Friday, January 19, 2024

লন্ডন ডায়রি (তিন)

অফিসের পর বেরিয়েছি। যাই কোথাও টুক করে ঘুরে আসি। কাল শনিবার। একটু দেরী হলেও ক্ষতি নেই। ক্যাম্পডেন মার্কেটটা শুনেছিলাম বেশ। বেশ মানে কি আর আমি বিরাট কিনিয়ে কেউ। কিছুই না হরেক মানুষ, হরেক রকম দেখা যাবে এই আর কি। তায় মার্কেটটা যে জায়গায় সে জায়গাটাও সুন্দর। অবশ্য আমার প্রায় সবই ভালো লাগছে, নতুন জায়গায়। টিউব থেকে বেরোলে একটা অন্য রকম ভাইব চোখে পরবে। দোকান টোকান তো আছেই, কিন্তু চারিদিকে, বেশ একটা হল্লাগুল্লা পরিবেশ। ক্যাম্পডেন মার্কেটটা একটা খালের ধারে। বেশ অনেক কটা খাবারের দোকান আছে, চেইন রেস্তোরাঁ নয়। এমনি , ছোট ছোট ভ্যান টাইপ গাড়িতে আর কি। এখানের মার্কেটের দস্তুর অনুযায়ী দোকানের সামনে দিয়ে গেলে টেস্ট করায়। গোটা চার পাঁচ দোকানের চিকেন ভাজা, আর একটা দোকানের ফালাফেল খাওয়া গেলো। খাবার দাবার ছাড়াও, জামা,  হ্যানা ত্যানা নানান দোকান আছে। শপিং মলের মতো না কিন্তু। একটু তফাৎ আছে। শুক্রবারের বিকেল, পাব গুলো ভর্তি হতে শুরু করেছে। হরেক কিসিমের মানুষ। ভারতীয় প্রচুর।  এমনিতে লন্ডনে বাংলাদেশীও প্রচুর কিন্তু এখানে খুব একটা দেখলাম না। একটা তিলের তৈরী কিসব খাবার মিলছে দেখে ঢুঁ মারতে গিয়ে দেখি খুব টেস্ট করাচ্ছে। কোন দেশী হবে? যাই হোক বেড়ে খেতে কিছু ডেজার্ট পাওয়া গেল। যদিও যখন প্রায় কেউই কিনলো না, মেয়েটার মুখটা ম্লান হয়ে গেল দেখে একটু খারাপই লাগছিল , কিন্তু কিনলে আমার ম্লান মুখ হয়ে যাবে।













 আচ্ছা, খালের ধার ধরে সোজা হেঁটে গেলে কেমন হয়? ভাবতে ভাবতে হাঁটতে শুরু করি। একটু এগোলেই ক্যাম্পডেন মার্কেটের আওয়াজ ফিকে হয়ে আসে।খালের ধারের এই রাস্তা ধরে সোজা হাঁটতে থাকলে মাথার উপর রিজেন্ট পার্ক পড়বে। এই রিজেন্ট পার্কে পরে একদিন আসবো, ময়ূরাক্ষীর সময় হলে। রিজেন্ট পার্কটা বিরাট। তারপর আরো হাঁটলে একসময় পৌঁছে যাওয়া যাবে লিটল ভেনিস বলে একটা জায়গায়। খালে নৌকা করে ঘোরাঘুরি হয় সেই সুবাদেই নাম আর কি। কোথাও পৌঁছবো বলে হাঁটা শুরু করিনি।এমনিই হাঁটছিলাম। খানিক এগোতে চোখে পড়ে নৌকা বাঁধা আছে, সে নৌকাতেই কিছু মানুষ থাকে।  এদের অবস্থা যে খালের ঐ পারের চমৎকার সব বাড়িতে থাকা লোকের তুলনায় বেশ খারাপ তা বুঝতে বোঝদার না হলেও চলে ।কয়েকজন লোক গাঁজা বা ওই জাতীয় কিছু সেবন করছে। কেউ কেউ গল্প করছে বসে। খালের পাশে রাস্তা তারপর দেওয়াল। দেওয়ালে আঁকা গ্রাফিতি। আরো এগোলে রাস্তা নির্জন হয়ে আসে। মাঝে মাঝে স্বাস্থ্য সচেতন মানুষ,  কুকুর দৌড়ে যাচ্ছে। দূরে একটা ব্রিজ এদিক থেকে ওদিক গেছে। সবুজে ঢাকা চারপাশ। ব্রিজের নীচে রাজ্যের পায়রায় বাসা। কেউ কোথাও নেই। সন্ধ্যে নেমে এসেছে বেশ।  ব্রিজের উপর থেকে চারপাশটা কেমন অবাস্তব লাগে। লন্ডন শহরের মধ্যে বলে মনে হয়না যেন। 










ব্রিজএর পাশের সিঁড়ি দিয়ে রাস্তায় যাই, এ গলি সে রাস্তা দিয়ে এমনিই হেঁটে হেঁটে যাই। হাঁটতে হাঁটতে লিটিল ভেনিস পৌঁছে গেছি যখন দেখি চারপাশ অন্ধকার। হাঁটার নেশায় হেঁটেছি। এখন মনে হচ্ছে টিউব স্টেশনটা কই । যথারীতি একে ওকে তাকে জিজ্ঞেস করে করে চলেছি এবং সকলেই মোটামুটি খুব ভালোভাবে রাস্তা বুঝিয়ে দিচ্ছে। লিটিল ভেনিসের কাছের যে টিউব স্টেশনটা ছিল, নামটা ভুলে গেছি,  একটু হাঁটতে হত।  এলাকাটা পুরো পাকিস্তানি দোকানে ভর্তি। কাবাব, ফল রুটি, বোরখায় ছয়লাপ। এখান থেকে দুবার ট্রেন বদলে পৌঁছবো হাউন্সলো সেন্ট্রাল। বেকারলু  লাইনের ট্রেনে প্রথম উঠলাম।  এটায় আবার মুখোমুখি সিট আছে চারজনের। আচ্ছা ইয়ে আমাদের দেশের মেট্রো গুলো গদি মোড়া করতে খরচ হবে খুব , না? ঝিম মেরে বসে থাকতে থাকতে দেখি বেকার স্ট্রিট এলো। এ স্টেশনের গায়ে সাইন দেওয়া থাকে শার্লক হোমসের।  একটা কাল্পনিক  চরিত্র কোন জায়গায় চলে যেতে পারে তাই না?




আরেকদিন গিয়েছিলাম বরো মার্কেটে। সেও এখানকার এক বাজার। এত বাজারে ঘুরছি মানে আমি বিরাট বাজারু তা না।ভালো কথা, লন্ডনের অনেক জায়গার খোঁজই আমি পেয়েছিলাম সুদীপের ব্লগ থেকে। ব্লগ থেমে গেলে, ব্যক্তিগত মেসেজ করে। ময়ূরাক্ষীও অনেক কটা জায়গা নানান জায়গা থেকে বের করেছিল। যাই হোক, যা বলছিলাম, এক মাসের এই ছোট্ট সফরে চেয়েছিলাম বিখ্যাত দ্রষ্ট্রব্য যা পারি দেখবো ঠিক আছে কিন্তু লন্ডন  শহরের হইচই, মানুষ, এসব গুলোও পারলে ঢুঁ মেরে যাবো। সবচেয়ে অবাক লেগেছে, বা আপশোষ হয়েছে, বিশ্বযুদ্ধে এদের বহু বিখ্যাত পুরোনো বাড়িই বোমায় নষ্ট হয়ে গিয়েছিল, কিন্তু তা সত্ত্বেও ওরা ওল্ড সিটি চার্মটা কেমন আবার গড়ে তুলেছে! আর আমরা কেমন নির্দ্বিধায় সবটা নষ্ট করছি। অবশ্য একটা কারন হতে পারে, আমাদের সে পাঁচ হাজার বছর থেকে কত রাজা গজা এলো গেলো, কত সৌধ কত চৈত্য, মন্দির, মসজিদ ভেঙেছে তার উপর শহর গড়েছে, সামান্য একশো দুশো বছর আমাদের কাছে আর তেমন কিছুই না!  অযাচিত বেশী পেলে যা হয় আর কি।  কোথা থেকে কোথায় চলে গেলাম, ছিলাম বরো মার্কেটে। বরো মার্কেট আবার ক্যাম্পডেন মার্কেটের থেকে খানিক আলাদা ধাঁচ। আর ভীড় কী ভয়ানক রে বাবা। যেন সপ্তমীর রাতের দুর্গাপুজোর ভীড়। অবশ্যই খাবারের দোকানের সামনে আর পাবের সামনে। আর কত সব আজব খাবার দাবার। ঝিনুকের সম্ভার নিয়ে বসেছে একজন। একজনের সামনে খুব ভীড়, মাংসের খিচুড়ি টাইপ কিছু বানাচ্ছে, তার মধ্যে ঝিনুক টিনুক দিয়েছে! ওইদিকে জার্মান বেকারি, পাঁউরুটি নিয়ে হাজির। রিসাত্তোর দোকানেও বেজায় ভীড়। আহাহা বেজায় প্রাণ কাড়া গন্ধ আসছে কোথা থেকে? ওহো, ফিশ এন্ড চিপ্স। ভীড়টা এখানেও জব্বর। ওইদিকে হোমমেড  চকলেটের দোকান তো, অন্যদিকে টার্কিশ কফি। পাশের গলিতে আবার ব্রিটিশ হোম মেড পাই। ব্রিটিশরা আলুসেদ্ধ ছাড়া পাই টাই বানাতে জানে! ফলের দোকানও খুব বসেছে। হরেক ফল,  সবজি। 
পুরো জায়গাটায় কাদা আর থুতু বাদ দিলে আমাদের বাজারের সাথে তফাৎ হল দামাদামি হয়না, বা হলেও আমি জানিনা। ওহো আরেকটা তফাৎ, চলে এলে কেউ হাঁক দেবে না, আরে শুনে যান না, বলে। 










বরো মার্কেট থেকে বেরিয়ে, টেমসের ধার ধরে হাঁটছিলাম। এদিকে লন্ডন ব্রিজ থেকে ওই পারে টাওয়ার ব্রিজ। টেমসের পারের রেস্তোরাঁ গুলো বেজায় দামী, বেশ কেতা ওয়ালা লোকজন বসে বসে খাচ্ছে। হাঁটতে হাঁটতে দেখতে দেখতে যাচ্ছি, ও বাবা আমার গলায় ক্যামেরা দেখে এক মাতালের পাল্লায় পড়েছি। বলে, "আমার একটা ছবি তুলে দাও"।  দেওয়া গেল। কিন্তু তার স্বাভাবিক বুদ্ধি তো গেলাসে ভেসে গেছে। ক্যামেরায় তার ছবি দেখানো হল, তাতে আরো পোজ দিয়ে আমায় ছবি তোলালো একটা। এইবার আমি এগোবো ও বাবা বলে আরো তোলো এই ভাবে। মহা জ্বালা তো,  " আর একটাও তুলে তো দেবোই না, এ গুলোও ডিলিট হবে, যত্তসব গেঁড়ি গুগলির ঝাঁক",  বলে এগোনো গেল। লন্ডনের লোকেরা ফ্রেন্ডলি বলেছি আগে তাই না? আমি দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে টাওয়ার ব্রিজ খোলা তারপর আবার ভাঁজ হওয়া দেখছি, এমন সময় স্বতঃপ্রনোদিত হয়ে এক মহিলা বলল,  "তুমি কি একটা ছবি তুলতে চাও? আমি তুলে দেবো তোমার?"। হুঁ হুঁ বলেছি না আমি মানুষটাই দেবদূত টাইপ ভালো হে। 

টিউবের এ গলি ও গলি হাঁটা চলার ফাঁকে চোখে পড়ে গাইয়ে ভিখারি৷ মানে ভিখারি বলা ঠিক না, পারফর্মার। আমাদের দেশে যেমন স্টেশনে,  বা ট্রেনে গান গেয়ে টাকা চায়, তেমনই এরাওদিব্যি পাটি পেতে, বাজনা টাজনা বসিয়ে গান বাজনা করে, আন্ডারগ্রাউন্ডে। কেউ কেউ পাউন্ডও দেয় বটে। একটা স্টেশনে  দু পাশে ইকুয়ালিটি নিয়ে পোস্টার। জেন্ডার ইকুয়ালিটিই মূলতঃ।  একা মা,  দুজন পুরুষ, সমকামী, বিষমকামী, ট্রান্স সবার ইনক্লুশন নিয়ে সুন্দর সুন্দর বক্তব্য দিয়ে।  বেশ লাগলো। কোনো কোনো টিউব স্টেশনে নাটক ইত্যাদির বিজ্ঞাপন থাকে। নাটক আমাদের একটাও দেখা হয়নি, যদিও ব্রিটিশ থিয়েটার মাস্ট ভিজিটসব জায়গায় লেখা ছিল। বেজায় দাম ছিল এক একটা টিকিটের। না হলে হ্যারি পটার এন্ড কার্সড চাইল্ডটা দেখার খুবই ইচ্ছে ছিল। 











সৌরভ আসার পর একদিন গেলাম শার্লক হোমস মিউজিয়ামটায়। সৌরভের সাথে আমাদের লন্ডন ঘোরা লিমিটেড , এক সপ্তাহ ও থাকার পরেই আমরা স্কটল্যান্ড চলে যাবো । এক সপ্তাহে কমন ছুটি দেখে কিছু জায়গা একসাথে ঘোরার প্ল্যানে রেখেছিলাম। হোমস মিউজিয়ামে তো যেতেই হত। মানছি ওসব খুবই সাজানো ব্যপার আর " সহী" ট্যুরিস্টরা ওসব সাজানো জায়গায় যায় না। কিন্তু আমরা না হয় "ঝুটা" ট্যুরিস্টই হলাম। এ এক দেখার জিনিস হে।একটা বাড়ি কিনে মিউজিয়াম বানাবো বললেই হল না। তাকে ভালোওবাসতে হবে তবেই তুমি ছোট ছোট জিনিসগুলো মাথায় রাখতে পারবে। শার্লকের ঘরের প্রতিটা ডিটেইলস রয়েছে। পিস্তল ছুঁড়ে  বানানো দেওয়ালে অক্ষরটা অব্দি। একটা জাবদা খাতায়,  দেশ বিদেশ থেকে আসা চিঠি সাজানো আছে। পশ্চিমবঙ্গ থেকেও পাঠানো চিঠি আছে। এরা সবাই বিশ্বাস করেছে শার্লক হোমস বলে নির্ঘাত কেউ আছে। ওয়াটসনের ডাক্তারির জিনিস থেকে সেফটি রেজার অব্দি আছে। একটা নকল টয়লেট অব্দি বানানো আছে সিঁড়ির উপরে। তাতে টাওয়েল থেকে সব কিছু পরিপাটি করে রাখা। বিখ্যাত কিছু ক্রাইম এর দৃশ্য, শার্লকের হাফ গার্লফ্রেন্ড আইরিন আডলার, মরিয়ার্টি, শার্লকের বেহালা, সব রয়েছে। একজন বিশদে বলে বলে যাচ্ছে, কোনটার কী রেফারেন্স। এবং সেও কিন্তু আধুনিক পোশাকে না। বেচতেও জানতে হয়।  টুপিটার গল্প অব্দি বলছে। ভীড়টা কমে গেলে হুট করে মনে হতেই পারে, কোনো এক কালে সত্যিই হয়তো এখানে শার্লক আর জন থাকতো। 













বাইরে খুব বেশী খাবোনা ঠিক করেছিলাম, কিন্তু তাই বলেই একেবারে খাবোনা তাও তো না। খুঁজে খুঁজে একটা আশ্চর্য পাব খুঁজে পেয়েছিলাম যেখানে আনলিমিটেড কফি/চা/হট চকলেট মাত্র ১.১৯ পাউন্ডে। খুঁজে পেয়ে আমাদের সে কি আপশোষ , আগে কেন পাইনি তোমার দেখা টাইপ। কেন কে জানে , ওখানে এত সস্তা ছিল কফি , হয়তো বারে আমাদের মতো হাঁদাটে লোক ছাড়া কেউ কফি খেতে যায় না! এখানকার পাব কিন্তু বেশ জমকালো একটা জায়গা। একবার লন্ডনের একটা পুরোনো পাবে গিয়েছিলাম হিসি করতে। মানে রাস্তায় রাস্তায় সুলভ শৌচাগার নেই , তো সারাদিনের জন্যে বেরোই। হার্বিকে মনে আছে তো? হার্বিইই বলেছিল, যে কোনো পাবে ঢুকে যাবে , বিয়্যর খেলে লোকে হিসি তো করবেই , আর পাবে কে পান করছে আর কে টয়লেট সে নিয়ে অত কারোর মাথাব্যথা নেই। তো সেই পাবটায় ঢুকে মনে হচ্ছে আমি বুঝি দুশো বছরের পুরোনো কালে চলে গেছি , তুমুল হল্লাগুল্লা চলছে, ধোঁয়ায় ধোঁয়ায় একাকার চারদিক। কেউ কারোর দিকে তাকিয়েও দেখছেনা। এই বড় বড় পিপে সাজানো আছে , যদিও মদটা ওর থেকে দিচ্ছে না। অবশ্য প্রাচীন কাল না, তা এক একটা টেবিল স্রেফ মেয়েদের দখলে আছে দেখে টের পাওয়া যায়। সৌরভ আসার পর একদিন যাওয়া হল এখানকার একটা পুরোনো পাবে। পকেটে রেস্তোঁ নেই বিশেষ। সত্যি বলতে খুব বেশী পাবে যাইনিও, বিদেশে বা দেশে। বিয়ারের ব্র‍্যান্ড চিনিনা, তেতো লাগে বলে হুইস্কিই প্রেফার করি, না হলে ভদকা। তা সন্ধ্যেবেলা বন্ধুবান্ধব সমেত ইংলিশ পাবে গিয়ে বিয়ার পান করার ব্যপারটাই বেশী আগ্রহ জাগিয়েছিল। হরেক রকম নল, ফ্রি টেস্ট করে সিলেক্ট করা যায় যে কোনো ব্র‍্যান্ড। সচরাচর ক্রাফট বিয়ার বেটার হয় গ্লিসারিন কম থাকে বলে। কিন্তু কী নেবো? ইংলিশ এল না ক্রাফট না সিডার? শেষে বার টেন্ডারের সহায়তা নিতে হল। তুমিই বলো ভাই। সে  এক দুটো টেস্ট করানোর পর একটু কনফিউজড। তার বুড়ো সহকর্মীকে বলছে এরা তো ফার্স্ট টাইম এল খেলো আর গিনেসও খায়নি। বুড়ো বলছে ফার্স্ট টাইম আহাহা, আই উইশ আই অ্যাম ইউ।
পাবে আবার এক মাতালের পাল্লায় পড়েছিলাম। সে আরেক গল্প।আমার গোঁফের খুব প্রশংসা করে, তারপর বলল  আমি কিন্তু মাতাল না। মাতাল চেনার উপায় হল এই ডায়লগটা। দেশে অল্পবয়সী ছেলে ছোকরারা যখন পিকনিক করে একটা দুটো ছেলে থাকবে, "ভাই আমি নিট মারবো, বলে খুব কেত নিয়ে ঢকঢক করে খেয়ে মাতাল হবে, তারপর বলবে, কে মাতাল, কোনো নেশা ফেশা হয়নি ভাই, আমি ঠিক আছি।এবং অবধারিত ভাবে বমি করে ছড়াবে বা বমি না করে ছড়াবে। এ মাতালটা তারপর তার ঝাঁপি খুলে বসেছে, ব্রাদার হ্যাভ কিড। আই হ্যাভ টু ওয়াইভস, থ্রি কিডস। হাউ মেনি ওয়াইভস ডু ইউ হ্যাভ? হোয়াই আর ইউ লাফিং, আই অ্যাম নট ড্রাংক।আমি বাংলায় বিড়বিড় করছি,  "ভালো মাতালের পাল্লায় পড়েছি"। বাকিরা হাসছে, মাতালের ভারী মানে লেগেছে। ব্রাদার, হোয়াই আর ইউ লাফিং আই অ্যাম নট লায়িং, সি দিস ইজ মাই ফার্স্ট ওয়াইফ,  দিস ইজ মাই সেকেন্ড। আই অ্যাম ফ্রম সোমালিয়া,  নো নো কেনিয়া অ্যাকচুয়ালি, ইউ নো,  আই অ্যাম ফ্রম হিয়ার অনলি। কোনো ক্রমে সে বিশ্বনাগরিকের থেকে ছাড় পেয়েছিলাম সেবার। 


(ক্রমশঃ)

10 comments:

  1. তুমুল লাগছে হে!!

    ReplyDelete
  2. বেশ লাগল। টানা পড়লাম। রোশনি

    ReplyDelete
  3. Darun laglo re 😍

    ReplyDelete
    Replies
    1. থ্যাংক ইউ 😊
      -প্রদীপ্ত

      Delete
  4. Valo laglo! 🙂

    ReplyDelete
    Replies
    1. অনেক অনেক ধন্যবাদ।
      -প্রদীপ্ত

      Delete
  5. ভালো হচ্ছে হে। চলুক।

    ReplyDelete
    Replies
    1. থ্যাংক ইউ, থ্যাংক ইউ।
      - প্রদীপ্ত

      Delete