Friday, October 17, 2014

নানারকম

প্রথমেই ঋণ স্বীকার করেনিচ্ছি। কুন্তলাদির ব্লগ পড়তে পড়তে আমার ব্লগ লেখার ইচ্ছেটা জেগেছে। তবে ওনার ব্লগ এর মত সুন্দর লেখা হবে না, কিন্ত হিজিবিজি কত কি মনের মধ্যে কিলবিল করে তার একখান পথ পাওয়া গেছে ঃ)।


আমি যে রাস্তাটা দিয়ে রোজ হেঁটেহেঁটে অফিস যাই সেই রাস্তাটা এখন দোটানায় পড়ে গেছে সেজে উঠেবে না বিবাগী হবে । লাল হলুদ সবুজ গাছের সারি দিয়ে সাজতেও ইচ্ছে আবার সব ছেড়ে ফেলে চলে যাওয়ার বাসনাটাও কম নয়। দূর পাহাড়ের চুড়য় বরফ জমা শুরু হয়েছে। আমার এই দেশে প্রথম শীত । আর আমি বেজায় শীত কাতুরে। তাই একটু ভয়ে ভয়েই আছি। কিন্তু এমন মন ভালো করা দৃশ্য দেখলে ভয়টাও থমকায়। শীতের হাওয়া অগ্রাহ্য করে আমি রোজ লাঞ্চ এর সময় বাইরেটা বসি।দেখি হলুদ হয়ে যাওয়া গাছ গুলো কেমন গালিচা পেতে দিচ্ছে আর একটু একটু করে কেমন নিঃস্ব হয়ে যাচ্ছে । মোটে সাত মাস দেশের বাইরে, এখনও কথায় কথায় মন খারাপ করে।





কিছুদিন আগে রকি মাউন্টেইন গিয়েছিলাম। বড্ড ভালো লেগেছিল। গাছের ছায়ার ফাঁকে রোদ্দুর , ঝর্নার জলের আওয়াজ, পাখির ডাক ছাড়া আরকোন আওয়াজ নেই। গিয়েছিলাম যাদের সাথে তাদের থেকে আলাদা হয়েগিয়েছিলাম মাঝখানে। এইসব জায়গাএ গিয়ে অনর্থক বকবক করতে ভালো লাগে না ।ইচ্ছে করে চুপটি করে সারাদিন বসে থাকি। অবশ্য বসে থাকা হয়নি। দলের বাকিরা খুজে পেয়ে গেলো। 
















তারপর  হাইকিং , উফফ আর পারা যাচ্ছে না  আর কত দূর করতে করতে পৌছলাম এই জায়গাটায়।








চড়াই উতরাই করতে করতে হটাৎ চোখ জুড়নও হ্রদ দেখলে প্রানের ভিতরে বেশ আরাম হয় আর আমি এমনিতেই জল পাগলা।

এদেশ তা আমার কাছে এখনও কেতাওয়ালা রেস্টুরান্ট এর মত। দারুন ঝকঝকে দারুন সাজপোশাক পরা লোক এসে খাবার সাজিয়ে গেলো। নিয়ম মেনে খেয়ে চলে এলাম। আর আমার দেশটা প্রচণ্ড খিদের মুখে আমার মাএর বেড়ে দেওয়া  খাবার এর মত। গরুর রচনা টাইপ উদাহরন দেখেই বুঝছেন আমি পেটুক মানুষ। আর এই সাত মাস নিজের হাতের রান্না আমায় পেটুকশ্রেষ্ঠ করে তুলেছে ।কি বলব মশাই সারাক্ষন খালি খাবার কথা বলি। 

দুর্গা পুজোর দিন গুলো আর তার আগের সেই পুজো আসছে পুজো আসছে দিনগুলো তো এখানে বেজায় খারাপ ভাবে কাটল। পুজর গন্ধটাই পেলাম না :/ । পূজোর প্রায় ১০ দিন পর টিকেট কেটে পূজো দেখতে গেছিলাম। সে বেজায় ঘটনাবহুল ব্যাপার। আমি একবন্ধু দম্পতির সাথে গিয়েছিলাম। তারা বেজায় চটে গেছে, তাদের আমার বাবা মা ভেবেছে বলে। স্বাভাবিক আমার মত ধেড়ে বাচ্ছার বাবা মা ভাবলে চটাই উচিত। আমি অবশ্য যতটা বিব্রত হওয়া উচিত ছিল ততটা হতে পারিনি। কারন সেই আবার খাওয়া। আমায় ওনারা কিড মিল খেতে ডাকছইলেন বারবার। আর আমি পূজর দিন কাউকে দুখু দিতে নেই এই আপ্তবাক্য স্মরণ করে বাচ্ছাদের এবং নিজের মনে দুঃখ দিতে নেই বলে বড়দের খাবার দু্টোই সাটাতে ব্যাস্ত হয়ে পড়ায় অন্যদিকে মন দিতে পারিনি। তবে দুগগা ঠাকুর দেখে ঢাক বাজিয়ে আর বিচিত্রানুষ্ঠান দেখে দুটো দিন মন্দ কাটেনি। কলকাতা বা বাড়ির পূজোর ধারে কাছে আসে না ত বটেই তবে নাই মামার চেয়ে কানা মামাই মন্দ কি।


মিনি দুর্গা

যার নজর যেদিকে


ট্যাং কাটা মাগুর মাছের ঝোল
দেরী করে হলেও সক্কল্কে শুভ বিজয়া। আর পটকা ফাটানোর আগাম উৎসাহ