Saturday, December 9, 2023

লন্ডন ডায়রি (দুই)


যে বাড়িতে আছি,  ফাউস্তো বলে একটা কুকুর আছে। আমি কুকুর ভালোবাসিনা। তা এ কুকুরটা খুবই ভালো। তেড়ে আসেনা, হাঁকডাক লাফ ঝাঁপ কিচ্ছু করে না। বাবুরাম সাপুড়ের কাছে ট্রেনিং নেওয়া কিনা জানিনা। অত্যন্ত ডিসিপ্লিনড। এর মালিক একজন স্প্যানিশ ভদ্রলোক, আপাতত দেশে গেছে। সে এতদিন স্প্যানিশ খাবার খেয়েছে। এখন বাঙালী খাবার খেয়ে খেয়ে হেংলু হয়ে গেছে রীতিমতো।  শুরুতে এসেছিলাম যখন, বেশী কাছে আসতো না, একদুদিন যেতে এখন খুব ঘুর ঘুর করে। আমি ঘরে বসে কাজ করি দরজা দিয়ে উঁকি মারে।তারপর যেই ছবিবতুলতে ফোন তাক করি তুরতুর করে পালায়। আবার দূর থেকে দাঁড়িয়ে দেখে। আর আছে একটা ছোট ছেলে, তার এখনো সব দাঁত বেরোয়নি, ফোকলা দাঁতে হয় হাসে না হয় চ্যাঁ চ্যাঁ করে চেঁচায়। আর  সিঁড়ির রেলিং এ ঝুলে ঝুলে চেঁচায়,  "পাস্তো, পাস্তো"। এরা দীর্ঘদিনের প্রবাসী বাঙালী। ফলে বাঙালী সুলভ সু ও কু দুই অভ্যাসই কিঞ্চিৎ কম। এরা পরিশ্রমী, উদ্যমী এবং রিস্ক নিতে পারে। আবার একই সাথে দৈনন্দিন বাঁচার মধ্যে টিপিক্যাল রিগ্রেসিভ আচরণ, চিন্তা। মানে দশজন অতিথি ডাকলে একজন গুরুত্বপূর্ণর জন্যে আলাদা খাতির করে আলাদা ব্যবস্থা করা,  বা নিজেদের মধ্যে কোয়ালিটি টাইম কাটানোর বিষয়ে উদাসীন। বাড়ির কর্তা ভয়াবহ সব কন্সপিরেসি থিওরি বিশ্বাস করে।যেমন মনমোহন সিং পাকিস্তানে গিয়ে সমস্ত অফিসারদের ডিটেল দিয়ে এসেছিল। বাড়ির গিন্নি অনসাইটে এসেছিল, সেই সূত্রে কর্তাও এসেছে, এবং চাকরির চেষ্টায় থেকেছে বেশ খানিক দিন। তারপর চাকরি পেয়ে, এক গাদা লোন নিয়ে ফস করে বাড়ি কিনে ফেলেছে, তাই ভাড়া দিয়ে খানিক সুরাহার চেষ্টায় আছে আরকি। এরাও আমাদের মতোই গুরুদ্বোয়ারায় খেতে যায় খুব। টাকা পয়সা বাঁচে তাতে। অবশ্য মুখে বলে পাঠ শুনতে যাই। 

ফাউস্তো বা পাস্তো

লন্ডন শহরের টিউব যতটা সুসংবদ্ধ,  পরিষ্কার ভাবে ডিরেকশন দেওয়া বাসটা আমার মনে হয়েছে একটু কম তার তুলনায়। টিউবে চাইলেও হারানো যাবে না এতটাই ক্লিয়ার করে বোঝানো। সেখানে একটা বাস স্টপ খুঁজতে গেলে মনে হয় যেন নিজেকে লিভিংস্টোন।  সিটিম্যাপার বলে একটা অ্যাপ হয় যেটা খুবই কার্যকরী এখানে। কোথাও থেকে কোথাও যাওয়ার জন্যে, সময়, ভাড়া,  পিকাডেলি বা বেকারলু, সেটার নর্থবাউন্ড না সাউথবাউন্ড সব বলে দেওয়া থাকে। বাসের ক্ষেত্রে সাম হাউ ব্যাটা ভালো লোকেট করতে পারেনা। ময়ূরাক্ষীর স্কলারশিপের ফান্ডটা তোলার জন্যে আমাদের ওয়েস্টার্ন ইউনিয়ন যেতে হত। সে জিনিস আকছাড় আছে এদিকে আমরা ম্যাপে খুঁজে যেটায় যেতে চাইতাম ভারী ঘুরপাক খেতে হল। সিঙ্গাপুরে সিঙ্গাপুর আই,  মাদাম ত্যুসো দেখেছি আগে। ইউএসেও মাদাম তুসো ঘোরা। হপ অন হপ অফ বাসেও আমার চড়া ছিল।  তা সত্ত্বেও একসাথে ঘুরবো বলে এখানে ফের আমিও টিকিট কেটেছিলাম।  তা দুজন মিলে যে হপ অন হপ অফে চড়ে এমন চড়কি পাক খেলাম, এ মনে হয়না আর কারোর সাথে হয়। ভুল বাসে স্টপেজে নেমে (এটায় পুরোটা আমাদের দোষ ছিল না অবশ্য),  প্রায় মিনিট চল্লিশেক হেঁটে মাদাম ত্যুসোয় পৌঁছেছি। হাঁটা তো না,  হাঁটা ছোটা মিলিয়ে একরকম বলা যায়। মাঝে শর্টকাট করছিলাম এক পার্ক দিয়ে, এক ভদ্রলোক খুবই সুন্দর করে বুঝিয়ে দিলেন কোনটা দিয়ে যেতে হবে। যদিও আমরা ভালো বুঝিনি। আরো খানিক গিয়ে আবার কাউকে জিজ্ঞেস করেছি। লোকজন হেল্পফুল। আমার ধারনা ছিল ইংরেজরা নাক উঁচু হয় হয়তো। তা তো দেখলাম না তেমন? রাস্তা ঘাট চেনে না এমন লোক প্রচুর আছে তবে কেউই কিন্তু দুর্ব্যবহার করেনি। আমি এই ২০২৩ এ দাঁড়িয়েও মানুষকে বেশী ভরসা করি অ্যাপের থেকে তাই অনেক সময়েই হয়েছে, টিউবে যে চেঞ্জটা সিটিম্যাপার করতে বলছে আমার নিজের মনে হয়েছে অন্য স্টেশন থেকে করলে বেটারা হবে, এবং লোককে জিজ্ঞেস করে দেখেছি তারাও সেটাই বলছে। বাসে আবার মাঝে মাঝে ড্রাইভারদের ডিউটি শেষ হয়ে গেলেবাস ওখানেই থেমে যায়। মানে এখানে লেবার ল খুব স্ট্রং।ফলে ওভারটাইম করাটা খুব চালু ব্যপার না। ফলে ধরা যাক নিউটাউন থেকে বাস ছেড়েছে ,রুবি তে গিয়ে তার আট ঘন্টা  কাজ শেষ হয়ে গেল। আর বাসটা হয়তো যাবার কথা কসবা অব্দি তাও রুবিতে বাস থেমে যাবে।  অন্য ড্রাইভার আসবে এই ড্রাইভার ওখানেই থেমে অপেক্ষা করবে ,প্যাসেঞ্জারদের বলবে আপনারা অন্য বাসদেখে নিন! মানে সব কিছুরই দুটো দিক থাকে আর কি ।ওহ বলিনি না?এখানকার বাস ট্রেন মেট্রো সব জায়গায় একই কার্ড কাজ করে।সুবিধেটা ভাবো , বর্ধমান থেকে লোকালে এসে সেক্টর ফাইভ মেট্রো যাবার জন্যে আবার অন্য টিকিট কাটার দরকার নেই। 




হুড খোলা দোতলা বাস থেকে

আই অ্যাম গ্রুট

লন্ডনের বিখ্যাত লাল বাস

লন্ডন আই


ইন্ডিয়ান টাইমে অফিস করি। অফিসে ম্যানেজার ছাড়া আর কাউকে বলিনি বাইরে এসেছি। অফিস শুরু হয় ভোর সাড়ে পাঁচটায়। দিন দুই পরেই আবহাওয়া বদলে গেল। ঠান্ডা,  বৃষ্টি ভেজা আবহাওয়া। অফিসের পর একদিন বেরিয়েছি। র‍্যান্ডম হাঁটতে হাঁটতে একটা কবরখানায় পৌঁছলাম। পঞ্চাশ একশো বছর আগের সব কবর। মেঘলা দিনে,  বড় বড় গাছের নীচে শুয়ে আছে সব, কারোর ছেলে কারোর মেয়ে, কারোর বাবা কারোর মা, কারোর স্বামী কারোর স্ত্রী কিংবা কারোর কেউ না...।এরকম জায়গায় শেষ শোওয়াটা মন্দ না। আচ্ছা মরায় মানুষের ভয় কি পার্থিব সুখ ছাড়ার জন্যে নাকি এমন একা একা বিষন্ন বিকেল কাটাবার জন্যে? একা হয়তো আমরা ভাবি ,ওখানে হয়তো একাকীত্বটাই বেশী চাহিদার! কবরখানায় এরপর আরো গেছি অনেক জায়গায়, কিন্তু এই দিনেরটা যেন বেশী মনে দাগ রেখে গেছে। মেঘলা দিনের জন্যেই নাকি কে জানে!




বাড়ির কাছেই একটা পার্ক আছে, আগের পর্বতেই বলেছিলাম পার্ক মানে চৌকোনো উঠোন নয়। কোনোকোনোদিন ওখানে যাই হাঁটতে । এই পাড়াটা দেশীয় লোক বেশী বলেইকিনা কেজানে , মাঠ গুলো বা রাস্তা গুলো তুলনামূলক ভাবে একটু কম পরিষ্কার ।মানে বাকি জায়গাগুলোর তুলনায় আর কি। এখানেও ঘেটো ব্যপারটা চলে কিন্তু খুব। মানে বাংলাদেশী পাড়া , পাকিস্তানি পাড়া , ভারতীয় পাড়া ।ভারতীয়দের মধ্যে পাঞ্জাবীদের সংখ্যা সব চেয়ে বেশী।এই একটা জাতি , মাটি কামড়ে লড়াই জানে বটে। পার্কের কথা বলছিলাম্না, সেদিন হাইড পার্কে ভারী চমৎকার একটা দৃশ্য দেখলাম। লাইভ মিউজিক হচ্ছিল স্টেজে। তা বুড়ো বুড়ো কাপলরা দিব্যিকাপল ডান্স করল।আমাদের তো ভালোবাসা দেখানোই অন্যায় , আরসারা জীবনন্যের জন্যে বলি দিয়ে বুড়ো বয়স ফ্রাস্ট্রেশন মেটানোর বা আপশোষ করার বয়স ,তাই অন্যরকম কিছু দেখে ভারী ভালো লাগলো। 


 




ছুটির দিন গুলো ব্যাগে স্যান্ডউইচ, কেক, বিস্কুট, মুড়ি, চিপ্স জলের বোতল ছাতা, হুডি নিয়ে বেরিয়ে পড়ি। ফিরে দেখি কোনোদিন বারো তো কোনোদিন পনেরো কিলোমিটার হাঁটা হয়েছে। নিজেরই বিশ্বাস হয়না। হ্যাট আমি এত হেঁটেছি! টিউবে পাউন্ড বেশী লাগে সময় কম, আর বাসে সময় বেশী পাউন্ড কম। পর্যাপ্ত সময় নিয়ে বেরোলে বাস মন্দ না মাঝে মাঝে। দোতলা লাল বাসের সামনের সিট দখল  করে বসো, সামনের মসৃন হর্ণ বিহীন রাস্তা, পাতা ঝরা রাস্তা, ছবির মতো বাড়ি দেখতে দেখতে যাও। বাসে হোক কি টিউবে দুই জায়গাতেই মানুষ প্রচুর দেখা যায়। নানান ভাষাভাষী। কান পেতে বোঝার চেষ্টা করি কোন ভাষী। এ আমার এক নিজস্ব খেলা। দু চারটে জার্মান শব্দ জানি টুকটাক, musse, brauche শুনে আন্দাজ করি জার্মান। সেদিন এক হেব্বি সুন্দরী মহিলা উঠেছিল টিউবে। মাখনের মতো পা, টিকালো নাক, কালো চোখ। ভাবছি ইজিপশিয়ান বা তুর্কি কিনা। সাও শব্দটা শোনা গেলো তারপর তার ইংরেজির টানটা খানিক শুনে আন্দাজ করলাম স্পেনীয়। আরেকদিন,  বাসে এক বুড়ি উঠলো। তারপরের স্টপ থেকেই এক বুড়ো।সে একেবারে গপ্পোবাজ বুড়ো। আর কথা বলে এরকম ভাবে, " হ্যালো জন, হাউ আর ইউ জন?ওহ হোয়াট আ লাভলি ওয়েদার, রাইট জন? " যাইহোক, বুড়ির নাম অ্যাঞ্জেলিনা, গপ্পোবাজ জনের আরেক পরিচিতও ছিল, তার নামও জন। অ্যাঞ্জেলিনাকে শোনানোর জন্যই কিনা কে জানে, অন্য জনকে খুব গল্প শোনালো, ওর অল্প বয়সের, আরো কত বকবক করলো। এদিকে বুড়ি দেখি বেশ মিচকি মিচকি হাসছে সামনের সিটে বসে। 


সারাদিন অফিস করে, তারপর ঘুরে ফের এসে রান্না করে খেতেও তো কই অসুবিধে হয়না? এর কারন কি? মনে হয় আবহাওয়া একটা কারন।  আরেকটা কারন কি দৈনন্দিন অস্থিরতা কম? মানে আমি জানি অমুক ট্রেন বা অমুক বাস এতটার সময়েই আসবে। কখন বাস আসবে বা কখন ট্রেন তার অনন্ত অপেক্ষায় থাকার দরকার নেই। কি জানি?! হর্ণ নেই বলে শব্দদূষণ কম সেটাও এফেক্ট ফেলতে পারে। বক্তব্যটা বাড়াবাড়ি মিনে হতে পারে কিন্তু কিছুদিন আগে দেখছিলাম এটা নিয়ে গবেষণা হয়েছে এবিং আমার বক্তব্যের সমর্থনেই রিপোর্ট এসেছে। শব্দদূষণ আমাদের মানসিক ভাবে অস্থিতিশীল করে তোলে।

সোনালীদির ছেলে লন্ডনের ডাক্তার।  একদিন অফিসের দিনেই সকালে গিয়েছিলাম। ভারী সুভদ্রলোক। আমারই বয়সী হবে কিন্তু আমার মতো ন্যালাক্ষেপা ক্যাবলা না, ঝকঝকে একই সাথে বিনয়ী। ডাক্তার মানুষ ,তাও তার ব্যস্ত সময়ের মাঝে কফি খাওয়া হল এক কাপ করে। যারা যত বড় হয় তারা তত কম এবং অখাদ্য খায়। সত্যি! দুটূকরো শসা কি এক বাটি দই দিয়ে লাঞ্চ সারে কেউ, বা তেল মশলা হীন সেদ্ধ মতো খাবার। এদিকে আমার মতো অলম্বুষরা খায় বেশ ময়দার লুচি, রাবড়ি, ক্ষীর। ফলে আশিকভায়া খেলো দুধ চিনি ছাড়া এক কাপ কালো কফি বা সংক্ষেপে কাক, আর আমি দুধ চিনি দেওয়া ল্যাটে। আশিকের হাসপাতাল থেকে টিউবের রাস্তাটা ভারী চমৎকার।  আসলে হাসপাতালটা  হ্যামস্টেড হিথের কাছেই।এখানে আসবো আমরা একদিন।  চড়াই-উৎরাই রাস্তা, পাশে অনেক পুরোনো জমকালো এক গির্জা। রাস্তার পাশে গাছের ছায়ায় বেঞ্চ। অফিসের দিন বলে আমার সাথে ল্যাপটপ ছিল। বেঞ্চে বসে খানিক্ষন কাজ করলাম। রাস্তায় কোলাহল নেই তাই কাজের অসুবিধেও নেই। 






হ্যামস্টেড হিথ জায়গাটা একটা ছোটখাটো টিলা বলা যায়। দূরে লন্ডন শহরের স্কাইলাইন দেখা যায়৷ কিটসের বাড়ি এই হ্যামস্টেড হিথেই।  বিকেল বেলা দুজন পৌঁছলাম যখন প্রচুর নানান বয়সী মানুষ, কুকুর জড়ো হয়েছে, যদিও কোনো হট্টগোল নেই।নিজেদের মধ্যে কথা বলছে অন্যকে বিরক্ত না করে। কুকুর ভারতেও আজকাল বহু মানুষ পোষে কিন্তু এরকম দায়িত্ব নিয়ে যথারীতি না বেশীরভাগ সময়েই। এরা প্রতিদিন, কুকুরকে দৌড় করায়, পটি করলে তুলে নিয়ে ডাস্টবিনে ফেলে। আর কুকুরগুলোও ভারী সুশিক্ষিত। অন্যকে তেড়ে যাওয়া নেই, অবাধ্যতা নেই।গাছপালা, জলাশয় দিয়ে ঘেরা ছোট্ট একিটা ট্রেইল পৌঁছে দেয় টিলার চুড়োয়। এরকম জায়গায় থাকলে রোমান্টিক কবি হবে স্বাভাবিক মনে হয়। আমরা টিলার উপর সবুজ ঘাসে বসে রইলাম। আমাদের পেটেন্ট খাবার, পাঁউরুটি, ডিম আর চিজ  খাবার পর এক বাক্স নিমকি বের করেছি। অমনি একটা নীল সাদা পাখি এসে হাজির৷ পূর্ব অভিজ্ঞতা থেকে জানি, সচরাচর বুনোদের মানুষের খাবার দিতে নেই৷ নিমকি মানুষের জন্যেই এত খারাপ এমন সুন্দর পাখিটাকে দেবো যদি পালক ঝরে যায়! ভাবতে ভাবতে একটা ছোট টুকরো দিয়েছি।ওবাবা সে তো তার বেজায় ভালো লেগেছে। তুরতুর করে নেচে নেচে হাঁটছে আর তাকাচ্ছে। আর একটা কি দেবে না? একটা ছোট টুকরোই স্রেফ! আরো একটা দেওয়া গেল। ফূর্তি তার দেখে কে। আর কোথাও যাচ্ছেই না। গ্যাঁট হয়ে বসে আছে। ভাবখানা,  আর না যদি দেয় আমিও যাবো না দেখি কতক্ষন না দিয়ে পারে। আরো দুটো দেওয়া হল। একদম পাশটিতে বসে নেচে নেচে খেয়ে তারপর সে গেল,  অন্য পাড়ায় মাধুকরী করতে। এদিকে আমাদের মতো তো সবাই না, খেয়ালও করেনি, বুঝতেও পারেনি যে ও কি চায়। এদিক ওদিক ঘুরে উড়াল দিলো।



ক্রমে আলো কমে গেল, হাওয়ার জোর বাড়লো,  লন্ডন শহরের সব আলো জ্বলে উঠলো। সন্ধ্যের  আলো আর অন্ধকারের অবাস্তবতা নিয়ে আমরাও উঠলাম। 






6 comments:

  1. বরাবরের মতোই খাসা

    ReplyDelete
    Replies
    1. থ্যাংক ইউ সুদীপ।
      -প্রদীপ্ত

      Delete
  2. Replies
    1. অনেক ধন্যবাদ।
      -প্রদীপ্ত

      Delete
  3. মন ভালো করা লেখা, মাঝে মাঝে লিখিস

    ReplyDelete
    Replies
    1. থ্যাংক ইউ
      -প্রদীপ্ত

      Delete