ভালোবাসা কথাটা ক্রমে অলীক হয়ে যাবে হয়তো। কিন্তু আমি তো ভালোবাসাতেই বিশ্বাস রাখি বেশী। চারদিকের এই খারাপ ঘটনা, এই ভয়াবহতা সত্যেও আমি এখনো মানুষে বিশ্বাস করি এখনো বিশ্বাস শব্দে বিশ্বাস রাখি। হতে পারে আমি বোকা, আকাট কিংবা উটপাখি কিন্তু খারাপ জিনিস বেশী বইতে নেই, তাতে খারাপের ওজন বেড়ে যায়। নতুন বছরে আমি সেই পুরোনো ভালোবাসার গল্পই বলবো ফের।
কোলকাতা শহরেই ভালোবাসা এদিক সেদিক এতো থাকে, পায়ে হেঁটে না ঘুরলে ধরা যায় না ঠিক। মেডিকেলের সামনে একটা কুকুরকে জড়িয়ে ধরে একটা ভিখারি মেয়ে খুব করে বকে দিচ্ছে দেখি, কেন ও আগের দিন খেতে আসেনি, তাই জন্যই তো অন্য কুকুরে এসে খেয়ে গেলো। আর কুকুরটা খুব আরাম করে সে আদুরে বকুনি খাচ্ছে ^_^ । না মশাই কুকুর আমি ভালোবাসিনা, বরং খারাপই বাসি, ব্যাটারা আমায় দেখলেই ধাওয়া করে কিনা, কিন্তু দূর থেকে দেখতে মন্দ লাগে না বটে, আর এ তো দুই সঙ্গীর আদর আহ্লাদ, তা কি খারাপ লাগতে পারে?
চাঁদনির মেট্রো পেরিয়েই ফুটপাতে একটা মশারি টাঙিয়ে একটা ছোট্ট পুচকে শুয়ে আছে দেখি, আর তাকে ঘিরে পাহারা দিচ্ছে তার দুই বীর বাহাদুর দাদা, খালি গায়ে, নেংটি পরে। দু দাদার ছোটটার নাক দিয়ে সর্দি বেরোচ্ছে এদিকে, প্যান্টুলও কিঞ্চিৎ ঢিলে, দুই খানা মাত্র হাত, কোনটাকে সামলায়, দাদার কাছ থেকে গাড়িটাও কব্জা করতে হবে, কী করে যে কি হয়! কিন্তু দু মক্কেলের চোখের জোর কম নাকি, এক সমুদ্দুর ভালোবাসা নিয়ে ভাইকে পাহারা দিচ্ছে, একটা মাছির সাহস থাকে বসে দেখুক দিকি!
এই ফুটপাতে থাকা, বাচ্ছা কাচ্ছা সংসারও আমার ভয়ানক অপছন্দ মশাই তাই বলে তো আর এদের ভালোবাসাটা উপেক্ষা করা যায়না নাকি?
আমি এসেছিলাম চাঁদনিতে একটা কাজে। আমার ভালোবাসা, চিনি ছড়ানো মালাইতে। মালাই খেয়ে হাঁটতেই হয়, না হলে পেটের মধ্যে মালাই এর প্রমোটারি রাজ শুরু হয়ে যেতে পারে। তা হাঁটছি হাঁটছি, দেখি আমার সামনে দুই মক্কেল চলেছে। দুই তরুণ তরুণী। বয়স মশাই ইয়ে কিঞ্চিৎ বেশীই, মানে ঠিক কাঠফাঠা রোদে ঘুরে প্রেম করার বয়সী না আর কি। ম্যালা প্যাচাল পেড়ে লাভ নাই মশাই ওই কাঠফাটা রোদে হেঁটে যাওয়া প্রেম আমি পঁচিশ-আঠাশের পর দেখিনি বেশী। যাই হোক, সরু ফুটপাথ, পিছন পিছন চলেছি, যথারীতি নির্লজ্জ ছেলেটা দেখি টুক করে মেয়েটা চুমু খেয়ে নিলো সেই ভীড় রাস্তাতেই, আর মেয়েটা কি যেন বলল মাথা নিচু করে, না দেখতে পেলেও আমি জানি পেল্লায় লজ্জা পেয়েছে সে। আমি মুচকি মুচকি হাসছি, হঠাৎ ছেলেটা হা হা করে আশপাশের সবাইকে সচকিত করে হেসে উঠলো, কানে এলো বলছে, সত্যি বল, এই বয়সে বাড়িতে লুকিয়ে, অফিস কেটে দুজন প্রেম করছি কোনো মানে হয়! পরকীয়া করলেও না হয় বোঝা যেত!
আজকের রোদটা চড়া উঠেছিলো খুব, গরমও ফাটিয়ে পড়েছিলো, দেখ না দেখ ওদের কথায় একটু কমে গেলো না গরমটা?
চাঁদনিতে আমার কাজ হয়নি আজ, আবার যেতে হবে, ভালোই হবে, মালাই খাওয়া যাবে আর, চারদিকের অবিশ্বাস আর ঘেন্নার মধ্যে আমার বুড়ো শহরে একটু হাওয়া বাতাস পাওয়া যাবে না হয়। ^_^
নতুন বছরে ভালোবাসায় কাটুক সবার। ভালো হোক।
কোলকাতা শহরেই ভালোবাসা এদিক সেদিক এতো থাকে, পায়ে হেঁটে না ঘুরলে ধরা যায় না ঠিক। মেডিকেলের সামনে একটা কুকুরকে জড়িয়ে ধরে একটা ভিখারি মেয়ে খুব করে বকে দিচ্ছে দেখি, কেন ও আগের দিন খেতে আসেনি, তাই জন্যই তো অন্য কুকুরে এসে খেয়ে গেলো। আর কুকুরটা খুব আরাম করে সে আদুরে বকুনি খাচ্ছে ^_^ । না মশাই কুকুর আমি ভালোবাসিনা, বরং খারাপই বাসি, ব্যাটারা আমায় দেখলেই ধাওয়া করে কিনা, কিন্তু দূর থেকে দেখতে মন্দ লাগে না বটে, আর এ তো দুই সঙ্গীর আদর আহ্লাদ, তা কি খারাপ লাগতে পারে?
চাঁদনির মেট্রো পেরিয়েই ফুটপাতে একটা মশারি টাঙিয়ে একটা ছোট্ট পুচকে শুয়ে আছে দেখি, আর তাকে ঘিরে পাহারা দিচ্ছে তার দুই বীর বাহাদুর দাদা, খালি গায়ে, নেংটি পরে। দু দাদার ছোটটার নাক দিয়ে সর্দি বেরোচ্ছে এদিকে, প্যান্টুলও কিঞ্চিৎ ঢিলে, দুই খানা মাত্র হাত, কোনটাকে সামলায়, দাদার কাছ থেকে গাড়িটাও কব্জা করতে হবে, কী করে যে কি হয়! কিন্তু দু মক্কেলের চোখের জোর কম নাকি, এক সমুদ্দুর ভালোবাসা নিয়ে ভাইকে পাহারা দিচ্ছে, একটা মাছির সাহস থাকে বসে দেখুক দিকি!
এই ফুটপাতে থাকা, বাচ্ছা কাচ্ছা সংসারও আমার ভয়ানক অপছন্দ মশাই তাই বলে তো আর এদের ভালোবাসাটা উপেক্ষা করা যায়না নাকি?
আমি এসেছিলাম চাঁদনিতে একটা কাজে। আমার ভালোবাসা, চিনি ছড়ানো মালাইতে। মালাই খেয়ে হাঁটতেই হয়, না হলে পেটের মধ্যে মালাই এর প্রমোটারি রাজ শুরু হয়ে যেতে পারে। তা হাঁটছি হাঁটছি, দেখি আমার সামনে দুই মক্কেল চলেছে। দুই তরুণ তরুণী। বয়স মশাই ইয়ে কিঞ্চিৎ বেশীই, মানে ঠিক কাঠফাঠা রোদে ঘুরে প্রেম করার বয়সী না আর কি। ম্যালা প্যাচাল পেড়ে লাভ নাই মশাই ওই কাঠফাটা রোদে হেঁটে যাওয়া প্রেম আমি পঁচিশ-আঠাশের পর দেখিনি বেশী। যাই হোক, সরু ফুটপাথ, পিছন পিছন চলেছি, যথারীতি নির্লজ্জ ছেলেটা দেখি টুক করে মেয়েটা চুমু খেয়ে নিলো সেই ভীড় রাস্তাতেই, আর মেয়েটা কি যেন বলল মাথা নিচু করে, না দেখতে পেলেও আমি জানি পেল্লায় লজ্জা পেয়েছে সে। আমি মুচকি মুচকি হাসছি, হঠাৎ ছেলেটা হা হা করে আশপাশের সবাইকে সচকিত করে হেসে উঠলো, কানে এলো বলছে, সত্যি বল, এই বয়সে বাড়িতে লুকিয়ে, অফিস কেটে দুজন প্রেম করছি কোনো মানে হয়! পরকীয়া করলেও না হয় বোঝা যেত!
আজকের রোদটা চড়া উঠেছিলো খুব, গরমও ফাটিয়ে পড়েছিলো, দেখ না দেখ ওদের কথায় একটু কমে গেলো না গরমটা?
চাঁদনিতে আমার কাজ হয়নি আজ, আবার যেতে হবে, ভালোই হবে, মালাই খাওয়া যাবে আর, চারদিকের অবিশ্বাস আর ঘেন্নার মধ্যে আমার বুড়ো শহরে একটু হাওয়া বাতাস পাওয়া যাবে না হয়। ^_^
নতুন বছরে ভালোবাসায় কাটুক সবার। ভালো হোক।
Lekhata khub sundor hoyeche."কিন্তু দু মক্কেলের চোখের জোর কন নাকি,...।"-ekane 'কন' ki 'কম' habe?Please kichu mane karben na.Parte giye mane holo bole jiggasa karbar koutohol holo.Apnar o notun bachar khub valo katuk.-Sunanda.
ReplyDeleteঅনেক ধন্যবাদ সুনন্দা, ওটা টাইপো ছিলো, আমি ঠিক করে দিলাম। কিছু মনে করার প্রশ্নই নেই।😊
Delete