রোজকার রাস্তা ধরে মাঝে মাঝে আমি যখন অন্যভাবে আসি যাই, হাঁ করে গিলতে গিলতে আসি চারদিক। আমার বন্ধুরা বলে এ শহরে আর হবার কিছুই নেই, বাকি শহরগুলোয় অন্তত কাজ আছে, এখানে সে টুকুও নেই। মিথ্যে না হয়তো, কাজ থাকলে কি আর ওই যে চারদিক খাঁ খাঁ করা মাঠে একটা মাত্র গাছের তলায় আরাম করে লোক দুটো শুয়ে থাকতে পারে এই বেলা দশটায়! কিন্তু আমি আসলে এ শহরের উপযুক্তইই, ওরকমই আধ খ্যাঁচরা, অসফল, হেরো ছেলে। শীর্ষেন্দুর গল্পের চরিত্রের মতো। তাই জন্যই হয়তো কোলকাতা আমার খারাপ লাগে না, বিগড়ে যাওয়া ওয়ার্ক কালচার, ধোঁয়ায় ঢাকা আকাশ, ঘেমো আবহাওয়া সব যেন আমায় কিছুই করতে পারেনা।
আমি দেখি কেমন একলা গাছে একটা সারস বসে আরাম করছে, মন্দিরতলার চাতালে গামছা বিছিয়ে শুয়ে আছে চারপাঁচজন, ফাঁকা রাস্তায় বর বউ মিলে খেলনাপাতির মতো দোকান সাজিয়েছে আর একটা বুড়ো মানুষ একমনে কাগজ পড়ছে সামনে বসে। সামনের মোড় পেরোলে গরম পিচ গলিয়ে মাথায় ফেট্টি বেঁধে কাজ করছে একজন। গোলাপী, লাল ফুল গুলো ঝরে গেছে, বসন্ত শেষ, গরমের পাল্লা শুরু হয়ে গেছে।
অফিসে ঢোকার পর সামনের রাস্তা দিয়েই সবাই যায়, পিছনের দিকে একটা রাস্তা আছেছে, একটু ঘুরে, কিন্তু ছায়া ছায়া। বোকাগুলো দু পা ঘুরে গেলে গাছেদের মধ্যে দিয়ে যাওয়া যায় জানেই না, বোকার মতো রোদ থেকে বাঁচতে হনহন করে চলে যায়। এই দিকে গাছ গুলো দিব্যি হাসিখুশি, একটা মালি খালি জল দেয় মাঝে মাঝে, আর রোগা রোগা গাছ গুলো মাথা দুলিয়ে হাসে।
এই গরমের আঁচে পুড়তে থাকা শহরেও এতো ভালোলাগা ছড়িয়ে থাকে আনাচে কানাচে...যেমন ওই সেদিন মেট্রোয় হাসি হাসি মুখে অনুযোগ করা ছেলেটা, "বড্ড খাটাস জানিস", কিংবা একরত্তি ছেলেটাকে সামলাতে হিমশিম দেখে মেয়েটাকে সামনের অচেনা ছেলেটা জায়গা ছেড়ে দেয়।
গরমকালের উষ্ণতা আর এই শহর দুইই আমার মতো ডিফেক্টিভ শাড়ি সেলে পাওয়ার মতো মহারাজদের জন্য...সফল যারা হতে চায় না তাদের জন্য। ^_^
আমি দেখি কেমন একলা গাছে একটা সারস বসে আরাম করছে, মন্দিরতলার চাতালে গামছা বিছিয়ে শুয়ে আছে চারপাঁচজন, ফাঁকা রাস্তায় বর বউ মিলে খেলনাপাতির মতো দোকান সাজিয়েছে আর একটা বুড়ো মানুষ একমনে কাগজ পড়ছে সামনে বসে। সামনের মোড় পেরোলে গরম পিচ গলিয়ে মাথায় ফেট্টি বেঁধে কাজ করছে একজন। গোলাপী, লাল ফুল গুলো ঝরে গেছে, বসন্ত শেষ, গরমের পাল্লা শুরু হয়ে গেছে।
অফিসে ঢোকার পর সামনের রাস্তা দিয়েই সবাই যায়, পিছনের দিকে একটা রাস্তা আছেছে, একটু ঘুরে, কিন্তু ছায়া ছায়া। বোকাগুলো দু পা ঘুরে গেলে গাছেদের মধ্যে দিয়ে যাওয়া যায় জানেই না, বোকার মতো রোদ থেকে বাঁচতে হনহন করে চলে যায়। এই দিকে গাছ গুলো দিব্যি হাসিখুশি, একটা মালি খালি জল দেয় মাঝে মাঝে, আর রোগা রোগা গাছ গুলো মাথা দুলিয়ে হাসে।
এই গরমের আঁচে পুড়তে থাকা শহরেও এতো ভালোলাগা ছড়িয়ে থাকে আনাচে কানাচে...যেমন ওই সেদিন মেট্রোয় হাসি হাসি মুখে অনুযোগ করা ছেলেটা, "বড্ড খাটাস জানিস", কিংবা একরত্তি ছেলেটাকে সামলাতে হিমশিম দেখে মেয়েটাকে সামনের অচেনা ছেলেটা জায়গা ছেড়ে দেয়।
গরমকালের উষ্ণতা আর এই শহর দুইই আমার মতো ডিফেক্টিভ শাড়ি সেলে পাওয়ার মতো মহারাজদের জন্য...সফল যারা হতে চায় না তাদের জন্য। ^_^
Khub valo laglo lekhata.Asole e sahar j samosto mankharap nie o katokhani sundor r apon,ta chamatkar futeche lekhatai jetar sange sahajei relate karte pari.Aro lekha parbar apekhay roilam.Suvo nababarsho.-Sunanda.
ReplyDeleteঅসংখ্য ধন্যবাদ সুনন্দা :) ...ব্লগে সুস্বাগতম । আর নববর্ষের শুভেচ্ছা রইলো :) খুব ভালো কাটুক সারা বছর।
Delete