Sunday, April 8, 2018

মাঠাংবুরুর গল্প

মাঠাংবুরু ইজ ব্যাক এগেইন ^_^
(ইয়ে পুরোটা না একটুই)
**********************
"শোনো হে মাটি থেকে আকাশ যেমনই দেখাক, ও ভারী শুকনো আর স্যাঁতস্যাঁতে জায়গা"।
- শুকনো আবার স্যাঁতসেঁতে একসাথে!! দ্যাখ ব্যাটা পিঁপড়ে কাজ করে করে আলা হয়ে যাচ্ছি আর তুই আবোলতাবোল বকা শুরু করেছিস? এখন যা দেখি,কাজ কাম করতে দে, ঘুমোতে দে।
- ওরে ব্যাটা মানুষ, আমার গল্প বাজারে ছেড়ে খুব তো পিঠ চাপড়ানি খেয়েছিস হ্যাঁ, অম্নি ভাও বেড়ে গেলো না?
উপরের কথা গুলো আমার সাথে মহারাজের। আমি রে বাবা আমি, মাঠাংবুরু। মানুষ হলেও মহারাজ আমার বন্ধু মানুষ হয়ে পড়েছে, তাই আসি আমি এখানে প্রায়ই, আড্ডা মারতে। ওর থেকেই শুনলাম আমার গল্প শুনতে চেয়েছে কেউ কেউ। 
আমি তো বাউণ্ডুলে পিঁপড়ে, আমি এদিক সেদিক করেই বেড়াই, আমায় পিঁপড়ে সমাজে আর নেবে না হয়ত, কারণ আমি নিয়ম ভাঙা কাজ করি। কি করবো আমার খালি খাবার খোঁজার কাজ ভাল্লাগেনা আর। ফুলের পাপড়িতে বসে দোল খেতে খেতে সেদিন যখন একটা বড় গোল্লা বৃষ্টি এসে পড়লো আর আমি হড়কে পড়লাম আমার মনে হলো কোত্থেকে আসে ওই জল, দেখে আসা যায় না?
যেমন ভাবা তেমন কাজ। মাঠাংবুরু বেরিয়ে পড়লো। আমার তো তাড়া নেই কিছু, পৌঁছবার না ফেরার না, তাই ঘুটুংটিং ঘুটুংটুং করে হাঁটতে হাঁটতে গেলাম প্রথমে বাতাসার দোকানে। বাতাসা আজকাল ভালো স্বাদ হচ্ছে না হে, একটু চেটে দেখি কোন বজ্জাত পিঁপড়ে আগেই চেটে গেছে! যাকগে যাক, একটু রাবড়ি খেয়েই রওনা দেবো। মন মেজাজ ভালো নেই বিশেষ, পাশের বাড়ির আমার হতে পারতো পিঁপড়েনী ওপাড়ার লম্বুকোটং কে নিয়ে নৌকা চড়ে ঘুরতে গেছে।

রাবড়ি খেতে হয় খুব সাবধানে, আমাদের পিঁপড়েদের জীবন খুবই বিপদসংকুল। এই ধরোনা কেন রাবড়ি এমন ভালো জিনিস কিন্তু আনমনে একটু বেশী ভালোবেসে ডুব দিতে গেলেই চিত্তির। আমাদের দলপতি কুরুণ্ডিয়া খুবই কর্মপটু, আমাদের শুরু থেকেই শিখিয়ে দিয়েছে তাই আমাদের দলের কেউই বেশী লোভ করতে গিয়ে ডুবে যায়নি কখনো তা রাবড়ি হোক কি গুড়, পাশের দলে গেছিলো শুনেছি। আমি অবশ্য তখন খুব ছোট।

রাবড়িতে মুখ ডুবিয়ে চুকচুক করে খেয়ে ফের রওনা দিলাম। কি করে বৃষ্টির খবর আনা যায় কে বলে দেবে আমায়? ওই জলের গোলা কে বৃষ্টি বলে মানুষেরা আমি শুনেছি। আমার গল্প তোমাদের ভাষাতেই বলবো, তোমাদেরকে বলছি যখন। মাটির উপর দিয়ে চলেছি, কত রোদের পথ পার হলাম খেয়াল রাখিনি, আসলে বৃষ্টির খবর আনতে যাচ্ছিলাম বটে কিন্তু রাস্তায় যে গাছ পাহাড় নদী দেখছি তাদের সাথে গল্প করছি আর ভুলে যাচ্ছি সব। 
মানুষদের কত কী লাগে বাপ্স রে! মস্ত একখানা গুবড়ে পোকা টাইপ কিসে একটা যেন করে এক ঝাঁক মানুষ কোথায় যাচ্ছে যেন, রাস্তায় এ ওকে ধাক্কা দিয়ে চলেছে সব, মাঝে মাঝে ওই বড় পোকার মতোর জিনিস গুলো ধাক্কা দিচ্ছে হুশ হুশ করে কি যেন বলছে। আমরা পিঁপড়েরা বাপু অমন হুড়োতাড়া করিনা। কাউকে ধাক্কা দেবোই বা কেন, সবাইই তো চিনির দানা নেবে।

হাঁটতে হাঁটতে একটা লাল চোখো গিরগিটির সাথে দেখা হলো। লাল চোখ দেখে ভয় পাবার কিছু নেই, ও খুবই লাজুক, অচেনা কাউকে দেখলেই রঙ বদলে বদলে মিশে যায় যাতে ওকে আর কেউ না দেখে, কেউ না জানে। অনেক্ষণ চলেছি তো খুব তেষ্টা পেয়েছিলো, খিদেও, তাই একটা ফুলের মধ্যে শুয়ে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। ঘুম ভাঙতে দেখি একটা নদীর ধারে শুয়ে আছে, একটা নীল মাছ এসে এসে আমার ফুলটার গায়ে নাক দিয়ে ঢুঁসো মেরে যাচ্ছে। আসলে হয়েছিলো কি আমি ঘুমিয়ে পড়ার পর নীল পাখি এসে ওই ফুলে মধু খেতে গেছে তারপর, ফুলটা পড়েছে জলে, ভাসতে ভাসতে এসে হাজির হয়েছি এখানে।

নীল মাছ খুবই ভালো ছেলে, আমার মতোই। আমি ভালো এ কথাটা মহারাজ না লিখলে পরের বার কোনো গল্পই আর বলব না বলে দিলাম। যাই হোক নীল মাছকে বললাম কি করে বৃষ্টি হয়? কোত্থেকে আসে? ও ভালো বলতে পারলো না, তবে আমায় পাহাড়-নদীর গল্প শোনালো।

তো সেবার সারা পাহাড়পুরে শোরগোল পড়ে গেলো। ঘটনা হলো যে যেমন তার মতোন কাউকে ভালোবাসাই দস্তুর। তাইই হয়ে এসেছে এতদিন। তা সেবার একটা নদী প্রেমে পড়ে গেলো একটা পাহাড়ের। পাহাড় স্থির, অচঞ্চল তাই সে ইউজুয়ালি ভালোবাসে গাছেদের কিংবা পাখিদের, যারা হয় ওর বুকেই রয়ে যায় অথবা ঘর বাঁধে। তা আমাদের গল্পে তো এ হলো গিয়ে গোলমেলে পাহাড়। সে মেঘ মাখে গায়ে, বৃষ্টিতে ভেজে, গাছের ছায়ায় শান্ত হয়, পাখিদের গান শোনে আর ভালোবাসে নদীকে। মানে যাকে বলে, একেবারে অ্যাঙ্গেলের হদ্দমুদ্দ, ত্রিকোণ টিকোন তো বাচ্ছা।ভালোবাসায় মানুষের একার অধিকার না!

তো সুর্য একটু গম্ভীর লোক, নিজের কাজের বাইরে অত হিসেব রাখে না, সময় করে আলো জ্বালায়, সময় করে কাজ শেষে পালায়। কোথায় পালায় আমি জানিনা মশাই, কেউই জানেনা। অন্য কোনো ব্রহ্মান্ডে আলো জ্বালাতে যায় কিনা, নাকি সূর্যের বেশ ত্যাগ করে জ্যোৎস্না মাখে সেসব আমার জানা নেই। মেঘ, বৃষ্টি, হাওয়া, মাটি, গাছ কেউই জানেনা। পাহাড়টা ছিলো একবগগা টাইপ, কিরম যেন একটা রুক্ষ ভাব, মাঝে সাঝে হেসে উঠে গল্প করতো বটে হাওয়া কিংবা গাছেদের সাথে কিন্তু হুট করেই ফের চুপ। তখন ছানা পাখিটা অব্দি কিচিরমিচির করতে ভয় পেতো, মা পাখির বুকের মধ্যে ঢুকে যেত চুপটি করে। বাবা পাখি মা পাখি আর ছানা চারটে পাখি, ওরা থাকতো সটান খাড়া গাছটা আছে না? ওরই একটা ছোট্ট কোটরে, কতবার বরফে ঝড়ে ওদের ঘর ভেঙেছে, তবু অদ্ভুত মায়ায় ওরা ছেড়ে যায়নি। আর ছিলো একটা হাসিখুশী ফ্যাকাশে গোলাপী রঙের ফুলের গাছ। হেসে হেসে গল্প করতো সবার সাথে, কিন্তু খুব বেশী পাত্তা পেতো না। আর ছিলো ঝাঁকালো মাথার একটা ফলের গাছ, কী ফল কে জানে পাখিরা খুব খেতো আর তাই খুব পপুলার ছিলো। হেব্বি আড্ডাবাজ, মাথা টাথা ঝাঁকিয়ে পাখিদের গল্প বলতো, পাহাড়ের সাথে ফুক্কুড়ি করতো, মোদ্দা কথা জমিয়ে রাখতো সারা পাড়া।

তো এমনই এক দিনে সেবার মুষলধারে বৃষ্টি আর ঝড়, পাহাড় পাড়া লন্ডভন্ড, পাখিদের অতদিনের ঘর দোর ভেঙে গেলো, ছোট যে নদীটা বইতো তিরতির করে সে এতো জল টল সামলাতে না পেরে ভাসিয়ে দিলো আশেপাশের সব নুড়ি পাথর, যে লাল নীল মাছগুলো খেলে বেড়াতো তাদেরও কোথায় ভাসিয়ে দিলো। অমন ঝাঁকড়ামাকড়া গাছটা দুড়ুম করে পড়ে গেলো, পাহাড়টাও হয়ে গেলো ক্ষতবিক্ষত। সে এক হন্ডুরাস ব্যাপার যকে বলে। তারপর একদিন প্রলয় ট্রলয় থামলে দেখা গেলো পাহাড় পাড়া ঘেঁটে ঘ। পাহাড়ের চুড়োয় এক খাবলা মেঘ আটকে আছে, গাছের ডালে পাখির পালক লেগে, ঝাঁকড়া গাছ টাকলা হয়ে গেছে, নদীটা আর স্বচ্ছতোয়া নেই, গাছের পাতায়, পাথরে বালিয়ে ঘোলাটে, সূর্য্যটা চমৎকার উঠেছে বটে কিন্তু হাওয়াটা দিচ্ছে ভারী মন কেমন করে করে। গোলাপী, হলুদ ফুল গুলো ঝরে পড়ে আছে ইতস্তত। ঝরনা টরনা গুলো ঝোরা হয়ে বইছে আর পাহাড়টা হয়ে গেছে ন্যাড়া, খোবলা খোবলা।

তা মশাই দুক্ষু টুক্ষু নিয়ে পড়ে থাকা মানুষের স্বভাব, এদের না। লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে? কোই পরোয়া নেহি, তাই ফের ওই লণ্ডভণ্ড পাড়াতেই ফের পাখিদের জমায়েত শুরু হয়, শেকড়ে শেকড়ে চুমু টুমু খেয়ে গাছ গুলো হয়ে ওঠে ফুরফুরে, হাওয়ার সাথে ফুক্কুড়ি করে, মেঘটা ফের ডানা মেলে, পাহাড়টা আবার গান গায়, নদীটা আবার শান্ত হয়ে বইতে থাকে। এরকমই কোনো এক রাতে বা সকালেই গন্ডগোলটা হয়ে যায়। হয়েছিলো কি একটা মাছ আটকে গেছিলো কি করে যেন পাহাড়ের খাঁজে, তা বেজায় ছটফট করছিলো এক আঁজলা জলে। তা মাছেদের তো পলক থাকে না তাই কাঁদতেও পাচ্ছে না, তাছাড়া কান্নাকাটি করতে গেলে একটু আধার লাগে। আধার বুঝলে না? আরে জলে কাঁদলে তফাৎ হবে কি করে? কান্না আলাদা করবে কি করে? ওদিকে হয়েছে কি মাছগিন্নী তো সকাল থেকে অস্থির হচ্ছে, কত্তা বাজার করে আনবে চাট্টি প্ল্যাঙ্কটন ছানাপোনা মিলে ভোজ হবে, তারপর সবাই মিলে যাবে আউটিং এ। তা কোথায় কি। কত্তা আর আসেন না। মাচগ কত্তা সংসারী মাছ, দুম করে পালিয়ে সমুদ্দুরে চলে গেছে এমনও হতে পারে না, তাহলে? বিপদ আপদ বলতে তো এখানে কিছু নেই, বড় মাছ নেই, হাঙর নেই গেলো কই তবে? গিন্নী মাছ খুব করে পাখনা টাখনা নেড়ে নদীকে জানালো। নদী এদের যকে বলে ল্যান্ডলেডি, এদের খেয়াল রাখতেই হয় না হলে নদীতে আর কেউ থাকবে না। গেলো সে স্রোতের উলটো দিকে খোঁজ নিয়ে নিয়ে পাহাড়ের সেই ফোকরে। গিয়ে দেখে মাছ কত্তার যায় যায় অবস্থা। নদী তো রেগে পারলে সুনামী হয়ে যায়। খুব করে পাহাড়এর কান টান মুলে দেবে ভেবে খামচি মেরে এক খাবলা পাথর ধরেছে। তো খুব খানিক ঝগড়াঝাঁটি আমার মাছ তোর কি, আমার খোপরে এসেছে আমি কী করবো করে উস্তুম খুস্তুম লড়ল দুজন। তারপর? তারপর মাছ পেলো ছাড়া আর নদী গেলো আটকে। পাহাড়ের বুকেই আটকে তো গেলো, দুজনের ডেটিং চলল খুব, এ কাঁদলে ও থামায় ও বকলে এ চা করে আনে, যেমন হয় আর কি।

এদিকে নদীরতো আটকে থাকলে চলে না, নদীর ধারের গাছ গুলো শুকিয়ে যাচ্ছে, মাছ গুলো রোগা হয়ে যাচ্চে, নুড়ি পাথরের ধার নাই আর। আর সত্যি বলতে নদীটারও বোরিং লাগা শুরু হয়েছে, তার তো এক জায়গায় থাকতে ভালো লাগার কথাও না, ওদিকে পাহাড়ও এতো গতিময় জিনিস ধরে রাখতে পারছে না। সুতরাং তারা বিচ্ছেদ খুঁজে নিলো, এখনকার ছেলেমেয়েদের মতোই মিউচুয়াল ব্রেকাপ, দেখো পোষাচ্ছে না আমাদের ঠিক, চলবে না বুঝলে? বলে নদী গেলো ফিরে আপন পথে, পাহাড়ও শ্বাস ফেলে বাঁচলো।

কিন্তু দুনিয়াদারি কি আর এতো সোজা রে ভাই। এই যে আমি মাঠাংবুরু, চিনির দানা খুঁজে বেরানো কাজ যার, বেরিয়েছিলাম বৃষ্টির খোঁজ নিতে, এখন নীল মাছেদের থেকে শুনছি পাহাড় নদীর কথা! তো যাই হোক, হলো কি কিছুদিন তো দুজনেই খুব ফূর্তি হলো, নিজের নিজের জীবনে ফিরে। পাহাড় করলো ফের মেঘ, বৃষ্টি, গাছ, পাখিদের সাথে ফ্লার্টিং আর নদীও গাছ, হাওয়া, পাখিদের সাথে। কিন্তু অনেক অনেক দিন চলার পর পাহাড় দেখে পাঁজর খানা কেমন যেন খালি খালি ঠেকে, কী যেন নাই কী যেন নাই। নদীও যেন চলতে গিয়ে ক্লান্ত বোধ করে, সামনেই সমুদ্দুর যেন তার বিশাল বুক নিয়ে ডাকছে আশ্রয় দিতে। নদী আর পারে না, সমুদ্রেই মিশে যায়। তাও অনেক অনেক গভীরে যেখানে সমুদ্রে মধ্যেও এক টুকরো নদী থাকে, সেই খানে নদী অপেক্ষা করে থাকে, একটা পাথুরে রুক্ষ পাহাড়ের।

হাওয়া ছিল এদের দুজনেরই বুজুম ফ্রেন্ড যারে বলে। তা ও খুবই মুচকি মুচকি হেসে আগাগোড়া দেখে গেছে, এবার যখন বুঝলো সময় হয়েছে, পাহাড়কে নিয়ে চলল। একটু একটু করে। পুরো পাহাড় কি আর এক সাথে নিয়ে যাওয়া যায় নাকি, হাওয়া তো আর হনুমান না রে বাবা। তাছাড়া, একই ফর্মে থাকলে তো আবার গন্ডগোল হবে, তোমাকে কিছু পেতে গেলে তার জন্য প্রস্তুত তো হতেই হবে নাকি? এই যে আমি বাউণ্ডুলে মাঠাংবুরু হয়েছি তার জন্য যে আমায় পিঁপড়ে সমাজ থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে(মনে হয়), কেউ ভালো চোখে দেখে না আমায় পিঁপড়েদের মধ্যে, এও তো প্রস্তুতিই নাকি? ঘরের টান না কাটলে কি বাইরে বেরোনো যায়?

তাই হাওয়া আস্তে আস্তে ক্ষওয়াতে লাগলো পাহাড়কে, কষ্ট হলো দুজনেরই, কিন্তু আর যে কোনো উপায় নেই! একটু একটু করে হাওয়া সেই ধুলো পাহাড় নিয়ে গিয়ে জমা করলো সমুদ্রের বুকে, অনেক গভীরে।

তারপর একদিন এলো যখন পাহাড় ফের জেগে উঠলো, আগের মতো তার কিছুই নেই প্রায়। একটু খানি মাথা বের করে সে আকাশ দেখে, হাওয়ায় শ্বাস নেয়, পাখিদের গল্প শোনে। আর তার গলা অব্দি জড়িয়ে থাকে সেই নদীটার জল। তোমরা বলবে অত বড় সমুদ্রে সেই নদীটার জল আলাদা হলো কী করে? তা তোমরা মানুষ কিনা এসব বুঝবে না, সব নদী আলাদা হয় হে, মিশে গিয়েও আলাদাই থাকে বুঝলে। যাকগে, আর সেই পাহাড় নদীতে ছোট ছোট লাল নীল মাছ ঘুরে ঘুরে খেলে, লাল হলুদ নীল প্রবাল তাদের বুকে আরাম করে।

নীল মাছের গল্প শেষ হলো, আমি বললাম আমায় ওই পাহাড়ে নিয়ে যাবে? পাতার ভেলায় আমি ঠিক পৌঁছে যাবো, ওরা যদি আমায় মেঘের কাছে পৌঁছে দেয়? 
নীল মাছ রাজী হলো। কিন্তু তারপরের গল্পটা পরে বলব আবার, মহারাজ আমার শুঁড় ধরে টেনেছে মশাই, আমি রেগে গেছি হুহ।

No comments:

Post a Comment