Tuesday, January 10, 2017

**** দুপুরবেলায় ****

দুপুরমানেই কিছু আলসে ব্যাপার নয়। অন্তত আপিসপাড়াতে তো নয়ই। পার্সোনাল লোন নেবার জন্য এক দুটো ছেলে যারা থাকে দুপুরবেলা কি একটু বেশী তৎপর হয়? আর আজকাল নেটব্যাঙ্কিং এর জমানায় কেউ কি সত্যিই নেয়? কি জানি। আমি ওদের পাশ কাটিয়ে তাড়াতাড়ি এগিয়ে যাই। পেয়ারামাখার ভ্যানের সামনে মাছির মতো ভীড়। এই ভীড়ে কিছু মহৎ প্রাণ থাকে যাদের দেখলেই শ্রদ্ধা হয়, তারা পাকা পেঁপে কিনে খায় এক প্লেট ভরে। রুটির ঝুপ্স আর ভাতের ঝুপ্স গুলোতেও খুব ব্যস্ততা। শিঙাড়ার দোকান বা ঝুপ্স এর কোনো চিহ্নই থাকেনা, কোন মন্ত্রবলে সন্ধ্যেবেলায় গজিয়ে যায় কে জানে। আমি পায়ে পায়ে বিশুর দোকানে এগিয়ে যাই, পুদিনা হজমোলা না ইমলিটা সেটা দেখিয়ে দিতে হয় খালি। পাশের নোংরা মাঠটায় কতকগুলো ছেলে ক্রিকেট খেলছে, এদের স্কুল নেই নাকি! পাশের আমড়া ওলাটার বিক্রির দিকে মন নেই, একজন কে বলে দিলো হবে না এখন। রাস্তায় কুকুর এর আধিক্য আমাত না পসন্দ তার থেকেও না পসন্দ ছোট কুত্তোগুলো মলিন মুখে ঘুরে বেড়ালে। আজ আমায় স্বস্তি দিয়ে ব্যাটারা ঘুমোচ্ছে দেখি এক মনে, মায়ে পোয়ে। ওই একটা ক্ষুদে ছানা ঠিক ফাঁকি দিয়ে উঠে এদিক ওদিক টহল দিচ্ছে। অনেককটা ওলা, থাকে সবসময়েই এই সময় তাদের ল্যাদ টাইম। মানে বুকিং না এলেই ভালো হয় খানিকটা এরম ভাব। এক মনে গাছের ছাওয়ায় বসে তাস খেলছে বাসের ড্রাইভার কন্ডাকটর রা। এহ আমার কি ইচ্ছে ছিলো ট্রাক ড্রাইভার হবার। রাস্তায় ধারে এরকম দুপুরে ধাবায় বসে ঝাল ঝাল মাংস (তখন নিশ্চয়ই ঝাল খেতে পারতাম) আর রুটি খেয়ে ফের রওনা দিতাম, কান্ট্রি রোড ইয়ে মানে কুমার শানু শুনতে শুনতে।
নাহ যাই, এম্নিতেই পিএল খচে আছে। আমায় বলেছিলো এটা একটা ডেলিভারেবল হল হ্যাঁ, এইরকম ফন্ট এইরকম বক্স। তা আমি ভালো মনে বলেছিলাম এই বক্সে ফ্লিপকার্টের ডেলিভারিও হয়ে যাবে। নাহ ট্রাক ড্রাইভার না হয়ে সুখ নেই।

No comments:

Post a Comment