Sunday, January 12, 2020

ঘুরপাক

এমন শীতকালের দুপুরে বাড়ি থাকা উচিত না মোটেও, কতদিন হয়ে গেল স্রেফ বেরোতে চাই বলেই বেরোনো হয় না। কাল পূর্ণিমা ছিল, অফিসের আমাদের টিমের ছেলেপুলেরা মিলে মোচ্ছবের জন্যে জড়ো হয়েছিলাম মধ্যমগ্রামে একজনের ফ্ল্যাটে। যাবার পথেই চাঁদটা দেখেছি, গোল্লা মার্কা, ডানদিক দিয়ে সাথে সাথে যেতে যেতে সামনে এসে বাঁ দিক নিল। চারদিক এত আলো তার থাকা না থাকায় তেমন কিছু প্রভেদ হয়না। এমন করে করে পূর্ণিমা চলে যাবে আমি বুড়ো হয়ে যাব কিন্তু আমার আর একটা আদিগন্ত মাঠে সভ্যতার আলোহীন জায়গায় চাঁদের আলো মাখা হবে না। সে যেন একজন্ম আগের কথা,  পূর্ণিমার রাতে পাহাড়ে চড়া, হরিণ দেখা। এই হুল্লোড়ে মেতে যেতেও খারাপ লাগবে না জানি কারন বিশে আছে। টংলিং এর বিশে না, এ রক্তমাংসের মানুষ, প্রচন্ড স্মার্ট, প্রচন্ড শার্প, যে কোনো আসর জমাতে ওস্তাদ। মুখচোরা, আনস্মার্ট আমি এই ধরনের লোক ওয়ালা জমায়েতে খুশী, আমার দিকে ফোকাস থাকবে না, সাক্সেস্ফুল পার্টির জন্যে আমার চিন্তা থাকবেনা। বিশে তো ওর আসল নাম না, ছোটমোট করে বলছি। যার ফ্ল্যাটে গেছি তার বারান্দায় একটা নারকেল গাছ লুটিয়ে এসে পড়ে, চাঁদের আলো অবশ্য আসার সুযোগ পায় না, এপার্টমেন্ট কম্পলেক্স এটা,  একগাদা আলো জ্বেলে রাখা আছে। হুল্লোড়ের কমতি ছিল না কিছু, ছেলেগুলো পার্ক স্ট্রীট ঘুরে দর করে হুকো অব্দি এনেছে। 

মাঝরাতের পর যখন আসর শেষের দিক, গ্লেনলিভেটের বোতলখানা নিঃশেষ হয়ে কোনের দিকে লুকিয়ে গেছে, ছাদে যাই চুপিচুপি একাই। হ্যাঁ এইবার বেশ চাঁদ দেখা যায় বটে। আহা চারদিক চুপচাপ তারমধ্যে চাঁদের আলোয় বিরাট একটা ছাদ....আরেকটু চারদিকের অকারণ বিজলিবাতি নিভে গেলেই পরীরা নামত। নেহাত পরী দেখতে নেই মানুষের, আমি নেমে আসি। আহা বড় ভালো একটা দিন গেলো....সিঁড়ি দিয়ে নামতে নামতে গুনগুন করছিলাম, কিচ্ছু চাইনি আমি আজীবন ভালোবাসা ছাড়া।হঠাৎ নিজের মনেই হেসে ফেলি, এ গানের লাইনের সাথে আমার মোটেই মেলেনা। নিজের কাছে সত্যি লুকিয়ে লাভ নেই, আজীবন আমি অনেক কিছু চেয়েছি, চাই....ভালোবাসা অবশ্যই চাই, তবে একরকম ভালোবাসাই খালি তা না। এ ছাড়া ভালো থাকা, ভালো ঘোরা,  মেলা জিনিস....সেদিন এক দাদা বিশেকে বলছিল, "কেন দেশ ছাড়ছিস বেকার, যতই পয়সা হোক সেই তো মনে হবে কম পড়ছে, আরেকটু হলে ভালো হত। তার চেয়ে এখানে বন্ধু বান্ধব পোষ্য গাঁজা নিয়ে ভালোই তো আছিস।" গ্রাম থেকে শহর, শহর থেকে দেশ, বিদেশ....কেউ কেউ না ছুটে পারে না। 

সকালে ঘুম ভাঙা চোখেই মনে হয় পালাতে হবে।মদের গ্লাস, হুঁকো পেরিয়ে.... অনেকদিন শীতের রোদে চুল শুকোনো বুড়ি, ব্যা ব্যা করে ডেকে চলা ছাগলছানা, নদীর ধারে নৌকা সারানো, দেখতে দেখতে পথ চলা হয়নি.....

***************************************

কিছু পেতে ইচ্ছে হলে তার জন্যে এফোর্ট দিতে হয়, না ভুল বললাম, বিনা প্রচেষ্টায় পাওয়া যায়না তা না,  বাপ ঠাকুর্দার উত্তরাধিকার মেলে, সেটা এনক্যাশ করাই যায়। তবে নিজের কিছু ইচ্ছে,শখ লক্ষ্য থাকলে তা বিনা আয়াসে মেলেনা। বেরিয়ে পড়া হচ্ছেনা বলে কাল কাটিয়ে আপশোষ করা আমার সয়না। তাছাড়া আমি ভালো করে দম নিতেও পারছিলাম না যেন, শীতকালটা নিষ্ফলা কেটে যাবে? জমিতে নেমে মাঠের ঘ্রাণ নেব না কিংবা দুম করে বেরিয়ে সারাদিন যথেচ্ছ ভাবে চা, কাঠিভাজা কিংবা রাস্তায় বানানো গজা খেয়ে জিনসের পকেটে হাত মুছে হুট করে উড়ে যাওয়া কোনো পাখি দেখে দাঁড়িয়ে যাব না তাও কি হয়! সুতরাং সপ্তাহান্তের একগাদা কাজ ফের পেন্ডিং করে দিয়ে বেরিয়ে পড়তেই হল। কোথায় যাব জানিনা, বেলাও হয়েছে মেলা, তবে আমার একটা কম্ফোর্ট রাস্তা আছে, দুপাশে ভেড়ি, গাছপালা মফস্বলি বাজার, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার স্পেশাল একটা ডায়লেক্ট সমৃদ্ধ সে জোন। বাসন্তী হাইওয়ে।

 কোথাও পৌঁছতেই হবে এমন চিন্তা নিয়ে বেরোইনি বলেই হুট করে একটা রাস্তা দেখে মনে হল, এটা কোথায় যায়? গিয়েই দেখা যাক। আরিব্বাস রে, এত কাছে এমন একটা জায়গা আছে? খালের পাশ দিয়ে সার সার নারকেল গাছ, এদিকে পিকনিক স্পট ভাড়া হয় মনে হয়, রাস্তাটা ঢালাই রাস্তা। একটা বেঁটে মত গাছে একটা ফিঙে বসে দোল খাচ্ছে। দেখেই হাত কামড়াতে ইচ্ছে হল, এহ ক্যামেরাটা নিয়ে বেরোলামনা কেন! ধুর ধুর এইসব হিসেব করে বেরোনো কি আর আমার হয়! আমার গন্তব্য মাঝরাস্তায় ঠিক হবে, গাড়ির জ্বালানী যে ভরতে হবে হঠাৎ খেয়াল হবে, ক্যামেরার বদলে চোখ আর মোবাইল ভরসা হবে, এ এতই স্বাভাবিক নিজেকে আর গালমন্দ করিনা। বেকার করেই বা কী হবে! এ বয়সে কি আর শোধরাবার, তার চেয়ে যা আছে তাই নিয়েই ঘর করে নিই। ভারী নিরবিলি এলাকাটা, পিকনিক এবং তজ্জন্যে নিয়োজিত উব উব উব সিজন কেটে গেলে একদিন আসতে হবে আবার। গরমকালে এত বক দেখতে পাবো না হয়ত কিন্তু বটের হাওয়া তখনও থাকবে। আরে তাই তো, বট গাছ কতদিন পর দেখলাম! ভাবো!  বট, অশ্বত্থ, পিপুল আমাদের দেশী গাছ অব্দি আর দেখতে পাইনা সহজে হ্যাঁ, খালি শিকড়হীন ছায়াহীন সব গাছ।ফিঙে দোয়েল, বক দেখতেও কি আর পাই সহজে! তিনটে গোলাপি মতন ছানা শূয়োর গুটগুট করে ভেড়ীর বাঁধ ধরে চলেছে। একটা পিকনিক পার্টির পাশ দিয়ে যেতে যেতে দেখি ফিশ ফিঙ্গার নামিয়েছে, একগাদা লোভ দিয়ে গেলাম মাইরি। একাবোকা অতিথি মানুষকে চাট্টি ফিশ ফিঙ্গার দিয়ে আপ্যায়ন করা সেই সংস্কৃতি আজকালকার ছেলে ছোকরারা আর মানছে না দেখছি। ভাবলাম এট্টু সেসব সোনালীদিন মনে করিয়ে দিই, থাক বাবা চেলা কাঠ নিয়ে তাড়া করলেই চিত্তির হবে। 


চা না,  একটা ফিশ ফিঙ্গার না, যা যা তোদের রাজহাঁসে তাড়া করবে হুহ্। চলেই যাব যা। রাস্তায় একটা কালীমন্দির পড়েছিল, মনের দুঃখে ভিতরে নজর চালিয়ে দেখে নিলাম পুজো টুজো হয়েছে কিনা, অন্তত একটা নকুলদানা জুটতো।  নাহ্ ছেলে ছোকরাগুলোর ভক্তি টক্তি মোট্টে নেই! আরে পুজো কর ভোগ দে না হলে খামোখা মন্দির বানিয়ে লোভ দেখাবার কি! যত্তসব ইয়ে, যাকগে আমিও হ্যাংলা নাকি। আরো খানিক এগোই, স্পীড দিচ্ছিনা বেশী, বেশী জোরে ছুটলে চারপাশের অনেক কিছু মিস হয়ে যায়, আমার তো প্রথম হবার চাহিদা নেই, আমার বরং চারপাশ থেকে রঙ রূপ রস নেবার আছে। চলতে চলতে হঠাৎ মনে হয় আচ্ছা চন্দ্রকেতুগড় গেলে কেমন হত? সেটা অবশ্য বসিরহাট এর ওদিকে না? গুগল বলছে এখান থেকেও যাওয়া যাবে, তিরিশ কিলোমিটার মত মোটে।  এরাস্তায় অনেকবার এর আগে এসেছি, ঝড়খালি অব্দি গেছি কখনো, কখনো সন্দেশখালী,বড় আর ছোট পরিতোষপুর। মালঞ্চ যাবার আগেই চৈতল এর ওখান থেকে বাঁয়ে নিতে হবে, কিন্তু এই রাস্তাটাই যে বড় ভালো লাগছে?

এ দ্বন্দ্ব মনে হয় আমার সর্বক্ষনের, সারাজীবনের সঙ্গী হবে। এ দ্বন্দ্ব মিটলেই আমার মুক্তি হয়ে যাবে আমি জানি। যে রাস্তায় চলেছি তা যতক্ষন আমায় রঙ রূপ রসের জোগান দিয়ে চলেছে, মনের আরাম দিয়ে চলেছে ইচ্ছে করে না সে রাস্তা ছাড়তে। মিস হয়ে যায় অনেক অনেক কিছু তাতে,  কিন্তু আমি নাচার। আজ থাক বাঁয়ের রাস্তাটা আজ অতটা টানছেনা যতটা সামনের রাস্তাটা, দুধারের ভেড়ি নিয়ে টানছে। সুতরাং স্টিয়ারিংএ মোচড় পড়ে না, চলতে চলতে মালঞ্চর আগে একজন বলল, বসিরহাট দিয়ে ঘুরেও বেঁড়াচাপা পৌঁছনো যাবে। বেশ বেশ, তাই যাব খন। মালঞ্চতে একটা লোক ছোট্ট একটা ভ্যানে মিষ্টি বেচছিলো গতবার, কী খেয়েছিলাম মনে নেই, লোকটাকে মনে আছে আর তার হাসিটা। তাকে পেলামনা আর, কোথায় চলে গেছে কে জানে। চা খেয়ে কাঠিভাজা আর গুড়কাঠি চিবোতে চিবোতে ফের চলা শুরু। চেনা চেনা নামগুলো দেখে ভারী আনন্দ হচ্ছে, এসব জায়গা নাকি খুব গোলমেলে। গোলমেলে তো বটেই, আমায় কেমন বেঁধে ফেলেছে, এই রাস্তাটা, কেমন ফিরে ফিরে আসতেই হয়। হঠাৎ করে বাঁ দিকে তাকিয়ে দেখি সবুজ আর হলুদের রঙে ক্যানভাস ঢেকে গেছে। 





একটা মলিন দোকানের সামনে লুঙিপরে উবু হয়ে বিড়িবাঁধছে একজন। তার দোকানের সামনেই থামা গেল। পায়ে পায়ে জমির ধারে এগিয়ে যাই, রঙের সমারোহ তো চলতে চলতেই দেখেছিলাম, এখন নাকে এলো ভুলে যাওয়া কোন ছেলেবেলার ঘ্রান। সর্ষেফুলের গন্ধ, মাটির গন্ধ। আহাহা। বুক ভরে শ্বাস টানি, মাটির এই গন্ধটা বুকে যেতেই যে শান্তিটা হল, আমি ঠিক বোঝাতে পারব না। একটা বউ আসছে একটা মা ছাগল আর আর একটা মানুষ আর একটা ছাগলের ছানা নিয়ে। শান্ত দুপুর। দূরে রাস্তা দিয়ে সাইকেলে কেউ কেউ চলে যাচ্ছে। মনের মধ্যে অনেকটা আরাম পুরে নিয়ে ফের চলা শুরু। এবার ঘড়ির দিকে চোখ পড়ল, তিনটে দশ, নাহ আজ আর চন্দ্রকেতু গড় যাওয়া যাবে না। যদিও একজন বলেছে ভেবিয়া শ্মশানের ওখান থেকে শর্টকাট আছে একটা, তাও থাক, বরং নদীর দেখে আসি একটু। সুতরাং আবার সেই টাকি।

টাকি পৌঁছে হাত কামড়াচ্ছি। কেন এলাম!  পিকনিক মাইক, থিকথিকে ভীড়। কোনোরকমে পার্কিং এরিয়া থেকে বেরিয়েই হনহন করে হাঁটছি যতটা সম্ভব এই ভীড় পার হওয়া যায়। পিকনিক মানেই মাইক আর বক্স মাস্ট না? কেউ কারো কথা শুনতে পাচ্ছেনা, কোনো দল মদ খেয়ে টাল, কেউ বেলা পৌনে চারটের সময় বেশীরভাগ জায়গায় খেতে বসেছে সবে। আমি গেঁয়ো কিনা, আমার পিকনিক মানে, দল বেঁধে রান্না করে মাংস ভাত খাওয়া। সে সব মনে হয় এখন চলে না, তাছাড়া মাংস এমন কিছু মহার্ঘ্য না আজকাল, আরো আইটেম তো চাইই। হনহন করে মেন জেটি পেরিয়ে যাই। আরো অনেকটা হাঁটলে আমি জানি একটা মাচা পড়বে, সেখানে বসে থাকব না হয় খানিক। কিন্তু এত আওয়াজ আর লোক, উহ কী ভুলটাই না করলাম। চলতে চলতে একজন ডাক দেয়, হাত নৌকায় চড়বে? হাত নৌকায় আমার বরাবরের টান, তাছাড়া ভুটভুটিতে এত আমোদপ্রেমী মানুষের ভীড় আমার সইবে না। সুতরাং মিঠুনের (নামটা পরে জেনেছি) নৌকায় আধঘন্টার কড়ারে ওঠা গেল। বাপ ছেলে দুজন দুদিকে বসল, আমি মাঝে। আসলে মাছ ধরা নৌকা, শীতে মাছ মেলেনা তেমন তখন লোক নিয়ে ঘুরিয়ে আনে। নৌকা চলরে শুরু হতেই আওয়াজের দাপট কমে আসে। মিঠে রোদে শান্তি লাগে বড়। বাংলাদেশের বাঁধ ব্যবস্থা থেকে, মিঠুনের পারিবারিক খবর সব রকম গল্প হয় ইছামতীর বুকে। কোলকাতা মিঠুনের বাবার ভালো লাগেনা, অসুখের জন্যে থাকতে হয়েছিল বটে। আমায় বর্ষায় গেলে টাটাকা ইলিশ খাওয়াবে, হোটেলে ওঠারও দরকার নেই ওর ঘরেই সব  ব্যবস্থা হয়ে যাবে আমার। এত ভালোবাসা আমি পাই প্রতিবার ইছামতীর তীরে আমার ঝোলা ভরে যায়।আমার অপটু হাতের দাঁড় দিয়ে মিঠুন হাসে, আমার নাগরিক স্বার্থপর বলেনা ওর বোনেদের শ্বশুরবাড়ির দিকে গেলে আমার বাড়ি যেন যায়। মাটির সাথে থাকা এই মানুষগুলো আরেকটু বেঁচে থাক, ভালোবাসার বড় অভাব, বড় বেশীভিতর থেকে খালি হয়ে গেছি, পরের বার যেন ওই রকম করেই আমিও ডাক দিয়ে যেতে পারি।

নদীর ধার ধরে আরো খানিক হেঁটে ফিরতি পথ ধরি, আকাশে তখন লালের নানান শেডের কেরামতি চলছে। সুয্যিদেবের গাল্ফেন হয়ত লিপস্টিক পছন্দ করতে গেছেন! মীনাখাঁ বাজারে থেমে চা খেতে গিয়ে  কি খেয়াল হল চাউমিনের অর্ডার দেওয়া গেল। বাপ্রে এ চাউমিন, না আমার ফ্রেন্ডলিস্ট! মানে সর্ষের তেলে ভাজা সে চাউমিনে বাদাম থেকে ধনেপাতা, জিরেগুঁড়ো থেকে ভিনিগার কী নেই!! সভয়ে চেয়ে দেখি, পাশের ছেলেটা কাগজের উপর ভেজিটেবল চপ নিয়ে তাতে আধ হাতা কুমড়োর সস, সোয়াশ কাসুন্দি, পাঁচ বিঘে জমির শশা, গাজর সব উপুর করে দিয়েছে। নিজের প্লেটটা তাড়াতাড়ি আড়াল দিয়ে হামহাম করে খেয়ে নিলাম। কী দরকার বাবা, আমার প্লেটের দিকে কেমন করে যেন তাকাচ্ছিল, হয়ত ক্ষেতের লাউ টাউও কিছু আছে দিতে চায়! 

ভেবেছিলাম চাঁদের আলো মেখে ফিরব। কিন্তু চাঁদ উঠলো যতক্ষনে আমি কোলকাতার আলোজ্বলা রাস্তায়। চাঁদটা যেন চোখ মেরে বলছে,  অতই সোজা নাকি হে, এক যাত্রায় সব পেয়ে যাবে..."আমায় নিয়ে ঘুরতে হলে আবার বেরোতে হবে,  সব কিছু পেয়ে গেলে বাঁচতে ইচ্ছে করবে নাকি? পরেরবারের জন্যে খানিক বাকি রইল না হয়।তদ্দিন যা পেলে আজ, তা নিয়ে উটের কুঁজ বানিয়ে নাও, তেষ্টায় কাজে দেবে।"

No comments:

Post a Comment