Monday, December 7, 2015

ভুলভাল

প্রেমে পরা আর ভূতে ভয় পাওয়া একই ব্যাপার। লজিক নেই তবু আটকানো মুশকিল। ভূত নেই তাই নিশুত রাত, গা ছমছম , বুক ঢিপঢিপ  কোনো মানে হয় না।  তেমনি , বেশিরভাগ  প্রেমেরই পরিনতি তো একই ,  হয় ব্রেক আপ না হলে সেই গতানুগতিক জীবন। মানে ৫ বছর পরেও তো আর আপনার ইডেন গার্ডেন এর পাশ দিয়ে হাঁটতে যাবার জন্য দুপুরের ভাতঘুম বিসর্জন দেওয়ার ইচ্ছে থাকবে না নাকি? তবু লোকে ভয় পাবে , পিসা খরচা করে দরকার হলে ভূতুরে  বই পড়ে  কিংবা সিনেমা দেখে।  আর ব্রেক আপ এর সেই ভয়াবহ দিন গুলো মনে রেখেও তুমুল বৃষ্টিতে সারা শহরকে অদৃশ্য করে পাশাপাশি হেঁটে যাবে দুজন।  তবে হাঁ  কেউ কেউ যেমন ভূত দেখেন নিজের চোখে ( তাদের আবার আমরা দেখতে পাই না , গোলমেলে কেস মশাই) তেমনি কারো কারো নাকি প্রেমের কোনো ডাউনফল হয়না ( এনাদের অবিশ্যি দেখা যায় , মানে শোনা যায়) .

******************************************************************************
আচ্ছা মানুষ মরে যদি ভূত হয় ডিম মরে কি হয়? মানে ধরুন গিয়ে আমি স্বর্গ/ বেহস্তে  গেলাম।  আমার হুর পরীর দরকার নেই , এখন বলুন যে ডিমটা মরে গেল , মানে পচে গিয়ে মৃত্যু বা সুসিদ্ধ /ভাজা হয়ে , সে কি অবস্থায় স্বর্গে পৌছবে? নিশ্চই ঝরঝরে দেহে , তারমানে পচার বা ফ্রিদ্গে এ জমে যাবার  আগের অবস্থায়? না না কূট  সন্দেহ করার দরকার নেই , আমার আজ ব্রেকফাস্টে ডিম ছিল না , তাই পচা হওয়ার চান্সও ও ছিল না।  হাঁ  যা বলছিলাম , তো তো ওই ওই ডিম আমি আবার ব্রেকফাস্ট এ খেলাম স্বর্গের গাছতলায় বসে (ধরে নিছি  বেহস্তের পাখিরা সভ্য হবে, মাথায় ইয়ে না করেও চলাফেরা করা যায় জানবে) সেক্ষত্রে ওই ডিমটির কি অবস্থা প্রাপ্ত হবে? মানে মানুষ মরলে ভূত , ভূত মরলে কি মানুষ মানে ডিম হবে আবার?
*******************************************************************************
এবার আরো কঠিন সমস্যা ধরা যাক যে ডিমটা মরে ডিম-ভূত হয়ে বেহস্তে হাজির হয়েছে তার সঙ্গে তার হতে পারতো বোন  এর দেখা হলো , মানে একই মুরগির ডিম আরকি , একজন মুরগি হলো একজন হলো না।  এবার দুজনকেই ধরা যাক আমি খেয়েছিলাম , একজনকে সকালে একজনকে দুপুরে , এবার রাত্রে পটল তুলে তিনজনেই বেহস্তে/স্বর্গে।  এবার আমার স্বর্গ আর ওদের এক হবে না , স্বাভাবিক ভাবেই ডিম এবং তার হতে পারতো  ভগিনীরা বলবে অমন স্বর্গের মুখে আগুন যেখানে ওই মানুষটা আবার আমাদের খাবে ! লজিক্যালি আমি যদি খান তখন কতক সুন্দরী যুবতীর সাথে গপ্প করতে করতে ভাবি একটা পোচ  আসুক , সেই সময় সেই ডিমের তখন পোচ  না হয়ে কোনো সুন্দরী ডিমিনীর  সঙ্গে গপ্প করতে সাধ হতেই পারে , সেক্ষেত্রে কার ইচ্ছে প্রাওরিটি পাবে , ভগবানের চোখে আমিও যা ডিমও  তাই তাইলে?
*******************************************************************************
ডিম যদি না আসে সেই সময় আমি নরকে যাওয়া প্রেফার করব।

*******************************************************************************
আজ একখানা পোস্টার দেখলাম। বাংলা তর্জমা করলে এরম দাঁড়ায়:
আমাদের ভালবাসার ধন , বুকের পাঁজর , আমাদের মেয়ে ফুলি (নাম খানও বাংলা করে দিলাম ) হারিয়ে গেছে। ও অসুস্থ , সুগার এবং ব্লাড প্রেশার দুইই বেশি। কক্ষনো ফুলি আমাদের ছেড়ে আগে থাকেনি। আমরা দুই বৃদ্ধ দম্পতি দুদিন ধরে এই বিচ্ছেদ বুকে নিয়ে বেঁচে আছি। কি করছে কি খাচ্ছে কিছু জানিনা। যদি আপনার কেউ খোঁজ পান আমাদের সাথে স্বত্বর যোগাযোগ করুন, যেকোনো সময়ে।
বললে বিশ্বেস করবে না , এ অব্দি পরে আমার মতো পাষন্ডের মনও দুর্বল হয়ে গেল। ল্যাপটপের ব্যাগ নিয়েই ফুলিকে খুঁজতে বেড়িয়ে পরছিলাম। তারপরই নিচের ছবিটার উপর চোখ পড়ল।

বি:দ্র: - নির্জলা সত্যি , ফুলির সুগার আর রক্তচাপের দিব্যি 
******************************************************************************
একা থাকার সবচে বড় সুখ হলো ভাত খেতে বসে যদি দেখেন চাল আধকাঁচা আছে বা গলে গেছে, মাংস বলে ভেবেছিলেন যাকে গরম করতে সে ঝোল প্রতিরূপ হইল , এমন দিনে সে খাবার খেয়ে মনের অস্বস্তি কাটাতে শনপাপড়ির বাক্স থেকে খাবলা মারতে পারেন, আপনার চামচ ইত্যাদি নেওয়ার দায় নেই , তারপর সেটা প্লেটে বাটিতে নিতে হবে না ( নিলেই ধুতে হবে ) , হাতে নিয়ে টেবিল এ ঠ্যাং নাচাতে নাচাতে মুখ ডুবিয়ে ডুবিয়ে খেতে পারেন। মুখ ময় শনপাপড়ি লেগে গেলে কেউ চেঁচিয়ে উঠবে না বা হেসে উঠবে না।শেষ পাতে তো মিষ্টিটা মশাই শাস্ত্রের বিধান , তাই খেয়েছেন বলে তো আর ফ্রিজে রাখা ক্রাঞ্চি ভানিলা মিল্ক আমন্ড চকোলেট বার কে উপেক্ষা করতে পারেন না। এবং এ কথা কে না জানে চকলেট বার না ছড়িয়ে খাওয়া মোদিকে দেশে পাওয়ার মতোই কঠিন ব্যাপার। তা সেসব যোগসাধনা তো আমার আপনার নেই মশাই তাই এসব ক্ষেত্রে নির্জন ঘরের কোন মশাই আদর্শ । আহা মুখ ময় আইসক্রিম লেগে যাওয়ার পরোয়া না করে ভেঙ্গে পরা চকলেট একহাতে ধরে বাকি আইস্ক্রিমটুকু খাওয়া...... স্বর্গ মসায়  স্বর্গ