Thursday, January 19, 2023

ছুটিতে ছুটোছুটি (অজন্তা কাণ্ড)

সেবার এক বন্ধুর বাড়ি গেছি, আড্ডা খাওয়া দাওয়া চলছে,  তারপর আমি থাকলে যা হয় , একটা বেড়ানোর কথাও হচ্ছে। দেখা গেল, আরে তিনটে দিন খামচা মেরে পাওয়া গেছে তো এ বছরের শেষে (মানে ২০২২ এর শেষে), কোথাও তো যাওয়াই যায়!! অনেকদিনের সাধ ছিল অজন্তা যাওয়ার। বয়স বাড়ছে, পায়ের জোর কমছে আর অজন্তার ছবিগুলো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে শুনছি ক্রমেই। চলো তবে! কিন্তু সবাই যা প্ল্যান দিচ্ছে তাতে তো তিন+দুই(শনি রবি) হবে না পাঁচদিনে। হবে না একেবারেই? আচ্ছা দেখা যাক দেখি? খুব ভয়ানক তোলপাড় করে একটা খুব হেক্টিক প্ল্যান দাঁড় করালাম। বুধবার ট্রেনে চড়ব, বেস্পতিবার মাঝরাতে নামবো, ওখান থেকে  অজন্তা, সেদিনই সন্ধ্যেবেলা ঔরাঙ্গাবাদ। পরেরদিন ইলোরা আর আওরঙ্গজেবের সমাধি। তারপর দিন ঔরঙ্গাবাদের গুহা,  বিবিকা মুকবারা আর দৌলতাবাদ ফোর্ট দেখে ট্রেনে চেপে বসব। দিয়ে পরদিন হাওড়া। সহজ সরল নিষ্পাপ প্ল্যান। কিন্তু এরকম নিষ্পাপ প্ল্যানে ময়ূরাক্ষী আর সৌরভ ছাড়া কাউকে পেলাম না। তাতে কী আর আমায় দমানো যায়। সুতরাং টিকিট কেটে বসে রইলাম, যদিও ফেরারটা ওয়েটিং।যা হবে দেখা যাবে!

যাওয়ার আগের দিন রাতে পেলাম মেসেজ, সাড়ে পাঁচঘন্টা রিস্কেডিউল হয়েছে ট্রেন। হয়ে গেল! ঠিক আছে ভুসাবালে পৌঁছবার কথা পৌনে দুটোয়,পাঁচ ঘন্টা পর হলেও ক্ষতি নেই, এমনিতেও হোটেল বুক করিনি ট্রেন লেট করে বলেই।  কিন্তু জীবনের হিসেব কবেই বা অত সোজা হয়েছে! কিন্তু সে কথায় পরে আসছি। অজন্তা ইলোরা দেখতে গেলে খানিক পড়াশোনা করে যাওয়া ভালো। না হলে দেখা হয় বটে, ভালো রস পাওয়া যায় না। আমরা দু কপি অজন্তা অপরূপা কিনে তো ছিলাম, কিন্তু পড়া হয়নি কিছুই প্রায়। মানে বই হিসেবে অসামান্য কিন্তু যা হয় আর কি। শেষে লাস্ট মিনিট সাজেশনের মতো করে রিসেন্ট গেছে এমন লোক, নারায়ণ সান্যাল, একটা গাইড বই, একটা দুটো ব্লগ দেখে গুহার নাম্বার মার্ক করা হল। এবার সেই সেই গুহাগুলোই মূলতঃ পড়া হবে। বাকি পড়ার সময় নেই আপাতত! ছবি খুব অল্প গুহাতেই টিকে আছে। বাকিগুলো পড়ে পড়লেও একই হবে। বলাই বাহুল্য এ দলে আমি হলুম সবচেয়ে খারাপ ছাত্র। তাই আমি বালিশে হেলান দিয়ে হ্যাঁ হ্যাঁ ইলোরার পড়াশোনাটা করছি তো বলে বাইরে তাকিয়ে রইলুম। বেশ খানিকক্ষণ পড়াশোনা করে বাকি দুজন ক্রমেই নেতিয়ে পড়তে লাগলো। আমিও নেতিয়ে পড়ছিলাম, তবে সে পড়ার কারনে না, পড়েছি ঘন্টা! আমি স্রেফ কোন গুহা কোন ধর্মের,  কী বৈশিষ্ট্য এটুকু দেখে রেখে দিয়েছি। আমি মুষড়ে পড়ছিলাম, গাড়ির লেটের বহর দেখে!

সাড়ে পাঁচ ঘন্টা ক্রমে বাড়তে লাগলো। এত পড়াশোনা এত প্ল্যান, এত কষ্ট সব যে বৃথা যায় রে! রাতে মরীয়া হয়ে একটা ক্যালকুলেশন করলাম, যদি ট্রেন উনিশ ঘন্টা লেট হয়(মানে ম্যাক্স ধরছি) অজন্তা দেখতে এক ঘন্টা সময় পাই তো থেকে যাবো। পরের দিন আরো কিছু ঘন্টা সময় ঘুরে আওরাঙ্গাবাদ পৌঁছে ফোর্ট দেখে নেবো, তৃতীয় দিন অর্থাৎ শনিবার ইলোরা দেখে ট্রেনে উঠবো। আর যদি এমন হয় শুক্রবার ফোর্ট দেখা হল না, তাহলে চাপ নেই রবিবার ফিরবো ফ্লাইটে। মাথা পিছু এক্সট্রা প্রচুর খরচ হবে বটে কিন্তু আমরা তো জীবনে বেড়ানোটাই প্রায়োরিটি হিসেবে সেট করেছি, আর বেড়াতে বেরিয়ে এরকম হলে কিই বা করা যাবে। অন্য কোথাও কৃচ্ছসাধন করে নেবো না হয়। তবে ট্রেন যে লেটে চলছে এখনো অব্দি, তাতে সম্ভব এখনো। মানে বৃ্হস্পতিবার সকাল দশটা এগারোটা  নাগাদ(মানে আট নয় ঘন্টা লেট) পৌঁছে দিলেও করে নেবো ঠিক।  সকাল হল, সাতটা আটটা, আমাদের হিসেব সব ফেইল এখন। বারবার ট্রেনের স্পীড দেখছি আর eta দেখছি, সে খালি বেড়েই চলেছে। 
ওদিকে আমাদের পাশের সাইড আপারে সহযাত্রী হিসেবে পেয়েছি চিকু ও তার মাকে। সে এক ভয়াবহ অভিজ্ঞতা। চিকুর মা খুবই ইংরেজি ভাষা প্রেমী। সারাক্ষণ চিকুকে বলে গেলেন, "চিকু নটি করছ খুব", " চিকু নটি করেনা ", "ও মাই গড, চিকু কী নটি করছে!",  "ওই দেখো কাউ", " নোংরা হয়ে গেছ, নটি করে, এসো ওয়াশ করে দিই"।  একে ট্রেন লেটের চিন্তা তাতে ওই সমানে নটি করোনা শুনে শুনে ইচ্ছে হচ্ছিলো গিয়ে বলি, "বোনটি আমায় দয়া করো,দুষ্টুমি যদি করে করুক, কিন্তু নটি কোরোনা শুনতে পারছি না আর।" যদিও চিকু দুষ্টুমি করেনা, সে সারাক্ষণ ঘ্যানঘ্যান করে আর কাঁদে। হয়ত এতক্ষনের জার্নিতে সে ক্লান্ত, কিন্তু আমাদের দেশে তো বাচ্ছা মানুষ করতে মোবাইল না মারধোর বা আহ্লাদে মাথায় তোলা। সভ্য ভব্য হয়ে চলা শেখাবে কি! সে নিজেও জানেনা এইটা অসভ্যতা! বাচ্ছার পায়ের ধূলো থেকে পায়খানা সব শুদ্ধ, সেখানে সামান্য ঘ্যানঘ্যান আর কান্নাকাটিতে কেউ কম্লেইন করুক দেখি! ফলে বাচ্ছাটি যখন ট্রেনে একটু চলতে ফিরতে পারছে তার মায়ের দয়া হলে তখন থামছে,  নচেত কাঁদছে। প্রায় ছাব্বিশ সাতাশ ঘন্টা এই যন্ত্রনা সইতে হল। 

প্রায় একটা পঁচিশ নাগাদ আমরা ভুসাওয়ালে নামতে পেলাম। নেমেই প্রায় উড়ে উড়ে গিয়ে আদনানজির গাড়িতে। আদনানজি মোটাসোটা লাল দাড়ির ভালো লোক। এত দেরী হয়েছে তাও চলে যায়নি। রয়ে গেছে। সে আমায় সাঁইসাঁই করে নিয়ে পৌঁছে দিল অজন্তা। সেখানে তার এক বন্ধু দোকানদার, (অবশ্যই তার দোকানে যেন যাই ফেরার সময় সে কড়ারে) আমাদের অজন্তার গুহায় পৌঁছবার বাসে তুলে দিলো। প্রথম গুহায় পৌঁছলাম প্রায় উড়েই বলা যায়! আড়াই ঘন্টা মতো সময় আছে,  যতটা দেখা যায় আর কি। ঘন্টা তিনেক হলে ভালো হত, ঠিক আছে সব ভালো কী আর একসাথে মেলে! 

বহুবার ফাঁকি মেরে বহু ঠেকে শিখেছি পড়াশোনার বিকল্প নেই। জানতে গেলে ওইটি ছাড়া সত্যিই উপায় নেই। এবারে আমি পড়িনি অত কারন জানি বাকি দুজন ও ব্যপারে ডোবাবে না।বিশেষ করে ময়ূরাক্ষী হল একদম কপিবুক ভালো ছাত্রী। যাই হোক, ভাগ্যিস নারায়ণ সান্যাল ছিলেন। অজন্তার উপর এত ভালো কাজ করেছেন তার একটা অনুবাদ হওয়া দরকার। বই পড়ে জাতকের গল্প, কোন দেওয়ালে কোন ছবি আছে,  তার আইডিয়া ছিল।  তাছাড়া আরো একটা বই নামিয়েছিলাম বলেছি আগেই। ওই আবছায়া অন্ধকারে চোখ সয়ে যেতেই সে সব মনি মানিক্য চোখে পড়ে। হ্যাঁ অধিকাংশই আজ নষ্ট হয়ে গেছে কিন্তু আশ্চর্য হয়ে যেতে হয় কী জাদুতে কীভাবে অত বছর আগে অন্ধকার গুহায় এমন আঁকা এঁকে গেছিলেন শিল্পীরা! কালো রঙ দিয়ে আঁকা গুলো অব্দি স্পষ্ট অন্ধকারেও!! কেমন করে?! আমরা আবিষ্কারের মতো করে করে ছবি খুঁজছিলাম। ওই দেখ সিংহিকা রাক্ষসীর প্যানেলটা, ওইটাই মরনাহত রাজকুমারীটা না? ওইতো রাহুল, গোপা আর বুদ্ধদেবের ছবিটা, যেখানে বুদ্ধদেব ভিক্ষাপাত্র নিয়ে আলোকজ্জ্বল হয়ে আছেন। আচ্ছা মহাকপি জাতকের গল্পটা পাওয়া গেল না না? আর ওই তো অবোলোকিতেশ্বর!! আহাহা। সত্যিই করুণা ফুটিয়ে তুলেছেন শিল্পী দক্ষ হাতে!! গুহা থেকে গুহায় ঘুরছি আর প্যানেলে প্যানেলে চোখ আটকে যাচ্ছে। কেমন করে চৈত্য এলো, বুদ্ধদেবের মূর্তি এলো, মহাযান সব স্পষ্ট হচ্ছে। মহাপরিনির্ব্বান এর বুদ্ধের মুখে কী অপরূপ প্রশান্তি স্রেফ ছেনি হাতুড়ি দিয়ে ফুটিয়ে তুলেছেন!!আপনারা যদি কেউ কখনো অজন্তা যান অবশ্যই পড়ে যাবেন। না হলে স্রেফ "আহা কত সব আঁকা, সব নষ্ট হয়ে গেছে" বলেই চলে আসতে হবে।  নিজের মতো ভেবে নিলেও দোষ কিছু নেই, তবে আরেকটু আনন্দ পাবেন আর কি! 
এইসব পুরোনো জায়গায় গেলেই আমার বড় আশ্চর্য লাগে। আমি হাঁ করা,  মানছি, কিন্তু হাজার  দেড় হাজার বছর আগে এ জায়গাটা কেমন ছিল ভাবতে ইচ্ছে করে। হয়ত সাধনার একটা অংশ ছিল, নির্জন গুহায় অন্ধকারে রঙের মেলা বসানো, নাকি নির্বাসনে যাওয়া লোক বেঁচে থাকার জন্যই রঙ, ছেনি হাতুড়ি হাতে নিয়েছিল! আমাদের বিজ্ঞান বড় পিছিয়ে আছে, এইসব পাথর গাছ সূর্যের আলোয় কত কথা লুকিয়ে থাকে অথচ যোগাযোগের উপায় নেই! অজস্র মানুষের ভীড়ে স্রেফ খাই দাই বগল বাজাই এর জন্যই সব আয়ূ শেষ! পালটা যুক্তিতে বলাই যায় জেনে কী করবে, কথা বলালে নিজের মতো করেই শুনবে, নিজের ইন্টারপ্রিটেশানে, তার চেয়ে বাপু কল্পনাই করে নাও। কিন্তু তাও আমার বড় সাধ হয় গাছেদের সাথে পাথর মাটির সাথে কথা বলতে, হারিয়ে যাওয়া দৃশ্য দেখতে! 

আস্তে আস্তে সূর্য নেমে গেল, সোনার রঙে রাঙিয়ে দিল যাবার সময় চারদিক। আমরাও গুটি গুটি এগোলাম। নারায়ন সান্যাল এর বইতেই পড়েছিলাম, এক গাঁওবুড়ো, অজন্তার রিস্টোরেশনের সময় একদিন এক গুহায় বসেছিল বৃষ্টির হাত থেকে বাঁচতে। অনেকক্ষন বসে থাকার পর দেওয়ালে তাকিয়ে দেখে একটা ছবি, আরে এ ছবি তো সে এখনো আঁকেনি, এঁকে ফেলে সাহেবদের দেখাতে হবে তো। বাড়ি ফিরে সে আঁকে, সাহেবকে দেখায়। সাহেব অবাক হয়ে বলে এ ছবি পেলে কোথায়? এতো নষ্ট হয়ে গেছে! সত্যিই সেই গুহায় পরে ফিরে আর কোনো ছবিই পায়নি সে আর। নারায়ণ সান্যাল এর একটা ব্যখ্যা দিয়েছেন, আমাদের অবিশ্বাসী মন যাবার আগে বলেছে হয় এ শুনেছিল বাবা দাদার থেকে নয়তো,  কারোর থেকে। কিন্তু গুহায় পৌঁছে, অব্ধকারে চোখ সয়ে যাবার পর আমরাও অনেক ছবি খুঁজে পেয়েছি, যা প্রথমে ঢুকেই পাইনি। না সে ছবি নষ্ট হয়ে যায়নি, এমন না খালি আমরাই দেখেতে পেয়েছি। কিন্তু ওই যে চোখ সয়ে যাওয়ায় কালোর মধ্যেই কালো রঙ দিয়ে আঁকা দেহ খুঁজে পাওয়া এ যেন অলৌকিক।  আমার শিল্পীর চোখ, মন, সাধনা কিছুই নেই, তাতেও আমি যদি প্রায় আবছা হয়ে যাওয়া ছবি, প্রায় মিলিয়ে যাওয়া ছবি খুঁজে পাই কে বলতে পারে অজন্তার সেই হারিয়ে যাওয়া ছবির শিল্পী প্রকৃত এক শিল্পীকে দেখে তার শিল্প দেখিয়েছিল। কিংবা এক মুহূর্তের জন্য হয়ত অন্য কোনো ডাইমেনশনে চলে গেছিল, যেখানে কিছুই হারায় না?

Sunday, January 15, 2023

নবান্ন

একেকটা শব্দ থাকে বড় মোলায়েম হয়, হাত বোলানোর মতো নরম। আবার একেকটা শব্দ কেমন রেশ রেখে যাওয়ার মতো হয়। নতুন সুর,  নতুন শব্দ যারা তৈরী করতে পারেন তাদের আমার জাদুকর মনে হয়। বিপন্ন বিস্ময় শব্দটা যতবার শুনি কেমন যেন লাগে। বহু ব্যবহারে ধুলো পড়ে গেছে হয়ত কিংবা যারা কবি বা সাহিত্যিক বা ভালো পাঠক তাদের শুনে নির্ঘাত হাসি পাবে ওহ এতক্ষন ধরে এত কথা বলে সেই বিপন্ন বিস্ময়ের কথা বলা!  কিন্তু শব্দটা এত জ্যান্ত! নাকি শব্দবন্ধটা এত জ্যান্ত বলাটা ঠিক হত? ট্রেনে করে ফিরছিলাম, ধান কাটা হয়ে গেছে,পৌষ মাসের শেষ। নবান্ন কাল।মাঠের উপর একটা ধোঁয়ার স্থির রেখা চলে গেছে দিগন্ত জুড়ে, বিকেল ক্রমে সন্ধ্যের দিকে এগোচ্ছে। কারোর বিস্ময় নেই কেন? আশ্চর্য লাগে না, রোজ এক জিনিস এমন নতুন করে হয় কী করে। একবার ট্রেনের মধ্যে চোখ বোলালাম, ফোনের নিমগ্নতা, নয়ত ক্লান্ত চোখ বুজিয়ে ঘুম। বহুদূর থেকে আসছে এ ট্রেন তাই হয়ত আর বিস্ময় অবশিষ্ট নেই।তার মধ্যে দেরীতে চলছে,বাড়ি ফেরবার তাড়াটাই বেশী। বাড়ি তো যেতেই হবে,  আজ থেকে তিনদিন পিঠের উৎসব, মা ফোন করেছিল, পিঠে বানাচ্ছে, নলেন গুড় আর পিঠের সুবাস যেন এই ধান কাটা হয়ে যাওয়া মাঠের হাওয়ায় ভেসে আসছে। কিন্তু,রাস্তার আকর্ষনও তো কম নয়! ওই সূর্যটা আরেকটু লাল হল, আরো দূরে গেল, এখন স্রেফ লালচে আভা, তারও কত রকম শেড!তারপর ঝুপ করে অন্ধকার। অন্ধকারে চোখ সয়ে গেলেও আবছা গাছপালা দেখি। বিশেষ করে কী আছে বলতে বললে বলব দেখার কিছুই নেই, ফি হপ্তাতেই আমার এ পথ দিয়ে যাওয়া,  তবুও এই আবছায়া,  এই আলো আঁধারি, এই বিকেল, গোধুলিতে বড় অবাক ভাব জন্ম নেয়, কেমন যেন আশ্চর্য লাগে। আর পালাতে ইচ্ছে করে কোথাও।
পালানোর বদলে অবশ্য নলেন গুড়ের বাটিতেই ঝাঁপ মারি, হাসতেই পারো,  মোল্লার দৌড় ফেসবুকের স্ট্যাটাস বলে। কিন্তু এ বোধহয় তবু ভালো একটুও বিস্ময় না থাকার থেকে। সব অবাক হওয়া ফুরিয়ে গেলে আমার নতুন অন্নের আনন্দও যে ফুরিয়ে যাবে!