কেমন আছো? অনেকদিন গ্যাপ দিলাম না? আমি জানি তুমি আমার চিঠির অপেক্ষায় থাকো, আমার চিঠি ডাকবাক্সে পড়ুক না পড়ুক ঠিক পাও তুমি। মন ভালো নেই বুঝলে, সে অবশ্য আমার পুরোনো রোগ। চারপাশের লোকজন থেকে পালানোর সময় হয়ে গেছে মনে হয়। জানোই তো আমার কিছু সয় না, বেশী মায়া বেশী ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। ফোর্সড সন্ন্যাসী আর কি। যাকগে এবারের চিঠি ইজ নো মোর ঘ্যানঘেনে। বৈশাখের তীব্র রোদে পুড়িয়ে দিক সমস্ত পুরোনো মনখারাপ।
জানো সেদিন একটা গলি দিয়ে হাঁটছিলাম। যেমন হাঁটি এ গলি সে গলি হঠাৎ দেখি একটা বাড়ি, আম গাছ কাঁঠাল গাছ আর এক চিলতে বাগান সহ, কেমন করে কে জানে এই গিজগিজে ভীড়ের শহরে টিকে আছে। আর আশ্চর্য কি জানো ওই বাড়ির ছাদে দেখি মাদুর পেতে দু চারজন রয়েছে! অবাক না? এখনো বুঝি লোকে গরমকালের সন্ধ্যেবেলা ছাদে গিয়ে তারা দেখে?
বাড়িটার পাশ দিয়ে আসতে আসতেই ডাল পিঁয়াজভাজার গন্ধ পাচ্ছিলাম। গন্ধ বড় অদ্ভুত জিনিস। অমনি আমি সেই ছোটবেলার গরমের রাত্তির, সন্ধ্যেগুলোয় পৌঁছে যাচ্ছিলাম। হ্যারিকেনের আলো, বিকেলবেলায় গা ধুয়ে এসে মা এর গান গাইতে বসা, কিংবা দিদিভাইদের বাড়িতে অ্যানুয়ালের পরের ছুটিতে গল্পের বই পড়া, তাসের রঙ মেলানো। নাহ ট্রাম্প করতে শেখার বয়স তখন হয়নি আর বড় হয়েও শেখা হয়নি সে জিনিস।
গরমকালের দুপুর গুলো কেমন নিঝুম হয় জানো তো? আমি দুপুরবেলাতেও দোতলার ঘরে যেতে পারতাম না, ভয় পেতাম, ভীতু ছিলাম তখনো এখনকার মতোই কিনা।
গরমকালের ছুটি তো আর হয়না, বড় হয়ে গেছি পেল্লায়, এপ্রিল মে এর গরমে স্লিপার ট্রেনে চড়ে লম্বা জার্নি না করতে পারার মতো বুড়োও বটে। কী দ্রুত বদলে যায় না দৃশ্যপট আর সঙ্গে আমরা? তোমার আমার সব গল্প কথা কেমন অলীক মনে হয়। আচ্ছা টাইম মেশিন কিংবা ওয়ার্মহোলে করে ওই জোনে চললে কি এখনো দেখা যাবে আমাদের?
কী এলোমেলো বকছি তাই না? তা কোন চিঠিটাই বা গুছিয়ে লিখে উঠতে পারলাম, বলতে পারলামই বা কই গুছিয়ে কিছু কোনো কিছু তোমায়। পরের জন্মে খুব সাহসী হবো বুঝলে, আর শীর্ষেন্দুর গল্পের দুবলা লোক না সন্তুর মতো পারদর্শী কেউ হবো। সোজাসুজি তাকিয়ে দাবী জানাবো, উত্তরের....
ভালো থেকো।
জানো সেদিন একটা গলি দিয়ে হাঁটছিলাম। যেমন হাঁটি এ গলি সে গলি হঠাৎ দেখি একটা বাড়ি, আম গাছ কাঁঠাল গাছ আর এক চিলতে বাগান সহ, কেমন করে কে জানে এই গিজগিজে ভীড়ের শহরে টিকে আছে। আর আশ্চর্য কি জানো ওই বাড়ির ছাদে দেখি মাদুর পেতে দু চারজন রয়েছে! অবাক না? এখনো বুঝি লোকে গরমকালের সন্ধ্যেবেলা ছাদে গিয়ে তারা দেখে?
বাড়িটার পাশ দিয়ে আসতে আসতেই ডাল পিঁয়াজভাজার গন্ধ পাচ্ছিলাম। গন্ধ বড় অদ্ভুত জিনিস। অমনি আমি সেই ছোটবেলার গরমের রাত্তির, সন্ধ্যেগুলোয় পৌঁছে যাচ্ছিলাম। হ্যারিকেনের আলো, বিকেলবেলায় গা ধুয়ে এসে মা এর গান গাইতে বসা, কিংবা দিদিভাইদের বাড়িতে অ্যানুয়ালের পরের ছুটিতে গল্পের বই পড়া, তাসের রঙ মেলানো। নাহ ট্রাম্প করতে শেখার বয়স তখন হয়নি আর বড় হয়েও শেখা হয়নি সে জিনিস।
গরমকালের দুপুর গুলো কেমন নিঝুম হয় জানো তো? আমি দুপুরবেলাতেও দোতলার ঘরে যেতে পারতাম না, ভয় পেতাম, ভীতু ছিলাম তখনো এখনকার মতোই কিনা।
গরমকালের ছুটি তো আর হয়না, বড় হয়ে গেছি পেল্লায়, এপ্রিল মে এর গরমে স্লিপার ট্রেনে চড়ে লম্বা জার্নি না করতে পারার মতো বুড়োও বটে। কী দ্রুত বদলে যায় না দৃশ্যপট আর সঙ্গে আমরা? তোমার আমার সব গল্প কথা কেমন অলীক মনে হয়। আচ্ছা টাইম মেশিন কিংবা ওয়ার্মহোলে করে ওই জোনে চললে কি এখনো দেখা যাবে আমাদের?
কী এলোমেলো বকছি তাই না? তা কোন চিঠিটাই বা গুছিয়ে লিখে উঠতে পারলাম, বলতে পারলামই বা কই গুছিয়ে কিছু কোনো কিছু তোমায়। পরের জন্মে খুব সাহসী হবো বুঝলে, আর শীর্ষেন্দুর গল্পের দুবলা লোক না সন্তুর মতো পারদর্শী কেউ হবো। সোজাসুজি তাকিয়ে দাবী জানাবো, উত্তরের....
ভালো থেকো।
Chamatkar hoyeche lekhata,bisesato ses paragraph ta.Pare man ta ektu kharap hoe gelo,but in a good way.-Sunanda.
ReplyDeleteঅনেক ধন্যবাদ সুনন্দা ^_^
Delete