Friday, July 19, 2019

নদীর পাড়ে

শান্ত আশ্রমের মত বাড়িটা পেরিয়েই নদী দেখা যায়। নদীর এখন ভাটার সময়, মস্ত চড়া।  দেখে ভাববে বুঝি এ আবার কি নদী, খালি কাদাই সার। ওহ এ তো আবার নদী না, নদ। নদী নামটা কেমন ভালো নদ কথাটা কেমন যেন। আবার নদ-নদী বললে খারাপ লাগেনা।  সে যাই হোক, এখন নাম ধাম ভুলে তাকাও, নদীই মনে হবে যেন। অনেক পথ পাড়ি দেওয়া,  সংসারের তাপে ক্লান্ত হলে কি হবে, চওড়া পাড় দেখেই বুঝবে এ বয়েছে অনেক, যৌবনে অনেক নতুন পথ পাড়ি দিয়ে এখানে পৌঁছেছে। তারপর নদীর পাশে বসলেই ঠান্ডা হাওয়ার স্পর্শে তোমার মন শান্ত হলে দেখবে পলিমাটি জলেই গামছা পরে ছেলের দল কেমন লুটোপুটি করছে। তুমি কাদা ভুলে নেমে যাবে জলে, কাদায় পা গেঁথে যাবে তারপর,  স্রোতের মুখে সে কাদা সাফও হয়ে যাবে। ফের উঠে আসবে  যখন গোড়ালি অব্দি পলিমাটি মাখা হয়ে বড় আরাম হবে। কতদিন পর তুমি মাটি ছুঁলে বলোতো? পলিমাটি আর এমনি কাদার স্পর্শে যে তফাৎ তাতো ভুলেই গেছিলে। কাদা পরিষ্কার করার ছলে হাতে মাখবে সেই কাদা। বসে থাকবে থুম হয়ে যতক্ষন না তোমার চোখের সামনে হুড়মুড় করে জল বাড়া শুরু হবে। যেন এক ঝাঁক ছোট ছেলে, ইস্কুলের ছুটি পড়তেই হুড়মুড় করে বেরিয়ে এসেছে। তোমার পা ছুঁয়ে যাবে জল। তুমি তাকিয়ে দেখবে জোয়ারের জলের সাথে সাথে সারি বেঁধে নৌকা ভেসে যাচ্ছে কোথায়। ছোটবেলার মত করে গুনতে গিয়ে খেয়াল করবে তোমার প্যান্ট ভিজে গেছে, তুমি নিজেই নিজেকে বাহানা দেবে, ইচ্ছে করে তো আর না।

তারপর... তারপর আবার কি? একটা নদী বুকের মধ্যে নিয়ে ফিরবে....


Thursday, July 11, 2019

বুড়ো শহরটায়

বাড়িটার নাম ছিল ড্রিমল্যান্ড। দোতলা,  বারান্দাওয়ালা বাড়ি। যেমন হত আগেকার দিনে, বারান্দাটা টালির ছাওয়া। যখনকার বাড়ি এখানে তেমন লোক ছিল না মনে হয়, বাড়ির গায়েই হয়ত সব্জিওয়ালারা বসে যায়নি, কিংবা মুরগির ঝুড়িটা লাগানো থাকতোনা। এখন অবস্থা বদলেছে, ড্রিম আর নেই, ডিম হয়ে গেছে। ডিমল্যান্ড। পথচলতি কেউ তাকিয়ে দেখেও না হয়ত। কারা থাকে ওখানে এখন কে জানে! 

কয়েক পশলা বৃষ্টি হয়ে গেছে সারাদিনে। ধর্মতলা থেকে ময়দানের পাশ দিয়ে ইডেন গার্ডেন হয়ে বাবুঘাটের রাস্তাটা বড় প্রিয় আমার। মনুষ্য-বর্জ্যের  গন্ধ ছাপিয়েও এক এক জায়গায় বৃষ্টি ভেজা বুনো গন্ধ নাকে ঝাপ্টা মারে। কোলকাতা শহরে এ বড় কম। একটা ছেলে আর একটা মেয়ে দেখি বাবুঘাটের গোল্লাটায় আটকে গেছে, দু পা এগোয়, একটা বাস আসে ফের দু পা পিছোয় আর তাতে তাদের হাসাহাসি বাড়ে। প্রেমে থাকলে ছোটখাটো অসুবিধে মনে হয় ইগ্নোর মোডে চলে যায়। ওই যে,  বেঞ্চের সামনে গোড়ালি ডোবা জলকে কাটিয়ে দুজন জমিয়ে প্রেম করছে। বাফ্রে ডেডিকেশনের হদ্দমুদ্দ যাকে বলে। একটা লোক ডানহাতে গোলাপি লেডিস ব্যাগ বাঁ হাতে ছেলের হাত ধর হেঁটে যাচ্ছে, একদল ছেলে মেয়ে সেলফি তুলছে লঞ্চ আর মেঘলা আকাশ নিয়ে। আরে আরে ওইখানে কি হচ্ছে! একজন ন্যাড়া সাহেবকে পাকড়ে কজন মিলে সেল্ফি তুলছে!! বড় লজ্জা লাগে, কেন এমন করে দেশের মাথা নিচু করে দেয়? একটু পরে দেখি সাহেব তড়িঘড়ি করে চলে যাচ্ছে,  পাছে ফের কেউ পাকড়ে ধরে। 

তবে যাই বলো, বর্ষার এই মেঘ ধোয়া বিকেলগুলো বড় সুন্দর হয়। গঙ্গার ধারটা সুন্দর করে দিয়ে বড় ভালো হয়েছে। দূরে দূরে ভেসে থালা হাত নৌকা গুলো ডাক দেয়। সন্ধ্যে নেমে আসা কোলকাতায় একটা তেরপলের নীচে কাঠের উনুনে ভাত বসিয়েছে একজন মাঝি। কাছেই জোয়ার আসা গঙ্গায় তার হ্যারিকেন ঝোলা নৌকা দুলছে। মাঝি এখন রাঁধুনিও বটে। বড় খুঁতখুঁতে রাঁধুনি দেখি, শিলনোড়ায় রসুন থেঁতো করে ঢাকনা খুলে কেটে রাখা পেঁয়াজের পাশে যত্ন করে তুলে রাখে, ফের চাপা দেয়। জানান দিল, মাছ ধরা হয়েছে আজ। কোনদিন মাঝির অতিথি হয়ে যাব ঠিক। জোর করেই। এসব বলছি কিন্তু জানি হবে না, আমি কোনোদিনই অমন মুখ ফুটে চাইতে পারবো না, কোনোদিন পারিনি বলে কত পাওনা জোটেনি আগে,  পরেও জুটবেনা সেও জানি। 

অন্ধকার ছায়া ছায়া রাস্তাটা পার হলেই ব্যস্ত এসপ্ল্যানেড, দুম করে প্রেক্ষাপট বদলে গেলে কেমন ঘুম ভেঙে যাওয়া অনুভূতি হয়। দেখি এক বয়স্ক দম্পতি ফুচকাওয়ালার সামনে। ফুচকার জল বুড়ির গায়ে পড়ে, বুড়ো যত্ন করে রুমাল দিয়ে মুছিয়ে দেয়। এ শহরের খারাপ টুকু তো সবাই জানে, বড় শিল্প নেই, কাজের মন নেই, আলসে, অভদ্র, কিন্তু তাও এইযে ভালোবাসার গল্প গুলো বাঁচিয়ে রেখেছে সে খবর জানে কজনা। অবশ্য প্রেম ভালোবাসা এ গতিময় যুগে বাহুল্য বটে। কিন্তু আমি তো ওই ভালোবাসার ভরসাতেই বেঁচে থাকি, বুড়োটে ক্ষয়াটে শহরটার মতই......

Wednesday, July 10, 2019

একদিন হাসপাতালে

সার সার বেড পাতা। সার সার জানলা। তবুও হাওয়া আসছেনা মোটেও। প্রায় সবারই পরণে লুঙ্গি। বুকের খাঁচা ছোট হয়ে যাওয়া বুড়ো কোনো বেডে, কোনো বেডে পেট প্রায় মিশে যাওয়া জোয়ান ছেলে, কোনো বেডে এই গরমে কম্বল চাপা দিয়ে শুয়ে থাকা লোক। শহরের হাসপাতাল নয় কিনা, তাই ভীড় লাগামহীন না।

সকাল বেলা থেকে দুপুর অব্দি ডাক্তার, নার্স, বাড়ির লোক, নতুন টেস্ট, নতুন রুগীর ভীড় বেশী। দুপুরে নীচ থেকে খাবার আনে যে যার থালায়। খাবার পর শুনশান হয় খানিক। একটা অল্পবয়সী ছেলের বাড়ির অনেক লোক এসেছে, মা,  মাসী, আরো কারা যেন, একজন হাতপাখার বাতাস দিচ্ছে, একজন পেটে হাত বুলিয়ে দিচ্ছে। জানলার পাশ থেকে দুটো বেড পর একটা লোকের মাথায় শিরা ওঠা শাঁখা পরা একটা হাত পরম মমতায় বুলিয়ে দিচ্ছে।

পাশের ঘরটা ফাঁকা।  সারি সারি বেড পাতা কিন্তু রুগী থাকার সিস্টেম নেই। আসলে হাসপাতালটায় কাজ হচ্ছে। মাথায় গামছা বেঁধে, যে রোদে হাসপাতালের গেট পার হয়ে জলের জায়গা অব্দি  যাওয়া যায় না সেই রোদের মধ্যেই, দেওয়ালে  রঙের তুলি বোলাচ্ছে কার্ণিশে দাঁড়িয়ে একজন আর বাঁশে দাঁড়িয়ে একজন। গেটে ঢোকার মুখে মালাই বরফ  বিক্রী করছিল, বারোটার রোদে মাথায় গামছা আর সাইকেলের ক্যারিয়ারে টিনের বরফের বাক্সে লেবু নুন দেওয়া বরফ। পাঁচ টাকায় একটা পিতলের হাতা দিয়ে প্লাস্টিকের গ্লাসে তুলে দেওয়া বরফ।
ফাঁকা ঘরটায় অনেকে শুয়ে আছে। রুগীর বাড়ির রাত জাগা লোক। ছেলেই বেশী। যে বউ গুলো বরের সাথে রয়েছে তারা তো রুগীর খাটেই একটু জায়গা করে শুয়ে পড়েছে। আর যে মায়েরা এসেছে বড় ছেলের সাথে তারা মাটিতে বেড পেতে শুয়েছে। ক্রমে দু চারটে পাখির ডাক ছাড়া বাইরের মিস্ত্রীরা ছাড়া সবাই চুপ করে যায়, ঝিম ধরা দুপুর নামে। একটা বিড়াল এসে উঁকি মেরে দেখে যায় ডাস্টবিনে কিছু আছে নাকি। এক পা দুই পা পুরো মাথা নেমে যায় ভাতের খোঁজে.....

ফাঁকা ঘরটায় দুটো ছেলে, একজন গল্প শোনায়, বিদেশে কেমন সেক্স ফ্রি তার। সে দেখেছে এক্সভিডিওতে এরকমই হাসপাতালে গেলেই রুগীর বাড়ির লোককে, "ম্যাসেজ" করে দেয়, তারপর সুযোগ পেলে....ইঙ্গিত করে হাতের মুদ্রায়। সে দেশে নাকি বর বউ বলে কিছু না, একটা ঘরে চোখ বেঁধে সবাই ল্যাংটা হয়ে যায়, "তারপর তোর বউ আমার...."..... শুনে যাই হুঁ হাঁ করে, এক্সভিডিও সত্যি, ইউটিউব সত্যি, হোয়াটসঅ্যাপে গুজব বন্ধ করবেন? সত্যি বলতে ছেলেগুলো নিজের বিশ্বাসে অদ্ভুত সরলতায় বলে যায় এসব।জানি জানি আপনি কি বলবেন,  হাসপাতালে এসব কথা বলে এরা কারা, কিংবা এরা প্রত্যেকে পোটেনশিয়াল রেপিস্ট এই তো? অত সাদা কালো মানুষ হয় না কত্তা। বন্ধুর বাবার জন্যে রাত জাগা যায়,  দুপুর রোদে স্ট্রেচার নিয়ে ছুটোছুটি করা যায়, কিন্তু সে কারনে মন খারাপ করা যৌবনের ধর্ম না যে! আর রেপিস্ট? মানুষ দেখেননি আপনি তবে। আরেকটু দেখেই নিন না কত্তা, অত সহজে নাই বা দাগালেন৷

হঠাৎ  করে একটা শোরগোল ওঠে। একটা লোক,বেশ শক্ত পোক্ত সা-জোয়ান চেহারা, মাথায় কিছু গোলমাল হয়ে গিয়েছে। বাইরের বারান্দাতেই পেচ্ছাপ করতে চায়। প্যান্টের চেন খুলে, বের করে দাঁড়িয়ে পড়েছে, তার বউটা তাকে অনুনয় করছে,  চলো না গো চলোও না গো বলে সে " ধোর বাঁড়া সর তুই বলে" ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিয়েছে। বউটা অসহায় ভঙ্গীতে কেঁদে ফেলেছে।এ ঘর থেকে ওই ছেলেটা ছুটে গিয়ে লোকটাকে, "কাকা এস এসো" বলে টেনে নিয়ে এগোচ্ছে, আমরা বাকিরাও হাত লাগাচ্ছি....বাথরুম অব্দি পৌঁছে দিয়ে দেখি লোকটার ছেলে এসে পৌঁছেছ্ব, হয়ত নীচে ওষুধ আনতে গেছিল সে ফাঁকে এই অবস্থা।

ক্রমে বিকেলের রাউন্ডের সময় হয়ে আসে।
নার্স হাঁক পাড়ে, অনুপ মাজি, অনুপ মাজির বাড়ির লোক কে আছে? য
এ পাশ থেকে ফর্সা রোগা বউটা ছুটে যায়....
"শেখ সাহাবুদ্দিন..."
নাম ধরে ধরে ওষুধ দেয় নার্স, কারোর স্যালাইন বদলে দেয়, কাউকে ইঞ্জেকশন। ডাক্তার আসে। অল্পবয়সী ছেলে।  কাল থেকে একে দেখছি, শান্ত মুখে সবার ওষুধ লিখছে, টেস্টের রিপোর্ট দেখছে। রেফার করার হলে রেফার করছে। একটা মাথা ফাটিয়ে গুন্ডার দল এসেছিল, তাদেরও ওষুধ দিল চুপচাপ। ক্যাপ্টেন কুল।

বিকেল গড়ায়....বড় কম্পাউন্ডটায় শিরীষ,  কদম, শিমূল গাছের ছায়া পড়ে। ভিজিটিং আওয়ার শেষের ঘন্টা পড়ে। যদিও এরকম গ্রাম গঞ্জে অত সময় মানে না কেউইই। মাঠের কাজ শেষ করে যে আসবে তার কি সময় মেপে আসা যায়! সেই মাথা খারাপ রুগীটাকে রেফার করেছে, বউটা শক্ত করে লোকটার হাত ধরে অ্যাম্বুলেন্সের দিকে এগোয়। লোকটা শিশুর মত টলমল করে,  বিস্ময় মাখা চোখে এদিক ওদিক দেখতে দেখতে এগোয়, তার কিছুতেই কিছু এসে যায় না, ওই দূরে রাস্তাটার দিকে নজর তার, ছাড়া পেলেই চলে যাবে যেন। বউ, ছেলে, সব গোলমাল হয়ে যাবার পর কীসের দর্শন পেয়েছে সে কে জানে!

Sunday, July 7, 2019

রথের দিনে

"না চাহিতে মোরে যা করেছ দান আকাশ আলোক তনু মন প্রাণ....."

বিক্রম সিং গাইছেন। নিজের আত্মার মধ্যে সব কটা শব্দ ঢুকিয়ে গাইছেন, প্রতিটা শব্দ বিশ্বাস করলে এমন উজাড় করে গাওয়া যায় বোধহয়....তবে কেন এমন হুট করে চলে গেছিলেন? 
লম্বা সিগন্যাল। সিটে শরীর ছেড়ে দিয়েছি...."এ যে তব দয়া জানি জানি হায়, নিতে চাও বলে ফেরাও আমায়...গানের মধ্যেকার বিষাদ আমার ক্লান্ত শরীরকে আরাম দেয়।
এদিকে রথ ওদিকে ফোর্থ জুলাই, অফিস ফাঁকা জলদি। আকাশের রঙ দেখতে পাওয়া সময়ে বেরোতে পারলে বড় ফূর্তি হয়। সাদাটে থেকে গোলাপি হয়ে সোনালী হয়ে লাল হয়ে কালো....গাড়ি চালাতে চালাতে হাঁ করে তাকানো যায়না বেশী, পিছনের গাড়ি তাড়া দেয়। এই রাস্তাটা বড় সুন্দর। এইই বড় বড় গাছ, দেবদারু, নিম এর ফাঁকে স্বর্ণচাঁপা উঁকি দেয়। চাঁপা গাছ কে চিনিয়েছিল?  স্কুলবাড়ির মাঠে একটা ছিল সেই দেখেই শেখা মনে হয়। আহ বড় সুন্দর গন্ধ হয়। অত দিন শুঁকিনা। আজ বিশ্বরূপ বলছিল, ওর এক জুনিয়র নাকি হারিয়ে গেছে। এমনিই একদিন দুম করে,  কিন্নরে নাকি লাস্ট ট্র‍্যাক করতে পেরেছিল....হারিয়ে যাওয়া এত সহজ বুঝি? হারিয়ে গেলে বেশ হয়। হুট করে নেই হয়ে গেলাম একদিন।

 রথের জন্যেই রাস্তা বন্ধ, জ্যাম কাটিয়ে অন্য রাস্তা ধরতে হয়। এ রাস্তা আমি চিনিনা, অচেনা রাস্তায় গেলে কেমন মনে হয়না? আমি হাঁ করা ছেলে,  হাঁ করে এদিক সেদিক তাকাতে যাই, আমার রাস্তা বেড়ে যায়। 

এদিকে মনে হয় রথ আসতে পারেনি,  অন্ধকার ছায়া ছায়া স্ট্রীট লাইট, একটা লোক হেলমেট হাতে হেঁটে যাচ্ছে। নির্ঘাত বাইক খারাপ হয়ে গেছে। রাস্তা চেনার অছিলায় জিজ্ঞেস করি....ডাক দিই আপনি যাবেন আমার সাথে? 

রাজারহাটে অফিস, ডেলিভারির কাজ করেন। আজ তাড়াতাড়ি বেরিয়েছিলেন মেয়েকে রথের মেলায় নিয়ে যাবেন। 
"আর ভাই কপালে না থাকলে যা হয়।"
বিমর্ষ শোনায় গলা। আমার মা বাবাই রথের মেলায় গেছে, ফোন করেছিল, গাছ আনবে আর জিলিপি আনবে আমার জন্যে। এর মেয়েটার বুঝি পাঁপড়ভাজা হবে না আজ তাও হয় নাকি? অ্যান্টি মর্ফি'স ল তে আমার রাস্তা এদিকে হয়ে গেল। 

ভদ্রলোক নেমে যাবার আগে আলো আলো মুখে আসি ভাই বলে গেলেন। আমাদের দেশে ধন্যবাদ দিতে হয় না, হাসি দিয়েই সব হয়ে যায়। আমার মন  ভালো হয়ে গেছে আবার, একটু আগের বিষাদ কেটে যাচ্ছে, জ্যামটাও পেরিয়ে গেছি।

আহা উৎসব সবার হোক....