Wednesday, March 31, 2021

অনেকদিন পরে পাহাড়ে (চার)

দাওয়াইপানি থেকে ব্রেকফাস্ট করেই বেরিয়ে পড়েছিলাম। রাস্তা বেশী না, তবু সেই টুকু রাস্তাও আমাদের পাশে পাশে সঙ্গ দিয়ে গেল কাঞ্চনজঙ্ঘা।  দার্জিলিং এই নিয়ে তৃতীবার আসা আমার। সত্যি বলতে এ আগে দুবার ঘুরে আহামরি আমার লাগেনি, কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখতে পাইনি বলে না; বড় বেশী বাড়ি, বড় বেশী লোক যেন। প্রথমবার এসেছিলাম বন্ধুদের সাথে, ঝিরঝিরে বৃষ্টির সাথে এক বিকেলে আলাপ হয়েছিলো, কোত্থাও জায়গা না পেয়েউঠেছিলাম আস্তাবলের ওদিকের এক হোটেলে। সে একেবারে হোটেল ডিলাক্স টাইপ, পাশের ঘরে সব কছু শোনা যায়। পরের রাতটা অবশ্য সে সময় আমাদের জন্য খুউউউব ভালো হোটেলে কেটেছিলো। এখন খুঁতখুতানি বেড়ে গেছে কি? দুরাত হুরুম হারুম ছোটাছুটি করেই কেটে গেছিলো। আর একবার মা আর দিদিভাইদের সাথে, সেও ছিলো বর্ষার দার্জিলিং, সেবারেও মিরিক যাবার কুয়াশা আর মেঘ মাখা রাস্তাটা ছাড়া আর কিছুই তেমনঅনে দাগ কাটেনি। মেঘ মাখা পাহাড়ি গাছের ভীড়ে পাহাড় বড় অদ্ভুত সুন্দর লাগে। কী যেন রহস্য ঢাকা আছে ওইদিকটা, পা বাড়ালেই কোন অচেনা জগতে ঢুকে যাবো যেন, সে আমাদের সাধারন লাভ ক্ষতির জগতের বাইরে।বাকি দার্জিলিং বড় ঘিঞ্জি।

 

 শুনে মোহর বলেছিলো, "বেশ তো এবার আমার সাথে চলো, দেখাই যাকনা আমার প্রিয় শৈলশহরটা তোমার ভালো লেগে কিনা।"  আমরা উইকেন্ডটা এড়িয়ে ছিলাম ইচ্ছে করেই, লোক কম হবে। রাজভবনের পাশে গাড়ি দাঁড়ালো, আমি তো এর আগে রাজভবনের দিকটাতেই আসিনি! হোটেলের ঘরে পৌঁছে জানলার পর্দা সরাতেই কাঞ্চনঞ্জঙ্ঘা! আহা ঘরটাও ভালো, এ কদিন তো নিজেদের আনা চাদর বদলে থাকা হচ্ছিলো এখানে আর সে ঝামেলায় যাবার দরকার পড়লো না, ওরা চোখের সামনেই অন্য একটা ঘর রেডি করছিলো দেখে খানিক ভরসা মিলেছিলো। চান টান করে ইলেক্ট্রিক হিটেড কম্বল্রর তলায় পা গুটিয়ে বসে যা আরাম বাপরে বাপ।কিন্তু ঘরে বসে থাকতে মোটেও ভাল্লাগেনা। দার্জিলিংের আশপাশে কিচ্ছু দেখবো না এমনটাই ঠিক আছে। স্রেফ এদিক সেদিক খাবো, রাস্তায় রাস্তায় হাঁটবো, ভীড়ে কিংবা বাজারে। উইকডেজের বেলা,  তাই ম্যালের পিছনের রাস্তায় লোক নেই তেমন, এক দুজন স্থানীয় লোক পেরিয়ে যাচ্ছে, এক বুড়ি চা নিয়ে বসে আছে, যাকে আমরা রোজই পাক খাবার সময় দেখতে পাবো। দার্জিলিং মানেই ফেলুদা ফেলুদা গন্ধ এমন, ম্যালে এসে জানতে ইচ্ছে করে পশ্চিমদিক কোনটা, সকালে কোন বেঞ্চটায় রোদ পড়ে....সর্বোপরি সেই সময়কার দার্জিলিংটা কেমন ছিলো ঠিক? ভানুভবন তখন এরকম মাথা চাড়া দিয়ে সমস্ত ভিউ বন্ধ করে দেয়নি, ঘোড়ায় চড়া একটা থ্রিলিং ব্যপার ছিলো নির্ঘাত, বাঙালীর হাতে সময় ছিলো নিজেকে দেবার, সাতদিন দার্জিলিং শুনে অবাক হবার ব্যপার ছিলো না।

 

কেভেন্টারস আহ একেবারেই ফাঁকা। একটা স্থানীয় ছেলে ছোকরাদের দল বসেছে ক্লক টাওয়ারের  দিকটায় বাকি ফাঁকাই। কেভেন্টারাসের সুবিধে হল, মেনু ঠিক করার দরকার নেই, কী খাবো জানি। স্বাদ নিয়েও চিন্তা নেই, আবেগেই মোটামুটি ভালোলাগা স্থির হয়ে যায়, তা না হলে ছোটবেলার দুর্গাপুজোর সব স্মৃতি এত ভালো হয় কি? রেস্তোরাঁয় খাওয়া নিয়ে একটা কথা বলি, আমি আর মোহর যখন বিয়ের আগে রেস্তোরাঁয় যেতাম, মূল উদ্দেশ্য থাকতো সময় কাটানোর বয়সকালের প্রেম, চড়া রোদে মাইলের পর মাইল হেঁটে বেড়ানোর উৎসাহ বা ক্ষমতা আর ছিলো না। কিন্তু সমস্যা হত, খাবার এলেই আমরা একবার চুপ করে যেতাম, এবং মিনিট দশেকের মধ্যে প্লেট সাফ। নে এবার কত বসে থাকবি থাক! ফাঁকা কেভেন্টারস এর ছাদও তাই আমাদের বেশীক্ষন আটকাতে পারলো না। পর্ক প্ল্যাটার এর পর হট চকলেট,  কফি তাতেও না। শেষে নীচে নেমে আইস্ক্রীম নিয়ে হাঁটা দেওয়া ছাড়া উপায় রইল না। 



আগে দুবার দার্জিলিং এসেছি কিন্তু আমি চার্চটা দেখিনি। সত্যি! যদিও চার্চ বন্ধ ছিলো, কিন্তু বাইরে থেকে দেখতেও কম ভালো লাগছিলো না। নির্মল ঝকঝকে আকাশের গায়ে চার্চের টাওয়ারটা দাঁড়িয়ে ছিলো আরাম করে। চার্চের পাশেই পশ্চিমবঙ্গ ট্যুরিজমের হোটেলটা।আমরা জায়গা পেয়েছিলাম কিন্তু ঘর গুলো যতটুকু দেখেছিলাম ইন্টারনেটে কেমন কেমন লাগছিলো, ছাড়াছাড়া মাংসের ঝোল যেমন হয়...সরেজমিনে দেখতে গিয়ে দেখি পুরোনো দিনের এই বড় বড় ঘর, পুরোনো আসবাব, ফাঁকা ফাঁকা চারদিক। মন খারাপ করা যেন। সামনের লনটা ভালো, তবে সে বুড়োদের জন্য আর বাচ্ছাদের জন্য। চুপ করে লনে বসে থাকার মতো ধৈর্য্য কিংবা ঘাসে দৌড়ে বেরানোর সরলতা আমাদের নেই।  




তারপর ফের হাঁটা শুরু করলাম, আরো পিছন দিকে, রাজভবন পেরিয়ে গেলাম, কি একটা যেন পার্ক আছে, বড় বড় গাছ পালা ছাওয়া সেও পেরিয়ে গেলাম। ট্যুরিস্ট নেইই এ রাস্তায়,স্থানীয় লোক, স্থানীয় বাড়ি। পাহাড়ের বাঁকে,  গাছের ছায়ায় সত্যি বলতে দার্জিলিং ততক্ষনে ভালোবাস্তে বাধ্য করে ফেলেছে আমায়। 





Sunday, March 14, 2021

অনেকদিন পরে পাহাড়ে(তিন)

 সেই কবে ছায়াতালে মোমো খেতে খেতে থেমেছিলাম। তারপর লম্বা গ্যাপ দিয়েছি। সরি হ্যাঁ? 

সকাল বেলাতেই বেরিয়ে পরবো,  লম্বা পাড়ি দিয়ে দাওয়াইপানি।  ছোট্ট পাহাড়ি গ্রাম, কয়েকটা হোমস্টে, গাছপালা জঙ্গলে ঘেরা। দাওয়াইপানি আজকের ইন্টারনেট যুগে অচেনা নাম না, দার্জিলিং এর কাছেই। মুশকিল অন্য জায়গায়, আজকাল কোনো জায়গাই অফবিট নেই, তাই সব জায়গাতেই ভীড়,  "কাল থেকে তো সমানে পাদলা পায়খানা হচ্ছে" ,  বাক্যাংশ শোনা যায় গভীর রাতের নিস্তব্ধতা ভেঙে দিয়ে কিংবা উড়ে আসে ব্লুটুথ স্পিকারে টুম্পা সোনা অধিকাংশ জায়গায়। আরেকটা দিকও আছে, যেটা সত্যি বলতে কোভিডের আগে কখনো চোখেও পড়েনি। একটা কম্বলের ওয়্যার পড়াতে খুব এক্সট্রা পয়সা লাগে না খুব কিছু, হোমস্টে গুলোতে সেই কন্সেপ্টই নেই। কেন কে জানে!দাওয়াইপানিতে আমারা থাকবো ঠিক করেছিলাম যখন যে ভদ্রলোকটির সাথে কথা হয়, ফোনের ওপারে ভারী বিনয়ী নম্র এক পাহাড়ি মানুষ। বীরেন রাই এর দু রকম ঘরের একটু বেটার যেটা সেইটায় বুক করেছিলাম মাস দুয়েক আগে প্রায়। ভদ্রলোক ফোনে জানিয়েছেন যে ভালো রাস্তায় কাজ চলাচলের জন্য আটকে আছে, অন্য একটা পাথুরে রাস্তা আছে সেটায় আসা সব ড্রাইভারের জন্য সম্ভব নাও হতে পারে। কথাবার্তা বলে ঠিক করা গেলো তিনমাইল অব্দি আমরা যাবো নিজেদের ঠিক করা গাড়িতে বাকিটা ও ব্যবস্থা করবে। কালুক থেকে দাওয়াইপানি কম দূর না। বীরেনের মাখন হাত, ঝকঝকে নীল আকাশ, উচ্ছল তিস্তা নদী সে রাস্তা নিমেষে পেরিয়ে যায়। ছেলে ঘুরতে ভালোবাসে, ছবি তুলে বাঁধিয়ে রাখে ঘরে, বন্ধুরা মিলে ঘুরতে গেলে ফূর্তি না করে স্রেফ স্টিয়ারিং এ মন দিতে হওয়ায় ভেবে নিয়েছে এবারে আর নিজে গাড়ি চালিয়ে যাবেনা ঠিক করেছে। হাসিখুশী, নম্র এবং দক্ষ ছেলেটাকে ভারী ভালো লেগেছে। আবার কখনো দেখা হবে কিনা কে জানে!


 তিনমাইল থেকে দাওয়াইপানির রাস্তাটা আহাহা।এবড়োখেবড়ো রাস্তায় সচরাচর গাড়ির চাকা চলে না বোঝা যায়।দুধারে ঘন জঙ্গল, পাখির ডাকের আওয়াজ শোনা যায় না অবশ্য গাড়ির আওয়াজে। এই রাস্তাটায় আবার আসতে হবে তো পায়ে হেঁটে। দাওয়াইপানিতে কিচ্ছু করার নেই সেইটাই একটা ভালো দিক, পাহাড় দেখো, জঙ্গলে হাঁটো বা গ্রামে ঘোরো ব্যাস। কিন্তু শুরুতেই মুশকিল। বীরেন রাই গেছে গ্রামের লোকের সাথে হাত মিলিয়ে রাস্তা ঠিক করতে,  আর ওর বউ আমাদের ঠিক করা ঘর দিয়ে দিয়েছে অন্য এক দলকে। তারা তো এরকম মওকা পেয়ে আর বেরোবেনা ঘর থেকে। এদিকে অন্য যে ঘরটা দিচ্ছে সেটা বড়ই ঘিজিমিজি মতো, মানে একটা গ্রুপ এসেছে তারা তোয়ালে পরে খালি গায়ে দেখলাম নতুন অফার করা ঘরটার পাশের ঘরটা থেকে বেরোচ্ছে। আমায় আপনারা নাক উঁচু বলতেই পারেন, কিন্তু কিছু জিনিস আমার বরদাস্ত হয়না।  খালি গায়ে তোয়ালে জড়িয়ে বেরিয়ে আসা এই দল শিওর রাতের বেলা উল্লাস যাপন করবে মদ খেয়ে  কন্ট্রোল করতে না পেরে বমি করে বা চড়া মিউজিক চালিয়ে। পাহাড় মাখতে  এসে এসব আমার পোষায় না। সুতরাং অনড় হয়ে দাঁড়িয়ে রইলাম, ওই ঘরে যাবো না। ফোনাফুনি, এক্সপ্ল্যানেইশন ইত্যাদির মাঝে দেখি এক বাঙালী লোক এসে বলছে, "কী হয়েছে?" বাঙালী দেখে নেচে উঠেছি এমন না, কারন বেশীরভাগ সময় বাঙালীরা এসব ক্ষেত্রে অ্যাডজাস্ট করার পরামর্শ দেয়, তাছাড়া উটকো লোককে জবাব দিতেও ভাল্লাগেনা। 




ভদ্রলোক নরম গলায় বললেন, ওনার নাম সূর্য।  এখানেই আড্ডাহাট বলে একটা হোমস্টের মালিক। একবার যদি আমরা দেখে নিই ঘরটা।  সমস্যা যখন হয়েইছে, এটা ওনার গ্রাম, গ্রামের অপবাদ হতে দিতে চাননা বলেই বলা। মুখের উপর না বলা যায় না, পছন্দ না হলে না বলব, একবার দেখেই আসা যাক। আড্ডাহাট একটু উপরে, চড়াই ভাঙতে হয় একটু। পিছন থেকেই  জঙ্গল শুরু। দেখে ভালোই লাগলো। থেকেই যাই নাকি?


 


ভদ্রলোক জানালেন,ওনার বন্ধুরা এসেছে, সময় কাটাতে একসাথে,বোর্ডার আর কেউ নেই তাই কুক ছুটিতে।  মায়াই লাগলো,  বেচারা, তার চেয়েও মায়া লাগলো বন্ধুর বউদের  উপর,  তাদেরই রান্না করতে হচ্ছে কিনা। এক্সট্রা এক জোড়া লোক তাদের দেখাশোনা। কোনো মানে হয়! কিন্তু কোনো রকম অসন্তোষ না রেখেই তারা আমাদের খেয়াল রেখেছিলো একথা না বললে অন্যায় করা হবে। আড্ডাহাট এর একটা লম্বা বারান্দা আছে, সব থেকে কোনের ঘরটা আমাদের ছিলো, বাকি দুটোয় সূর্যবাবুর বন্ধুরা ছিলো, তারা নিজেদের মধ্যে আড্ডায় ব্যস্ত, নীচে, উপরটা আমাদেরই দখলে বলা যায়। 

কালুকে কেনা পেয়ারা ওয়াইন।দেখতে অবশ্য স্কচের মতো


খেয়ে দেয়ে যে পথে গাড়িতে এসেছিলাম সেই রাস্তাতেই খানিক হাঁটা গেলো। ফিটনেস কমে গেছে খুব। চড়াই ভাঙতে কষ্ট হয়। কেউ কোত্থাও নেই, চেনা অচেনা কিছু পাখিরা ছাড়া। ক্যাঁ ক্যাঁ করে ডাকছে গাছের আড়ালে লুকিয়ে। বনে জন্তু কিছু আছে ছোটো তারাও লুকিয়ে আমাদের দেখছে কিনা কে জানে! এক জায়গায় খেলার মাঠ করা আছে। এতো গুলো গাছ কেটে মাঠ বানালো বলে ভাবতে গিয়ে টের পেলাম এটা ন্যাকামি হচ্ছে, হোমস্টেতে যে থাকছি, সেও গাছ কেটেই গড়ে উঠেছে, এই গ্রামটাই তাই। তা বেচারারা খেলবে কোথায় তাহলে? আবার এই করে ভাবতে গেলে পুরো জঙ্গলটাই সাফ হয়ে যায়! আমাদের এখন সামনে ঢাকতে গেলে পিছন ফাঁক হয়ে যায় আর পিছন ঢাকতে গেলে সামনে দশা। জনসংখ্যা আর লোভ দুইই না কমালে খুব কিছু উপায় নেই। মোটা ল্যাজওয়ালা কালো রঙের কী যেন ফস করে পিছন দিয়ে পার হয়ে গেল!  গা ছমছমে কোনো জন্তু বেশ! ভাবার তো দোষ নেই, দেখতে যখন পাইনি,বন বিড়ালই বা ভাববো কেন শুধু! 

বনপথে হাইক করে ফিরে গ্রামটা একটু ঘুরতে না ঘুরতেই বীরেন রাইজি হাজির হলেন। অত্যন্ত কাঁচুমাচু মুখে বারবার ক্ষমা চাইছিলেন। দেখে মায়াই লাগছিলো, আমরাই উল্টে বললাম আর কি করা যাবে! ক্রমে অন্ধকার নেমে এলো, গাছের ফাঁকে, বারান্দায়। প্রচন্ড ঠান্ডা হলেও ওই নির্জন বারান্দায় আমরা ঝুম হয়ে বসে রইলাম কতক্ষন কে জানে,  অন্ধকারের রঙ বদলালো, হাওয়ার গতি বদলালো, নীচ থেকে সূর্যর নেপালি সহকারী দেশী মুরগী কাটতে নিয়ে যাচ্ছে আওয়াজ এলো, বাচ্ছাগুলোর আওয়াজও ভেসে আসছিলো মাঝে মাঝে কিন্তু সব কিছু ঝাপিয়ে দূর পাহাড়ের জ্বলে ওঠা আলো, আর পিছনের জঙ্গলের শীত জড়িয়ে ছিলো চেয়ারগুলোয়। 

সকালে উঠে দরজা খুলে বেরিয়ে দেখি ফের তিনি। যদিও তেমন পরিষ্কার ভিউ না, কিন্তু তাতে আনন্দের কম হয়না কিছু। আর তার সাথে কিচিরমিচির কিচিরমিচির করে একগাদা পাখি তাদের সকালের বাজার হাট, দোকান পাতি করছে। এই দোল খেলো একজন তো ঝটাপটি করলো ওই দুজন, একা বসে রয়েছে আরেকজন ওই ডালে। আমি কাঁচা হাতে একবার ওই দিক আর এই দিক করে খান কতক কে ফ্রেম বন্দী করার চেষ্টা করলাম বটে, তবে তেমন হল কই আর।