় ওপাড় টা কত কি যে হতো! আমার খাল পেরোনো মানা ছিলো একা একা নইলে আমি জানি ওখানে সাপের মাথার মণি ঠিক পাওয়া যাবে খুঁজলে। আর সেই যে মধুসূদন দাদার ভাঁড় সেও কি এখানে এত মেলা লোকের মধ্যে মিলবে নাকি। ওখানেই পাওয়া যাবে।

গুপী বাঘার ক্যাসেট বাজতো ছুটির দিন দুপুরে শুনতে শুনতে বা আনন্দমেলা কি অন্য কোনো বই পড়তে পড়তে ঘুমিয়ে পড়তাম বা জেগে থাকতাম।বিকেলবেলা ফুটবল ম্যাচ থাকত। রোদ না পড়লে বেরোনোর অনুমতি ছিলো না, মা এর নিশ্বাস ভারী হয়ে আসছে টের পেলে এক পা এক পা করে বেরোতে গেলেই মা উঠে পড়ত আর আমি বাথরুম যাচ্ছি বলতাম। ঝাঁ ঝাঁ দুপুরের প্রতি টান কি তখন থেকেই কি জানি। আমাদের টিউবওয়েল এর হ্যান্ডেল ধরে ঝুলতাম, খিড়কির দরজা বন্ধ থাকত তাই পিছনের পুকুরের দিকে যেতে পারতাম না। কিন্তু আমাদের বাড়ির পিছোনে আর একটা দরজা ছিলো, গরু গুলো কে ওই রাস্তা দিয়ে বের করা হত তা সবাই আমায় গরু বলত বলেই বুঝি ওই দরজার প্রতি টান ছিলো, ওখান থেকে বেরিয়েই আমতলা, গরুগুলো ওখানে বাঁধা থাকতো, ফোঁস ফোঁস নিশ্বাস ফেলত। ওদের মধ্যে একটা একটু শিং নেড়ে তাড়া করত বাকি সবকটা শান্ত মনে জাবর কাটত। আমতলা পেরোলেই ইঁটপাঁজা, ওইখানে সাপের খোলস মিলত কিন্তু ওই ছায়া ছায় জায়গাটা আমার ভারী পছন্দ। ওইটে ছিলো আমার রাজপ্রাসাদ, আর খড়ের গাদাটা আমার দরবার। ভারি কুটকুটে আমার সিংহাসন কিন্তু সিংহাসন তো বটে।

রথের দিন আমাদের ঠাকুরের কাঠামো পূজো হত। তারপরেই সেই ম্যাজিক অপেক্ষা। রোজ রোজ ইশকুল যেতাম আর দেখতাম খড়ের ঠাকুরের গায়ের মাটি পড়লো, মুণ্ডু আলাদা করে হবে। দো মেটে হবে এবার। আকশের রঙ এর খেয়াল করিনি তবে মেঘ গুলো বেজায় ফূর্তি করতো। আমিও গাড়ি দাদা নিতে আসার আগে এক কলি হিন্দি গান গেয়ে নিতাম। আমাদের বাড়িতে হিন্দি গান গাওয়ার অর্থ ছিলো সে বখে গেছে। মেজদাদা জানলে তো হয়ে গেলো, স্কেল দিয়ে দেবে হাতের মধ্যে। হ্যাঁ মারধোর করার অনুমতি নিতে হতনা কারোর থেকে তবে মারলেই কাকা(আসলে জ্যাঠা আমি কেন জানিনা কাকা বলি) বা কাকি বা ফুলদিদি বা খুকুদিদি বা কেউ না কেউ এসে বকে দিতো আর মেজজ্যাঠা গুড়কাঠি কিনে দিত। গুড়কাঠি কি ভালো খেতে ^_^।

তারপর একদিন প্যান্ডেল বাঁধা শুরু হতো। আমি ইশকুল থেকে ফেরার পর খেলতে যাওয়া ফেলে ঠাকুর গড়া আর প্যান্ডেল গড়া দেখতাম। তারপর চব্বিশ বাইশ করতে করতে মহালয়া চলে আসত। তারপর...

Tuesday, August 9, 2016

ঘোরাঘুরি ( নিউ মেক্সিকো এবং অন্যান্য )(2)

পৌঁছে দেখি দিদিমা দিদিমা চেহারার একজন রিসেপশন এ বসে আছেন। চেহারার সাথে স্বভাবে মিল আছে দিব্যি। সেদিন দুঃখ প্রকাশ ছাড়া আর কথা হয়নি তার সাথে , পরের দিন ম্যাপ নিয়ে ঐ বুঝিয়ে দিলো। আমাদের যাওয়ার কথা সেদিন মেসা ভার্ডে( mesa verde ) পার্কে।  বললো পার্কের মধ্যে মামা থাকে তাই খামোখা যেন স্পিডিং টিকিট না খাই।
মেসা ভার্ডেতে আমেরিকার আদি অধিবাসীরা বাসকরতো । পাহাড়ের উপরে বা কোলে ঘরবাড়ি বানিয়ে   আমার ভারী অবাক লাগছিলো ওরা যে সময়কালটা বলছিলো সব চেয়ে উন্নতি করেছে বললো সেটা হলো ঐ ১১০০ থেকে ১৩০০ মতো সময়ে।  ঐ সময়টা ভারতবর্ষ তখন তার সংস্কৃতি , শিল্প সব কিছুতে মাথা ছাড়িয়ে লুটেরাদের কবলে পড়ে  গেছে। আর এরা তখন এই সব তৈরি করছে।






অবশ্য স্বাভাবিক। ক্লিফ প্যালেস বলে এই জায়গাটায় যে লোকজন থাকত তাদের  মেয়েদের গড় আয়ু ছিল ২৪-২৮।  আর ছেলেদের ২৮-৩২।  কারণ সিম্পল।  ঐ পাহাড়ের মাথা থেকে জল নিয়ে এসে , ভুট্টা ভেঙে কিংবা পাইন কোন ভেঙে খেয়ে বাঁচার জন্য ২০০০ ক্যালোরি মিনিমাম লাগে সেখানে ছেলেগুলোর জুটতো খুব বেশি হলে ৯০০ ক্যালোরি।  ব্যাস গল্প শেষ।  আর মেয়েগুলো তো ১৩-১৫ বছর থেকেই বাচ্ছার মা হতে শুরু করত।  তারপরে আর ২৫ এর বেশি বাঁচবে কি করে। আর্ট তো অপচয় ছাড়া হয় না।  খালি খাওয়া বেঁচে থাকার সংগ্রামে আর্ট হবে কি করে।
ওখানে একটা বাঁশের মই বেয়ে উঠতে হতো উপরে , আর সেই নিয়ে এদের আদিখ্যেতা দেখে কি বলব আর।   ৫০০ বার সাবধান করছে যার হাইটে ভয় সে যেন না আসে , জল খায় বেশি করে ইত্যাদি ইত্যাদি। মাঝে মাঝে ইচ্ছে হয় এদের আমাদের দেশে পাঠিয়ে দিই , ট্রেনে ঝুলতে ঝুলতে যাওয়া কি লাফিয়ে বাসে চড়া এইসব কদিন করলে যদি একটু নিয়ে কমে আর কি।   রেঞ্জার মেয়েটি হাসিখুশি ভালোই ছিলো। কিন্তু সে ভারী ইয়ে মানে বললো যে আমার একজন ভলেন্টিয়ার রেঞ্জার চাই যে আমার সাথে সবার আগে উপরে উঠবে।  এবং অবশ্যই রেস্পন্সিবল এডাল্ট চাই।  আমি নিজেকে যথেষ্ট দায়িত্ববান বলেই মনে করি, না করারই বা কি। মদ খেয়ে গাড়ি চালাই না , স্পিড লিমিট +১০ এর বেশি ছাড়াই না (সে অবশ্য আপনারা বলতেই পারেন যে পুলিশের ভয়ে ) কিন্তু জিলিপির দোকান উপেক্ষা করে চলে কি আমি যাইনা , স্রেফ ভুঁড়ির কথা ভেবে।  তাছাড়া দায়িত্ব নিয়ে আমি নিজের প্লেট এর তন্দুরি শেষ করে অন্য লোকেরটা খাই , যাতে নষ্ট মস্ট না হয়।  তাই আমি তার সহায়ক রেঞ্জার হতে আগ্রহী হলাম।  কি বলব মশাই , আমায় বললে আমি এডাল্ট একজন কে চাই , তোমার সাথে যিনি  আছেন তোমার বাবা বুঝি , তা যাও বাবার সাথে দাঁড়াও, একলা এসো না।  রাগ হয় কিনা , অ্যাঁ এত বড় অপমান।  যা যা আমার দরকার নেই তোর সঙ্গী হওয়ার।


যাই বলো বাপু অদ্দিন আগে তো ভিড় ভাট্টা কম ছিলো খামোখা অত উপরে উঠে কষ্ট করার কি যে দরকার ছিলো!!

 যাই হোক এর কাছের শহর হলো ডিউরাঙ্গ। ছোট্ট ছিমছাম শহর।  পাশ দিয়ে নদী বইছে , ছু ছু ট্রেন মানে কয়লার ট্রেন যায় একটা।  নদীর ধার জলের শব্দ , ট্রেনের হুইসল মনে হয় এখানেই থেকে যেতাম যদি।  তারপরেই অবশ্য ছটপট করে প্রাণ। কফি চাই। কফি খেয়ে একটু জিরিয়ে ফের রওনা। পরের গন্তব্য আমাদের সান্টাফে। ছোট্ট স্প্যানিশ উপনিবেশের স্মৃতি। পৌঁছতে রাত হবে। সান্টাফে  নিয়ে আমার খুব আশা ভরসা ছিলো এমন না কিন্তু এমন চমৎকার লাগলো শহরটা কি বলব।  স্প্যানিশ আদলে তৈরী ঘর বাড়ি গির্জা। চমৎকার লাগে সব মিলিয়ে ঘুরে বেরাতে।তেমন ভিড় ভাট্টা নাই।  শহরটা পায়ে হেঁটে ঘুরে দেখছি হটাৎ দেখি একদল মানুষ এসে নাচ গান করে জায়গাটা সরগরম করে দিলো। একটা ভুট্টা না কি যেন খেতে খেতে নাচ গান দেখতে শুনতে বেশ লাগছিলো।










বালি সাদা হয় এ জিনিস ভাবলে অবাক লাগে বইকি। আর আমরা পোঁছেছি সূর্যাস্তের ঠিক আগে আগে। ধূ ধূ সাদা বালির মরুভূমিতে দাঁড়িয়ে আছি , সূর্য্য অস্ত যাচ্ছে , লাল রং ছড়াচ্ছে সাদা বালিতে।   অদ্ভুত সুন্দর একটা দৃশ্য। অনেক অনেক খন পর পার্ক বন্ধ হবার হাঁক দিতে আমরা বেরোলাম ওখান থেকে।





পরদিন সকালে আবার গেছি , কিন্তু উল্টো দিকের রাস্তায় যে এমন বিপদ  জানতো।  নিউ মেক্সিকো বর্ডার সিটি, তাইজন্য বর্ডার পেট্রোলিং পুলিশ চেক করছে সব গাড়িকে। আমরা দুজন কেউই পাসপোর্ট ক্যারি করছিলাম না এবং যেহেতু আমরা সিটিজেন না এখানকার তাই নাকি আমরা সবসময় পাসপোর্ট ক্যারি করতে বাধ্য। বুকের মধ্যে ঢিপঢিপ করছে। কারণ আমাদের গাড়ি সাইড এ দাঁড়াতে বলেছে। জেলে পুরে দেবে নাকি? মোবাইলে টাওয়ার নেই. সফট কপিও ডাউনলোড করতে পারবো না।  কি রে বাবা আসে না কেন।  গাড়ির এসিও অন করার সাহস হচ্ছে না।  কারণ গাড়ির ইঞ্জিন স্টার্ট করলে যদি ভাবে পালাচ্ছি।  ভাবছি কাকে আবার কল করে বেইল নেব। অতঃপর একজন মুশকো লোক এসে গম্ভীর মুখে ড্রাইভিং লাইসেন্স ফেরত দিয়ে গেলো।  যাক এ যাত্রায় জেল এ ঢুকতে হলো না !!



ফেরার সময়টা আমিই চালালাম পুরোটা। ভারী মজা পেয়েছি।  কারণ সত্যি বলতে কি একটানা ৫৬০ মাইল ড্রাইভ আমি আগে করিনি আর সৌরভদা ভরসা করে না ছাড়লে হয়তো হতোই না।  নিউমেক্সিকো রুক্ষ প্রদেশ আর কলোরাডো সবুজ ফলে যেই নিউ মেক্সিকো পার হয়ে কলোরাডো ঢুকি যে ফিলিংটা হয় তা হলো , ট্রেন এ করে বিহার থেকে পশ্চিমবঙ্গের সীমানায় প্রবেশ করার। পাহাড় বাঁক সবুজ গাছ দেখে স্বস্তি ফেরে। না ফিরলে যে পরের বার বেরোনো যাবে না। (শেষ)

*********************************************************************************
এই লেখাটা অনেক দেরি করে দিলাম তাই দুঃখিত যারা অপেক্ষা করছিলেন/করছিলে।  নতুন লেখা আসবে( ইয়েলোস্টোন ঘুরতে গেছিলাম আর সে গপ্পো শোনানোর জন্য প্রাণ চটপট করছে ) তাই এটা শেষ করতেই হতো এবং শেষ হলো :)