Sunday, May 11, 2025

ইওরোপে কটাদিন (যাত্রা শুরু)


ঘি এ ভাজা পরোটা, পোস্ত দেওয়া শুকনো শুকনো আলুভাজা আর গুড়ের নারকেল নাড়ু খেলাম এয়ারপোর্টে বসে বসে। যে গাড়িটায় এলাম তার গাড়িতে গানের তালে তালে আলো জ্বলে। যেই না বলেছি বেশ কায়দা করেছেন তো, অমনি গল্প শুরু করে দিল। গাড়ি আমার শুধু গাড়ি না, এ আমার ভালোবাসার জায়গা। সারাদিন দশ বারো ঘন্টা থাকবো,  মন্দির ভালো না হলে পুজো ভালো হবে? আমার গাড়িতে প্যাসেঞ্জার উঠলেই বলে একটা গাড়িতে উঠলাম বটে। যাইহোক তাকে আমি স্পটিফাই ইন্সটল করে দেওয়ায় খুব খুশী হয়েছে। "দারুণ একটা জিনিস শেখালেন। হ্যাপি জার্নি",  বলে গেল যাবার সময়। এয়ারপোর্টে এসেই জানলাম  দিল্লী যাবার ফ্লাইট ডিলে। আধঘন্টা, একঘন্টা থেকে ক্রমে দু ঘন্টা হল। তবে মন্দের ভালো হল, কুকি, জুস আর কাজু-আমন্ড-কিসমিস মিক্সড এর প্যাকেট পাওয়া গেছে। দিল্লী অব্দি যেতে হয়না, কোলকাতা থেকেই ইওরোপে ফ্লাইট মেলে, কিন্তু দিল্লীর ফ্লাইটটা আমাদের অন্য একটা বেড়ানোর জন্যে কাটাই ছিল। তা হল কি একদিন দুড়ুম করে একখানা খুশীর খবর এলো, ময়ূরাক্ষীর পেপার সিলেক্টেড হয়েছে লন্ডন স্কুল অফ ইকনমিক্স এর একটা সেমিনারে। তারপর আমাদের সেকি ব্যঙের আধুলির অবস্থা। আমিও কী যাব? কদিনের জন্যে? টাকা ছুটি সেসব?  সে সময় আমার নতুন চাকরিতে জয়েন করার আছে, ওদিকে সেনজেন ভিসা অ্যাপ্লাই করার সময়েই মনে হয় রবীন্দ্রনাথ লিখেছিলেন, "আমার সকল নিয়ে বসে আছি সর্বনাশের আশায়, আমি তার লাগি পথ চেয়ে আছি পথে যে জন ভাসায়"।  সেনজেন ভিসা অ্যাপ্লাই করতে গেলে যাওয়া আসার সমস্ত টিকিট, থাকার জায়গা, একদেশ থেকে অন্য দেশে গেলে সে টিকিট, দিন অনুযায়ী ঘোরার প্ল্যান, নিজের ফান্ড স্টেটমেন্ট,  যেখানে চাকরি করো তার থেকে নো অবজেকশন সার্টিফিকেট সব দিয়ে বসে থাকো, যদি এমব্যাসির লোকটার সেদিন কান কটকট,  দাঁত কনকন না করে তাহলে পাবে না হলে পাবে না। সুদীপ মৌসুমী থাকে ভিয়েনায়, ওদের এই ট্যুর প্ল্যান বানানোর জন্যই যা জ্বালাতন করা হল, ওদের বলা উচিৎ ছিল এবার থেকে কোথায় থাকি জানাবোনা কাউকে। কিন্তু আমার বন্ধু বান্ধব কম হলেও বন্ধুভাগ্য ভালো, আমার মতো খারাপ নয় তারা। ভিয়েনায় তাদের বাড়িতেই থেকে খেয়ে জ্বালাতন করে ঘুরেছি। কিন্তু সেসব তো পরে। ট্যুর প্ল্যান, বুকিং এসব মিটিয়ে নতুন চাকরি জয়েন করে লিভের জন্যে নো অবজেকশন বের করতে গিয়ে তো আমার এক গাল মাছি! বলে নতুন জয়েন করেছ তোমার কোনো লিভ নেই, লিভ পোর্টালে অ্যাক্সেস পাবে দু হপ্তা পর৷ ওরে বাবা তাহলে কবে অ্যাপয়েন্টমেন্ট নেব আর কবে ভিসা হবে! তারপর সে নানান কান্ড করে,  লস অফ পে করে, নো অবজেকসশন নেওয়া হল এবং তারপর শুরু হল অনন্ত অপেক্ষা। সপ্তাহ দুই পর একদিন দুপুরে ফোন এলো এম্ব্যাসি থেকে, "তোমার বউ যদি হাঙ্গেরিতে গেছে তুমি কেন অস্ট্রিয়া যাচ্ছ আগে? হাঙ্গেরি হয়ে অস্ট্রিয়া এলে ঠিক হত তো? " মনে মনে বললাম, ওরে পামর তোদের টাকা দিচ্ছি,  ফেরত আসবো প্রমান দিচ্ছি তোর কি?  আমাদের মুখ্যমন্ত্রীর মতো বললে হত, "তুই পয়সা দিয়েছিস যে তোকে হিসেব দেব?" নানান কথাবার্তা এটা সেটা বলার পরে দেবী সন্তুষ্ট হলেন কিনা কে জানে। আবার হিরন্ময় নীরবতা।সাউন্ড অফ মিউজিক এর দেশে যাচ্ছি একটু মিউজিক না হোক আপডেটের বানী শোনাও হে দেবী৷ তারপরেও বদ গুলোর শান্তি হয়নি, হপ্তা খানেক পর অফিসে খোঁজ নিয়ে জেনে শান্তি পেয়েছে যে হ্যাঁ আমিইই আমি! ভিসার গল্পটা এত বড় করে লিখতেই হত। এই যে বসে বসে পরোটা আলুভাজা খেলাম, এই আনন্দের আগে বহুৎ খাটনি গেছে মশাই। 

আমার চেহারাটা মোটর মেকানিকের মতো। তায় ইদানিং টাক পড়া শুরু হয়েছে। বেঁটে, রোগাটে, টেকো ছেলে যার চেহারার সাথে চা দোকানের কাজ করা বা গ্যারেজে কাজ করা লোকের মিল আছে তাকে এয়ারলাইন্স অব্দি পাঁচটা বাজে প্রশ্ন করে। দিল্লী এয়ারপোর্টে,  ইন্ডিগোর লোকগুলো তাই শুরু করলো, অ্যাড্রেস দাও যেখানে যাবে, কদিন থাকবে ইত্যাদি প্রভৃতি।  শেষে বাধ্য হয়ে বললাম, তুমি কি ইমিগ্রেশন অফিসার? বলে না, আমাদেরও দেখতে হয় তুমি ভিসার মিসিউজ করছ কিনা!! মানে কতরকম ফ্রাস্ট্রেশন মানুষের থাকে! 

পাশের দুজন  সহযাত্রীর একজন লন্ডন যাবে। হরিয়ানার অল্পবয়সী ছেলে। ওখানে কাকা কাকিমার সাথে থাকে সাথে থাকে৷ পড়াশোনা করতে গেছিল, কিন্তু সেসব বেশী করেনি। আপাতত ওয়ার্ক ভিসা একটা পেয়েছে। পাপা জোন্স পিজ্জা কোম্পানিতে অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার হিসেবে কাজ করে। কথাবার্তায় বুঝলাম খুব বেশী ভালো কাজ না হয়তো, পড়াশোনা আবার চালু করবে ভাবছে। ছেলেটি এটা সেটা কথা বলতে বলতে বলল৷ আচ্ছা বাঙালীরা নাকি খুব ব্ল্যাক ম্যাজিক জানে? আমার তো একগাল মাছি! বলে কি! আমি জানলে তো এক্ষুনি ব্ল্যাক ম্যাজিক করে আরেকটা কফি নিতুম! মনের দু:খ মনে চেপে বলি, কাগজে আর সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখেছ তো?  এই এক হয়েছে, আরে ইন্টারনেট,  কাগজ দেখলে মনে হবে হরিয়ানায় প্রতিদিন অনার কিলিং হচ্ছে, ওখানে সবাই নির্ঘাত সব সময় বন্দুক নিয়ে ঘোরে। ছেলেটি কতটা বুঝল কে জানে, তবে বলল হ্যাঁ তা বটে, আজকাল ফেক নিউজ খুব বেড়েছে। ওপাশে আছে এক বয়স্ক লোক, গুজরাটি, যাচ্ছে শিকাগো, ছেলের কাছে। বেশ লোকটি। ঠাট্টাতামাসা, গল্প টল্প হল নিজেদের মধ্যে। উত্তর ভারতের সাধারণ কথাবার্তাই এত আদিরসাত্মক,  বা আউট অফ বাউন্ডারি হয়, অভ্যস্ত না থাকলে একটু হোঁচট খেতে হয়। তা বয়স্ক ভদ্রলোক অভ্যস্ত দেখা গেল। দিব্যি আড্ডা মারলেন আমাদের সাথে। ব্যাগ থেকে থেপলা বের করলেন। বাড়ি থেকে বানিয়ে এনেছেন। দিব্যি ভাগাভাগি করে তিনজন খেলাম।

জানলার ধারে সিট পেয়েছি আর ডানাও নেই। বরফপাহাড় দেখলুম। তার আগে অনেক কটা শুকনো পাহাড়, মালভূমি মতো। আরব সাগর শেষ হয়ে স্থলভাগে মিশল ক্রমে। একেক জায়গায় ক্যান্ডি ফ্লসের মতো মেঘ। আবার কোথাও মেঘ গুলো পাতলা এত তলায় জমিটমি দেখা যাচ্ছে। ইরিবাবা এখানে যে মেঘ আর বরফ প্রায় পাশাপাশি।






একটু আগেে পার হলাম একটা ছোট্ট হ্রদের ধারে একটা জমজমাট শহর মতো। ভান নাম মনে হয়।ম্যাপ থেকে তো তাই মনে হল। ইস্তানবুল আর ঘন্টা দেড়েক মতো। যেহেতু পাকিস্তানের উপর দিয়ে উড়তে পারছেনা, ঘুরে ঘুরে এলো।উপর থেকে কেমন স্পষ্ট সব দেখা যায়, ঢেউএর মতো পাহাড়, পাহাড়ের শিরা, সেই শিরায় সাদা বরফ। বেশ কয়েকবারই এমন দৃশ্য দেখার সুযোগ হয়েছে, তাও ক্লান্ত লাগেনা। এমন চমৎকার।মেঘের ছায়াগুলোও কেমন মজার পড়ছে। কোন ছায়া দেখে মনে হয় ডায়নোসরের ভ্রুণ কোন ছায়া দেখে মনে হয় ছোট করে ওয়ার্ল্ড ম্যাপ।ইস্তানবুল এয়ারপোর্টটা কৃষ্ণ সমুদ্র বা ব্ল্যাক সীর এক্কেবারে পাশেই। এয়ারপোর্টে বাক্লালাভার ছড়াছড়ি। অনেকের ভালো না লাগলেও আমার কিন্তু বেড়ে লাগে এই মধ্য প্রাচ্যের খাবারটা। তবে বিস্তর দাম। ব্যাগের মধ্যে রাখা ছোলাভাজা, বাদামভাজা, চানাচুর, কালোজিরে কারিপাতা, অল্প আমতেল দিয়ে মাখা মুড়ি খেতে খেতে চারপাশ দেখা গেল খুব। প্রতিবার দূরে কোথাও গেলেই, মা বানিয়ে দেয় এটা। মুড়ি বেঁধে এই যে সব জায়গায় যাওয়া এ নিয়ে যে যাই বলুক, মুড়ি থাকলে করোনা, যুদ্ধ সব সামলে দেওয়া যাবে বাবা।





ইস্তানবুল থেকে টার্কিশ এয়ারলাইন্স সময় মতোই পৌঁছে দিল, ইমিগ্রেশনও তাড়াতাড়িই হয়ে গেল। ভিয়েনায় এখনও খুব আলো। ল্যান্ডিং এর সময়েই দেখেছিলাম, দেশটার চারপাশ জুড়ে সবুজ, প্ল্যান করে সাজানো চাষের, থাকার জায়গা।  এয়ারপোর্টের বাইরেও দেখলাম  বেশ সবুজ। বেশ কয়েকজন ভারতীয় ছেলে মেয়েও নামলো। সেমিনারে এসেছে সব। সুদীপ ছবি এঁকে, হাইলাইট করে এমন ভাবে বুঝিয়ে দিয়েছিল, ট্রেন ধরতে আমার মতো হাবা লোকেরও অসুবিধে হবার কথা না। এদেশে দেখি তুর্কির লোকে ভর্তি। তারা জার্মান জানে, ইংরেজি জানেনা। এমনিতেও এখানে চলতিভাষা ডয়েচ। দু চারটে জার্মান শব্দ জানি, তার বেশী না। কিন্তু কমিউনিকেশন এর আদিম পদ্ধতি, ইশারা, দু চারটে শব্দ  তাই দিয়েই কাজ চলে যায়। ট্রেনে ওঠা এবং নামা যায়। এয়ারপোর্ট থেকে সোজা ট্রেনে ওঠার এই ব্যপারটা আমাদের দেশে দিল্লী ছাড়া আর কোথাও নেই মনে হয়। কাল থেকে দেখতে পাবো, এদের পাবলিক ট্রান্সপোর্ট অদ্ভুত ভালো। বাস, ট্রাম, মেট্রো সব একটাই কার্ড করো তাই দিয়েই চালাও। মানে পুরো ইওরোপেই তাই। অথচ আমাদের মতো গরীব দেশে পাবলিক ট্রান্সপোর্ট এর হাল দিন দিন খারাপ হচ্ছে। রাস্তায় গাড়ির ভীড় বাড়তে বাধ্য হচ্ছে। সাসটেইনেবল গ্রোথ শব্দটা আমাদের দেশে এখনো অব্দি মূলতঃ বইপত্রেই। ট্রেন থেকে চারপাশ সবুজ, দিনের আলো এখনো ফটফট করছে, অথচ ঘড়িতে বাজে  সন্ধ্যে সাড়ে সাতটা।



 ট্রেন থেকে নেমে প্ল্যাটফর্ম ছেড়ে রাস্তায় আসতেই সাঁ করে সাইকেল নিয়ে হাজির সুদীপ। যাই বলো, খুব বড়লোক কোনো নিমন্ত্রণ বাড়িতে ইয়ারদোস্ত দেখলে যেমন ফূর্তি হয় অমনই হয়েছিল বটে। ওর বাড়ি কাছেই, শহরের মধ্যেই মস্ত মস্ত পার্ক থাকে এখানে। সেই পার্কের পাশ দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে চললুম। সুদীপ মৌসুমীর কথা ছোট করে বলে রাখি এখানে, এরা হল সব আমার "ভার্চুয়াল দুনিয়া" থেকে পাওয়া বন্ধু। তা আমার সিংহভাগ বন্ধুই তাই। সেটা নতুন ব্যপার না ব্যপার হল, যে জীবনটা আমরা অনেকে স্বপ্নে দেখি, যে ধুত্তোর বলে চাকরি থেকে ইস্তফা দিয়ে নিজের মতো ঘুরে বেড়িয়ে দিন কাটাবো। বাড়ি,গাড়ি, স্বাচ্ছন্দ্য, আরাম আর নিরাপত্তার শিকলে পারিনা, এরা  দুজন  পেরেছে সেই স্বপ্নের জীবনটা ধরে হাঁটতে। প্রথম বিশ্বের সেরা শহরে বিরাট চাকরি করে পি আর বানিয়ে থাকাটা এদের  কাছে অর্থহীন, কারন কী করবে বেশীদিন থেকে, দুনিয়ার অন্য কোনা দেখবে কী করে তাহলে?! এই ছেলেমেয়ে দুজন নিরাপত্তার শেকলটা ভাঙতে পেরেছে। ব্যক্তিগতভাবে আমার কাছে সেটা বিরাট ব্যপার কারন আমি পারিনি। আর তাই ওদের এই পারাটা আমার কাছে খুবই দারুণ ব্যপার একটা। তবে এসব করতে গিয়ে ব্যাটা  হন্টনবিদ হয়ে গেছে। মানে যতই হাঁটো ওর আরো হাঁটতে ইচ্ছে করে। একেই বলে কর্মফল। নিউইয়র্কে সেবার  অর্নবদার বাড়ি ছিলাম, একসাথে ঘুরতে বেরিয়েছি। ওই একদিনই,  তারপরই অর্ণবদা ডিক্লেয়ার করেছিল, আর না ভাই, তুই যা। অত হাঁটে কোন পাগলে। ব্যস জীবনের বৃত্তে এইটা আমায় অন্য কেউ না বললে আর হবে কী করে!



খানিক বাদে মৌসুমী, ময়ূরাক্ষীকে নিয়ে ফিরলো। জার্ণি করে এলে কী হয়, নতুন দেশ বলে কথা, সুতরাং ডিনার করে ফের বেরোনো গেল, পাশের পাড়ায় আইস্ক্রীম খেতে। রাত সাড়ে দশটা বাজে, এখনো আইস্ক্রীমের দোকানে লম্বা লাইন! এত রকম আইস্ক্রীমের মধ্যে কে ভালো কে মন্দ বিচার করার ক্ষমতা আর যার থাক আমার তো নেই! চব্বিশ ঘন্টার উপর জেগে, তারপরেও খোলা আকাশের নীচে হাওয়ার শনশন শুনতে শুনতে আইসক্রীম সহ আড্ডা মারতে অসুবিধে হয়না। আকাশ, বাতাস, আইস্ক্রীম, বন্ধু স্ত্রী, নতুন দেশ মায় বসার জায়গাটুকু সব্বাইকে ইচ্ছে করে থ্যাংক ইউ জানাতে। উচ্চকিত বলিনা হয়তো কিন্তু মনে মনে বলি। আর সব চেয়ে বলি জীবনকে। আর বলি, এত কিছু পাওয়ার পরেও যেন না পাওয়া নিয়ে ঘ্যানঘ্যান না করি...



(চলবে)

7 comments:

  1. দারুণ রে। ছবি দেখাচ্ছে না সবকটা।আমার নাম কেন দেখাচ্ছে না বুঝলাম না

    ReplyDelete
  2. খুব ই চমৎকার হয়েছে। সবচেয়ে ভাল লাগলো সুদীপ তোমার হাঁটাকেও হার মানিয়েছে! ❤️

    ReplyDelete
    Replies
    1. 😀 সেটাই দেখলাম আর কি!

      Delete
  3. দারুন, দারুন।

    ReplyDelete
  4. Bah! Enjoy! 👍💛🙂

    ReplyDelete
  5. বাহ ভাল ভাল, চালিয়ে যা।

    ReplyDelete