বত্রিশ কোটি বছর ধরে যার জীবন আবর্তিত হচ্ছে, তার আবির্ভাব আলাদা করে আবির্ভাব দিবস উদযাপন এর প্রয়োজন নেই এ কথা তো আর আমার শিষ্য শিষ্যাদের বুঝিয়ে উঠতে পারা যায় না। তাই সকাল দুপুর নানান ভাবে নানান উপাচারে ভোগ গ্রহন করতেই হয়।
অফিসে, বিকেলবেলা বাচ্ছা শিষ্য গুলো টেনে নিয়ে চলে, আরে চলো না দাদা একদিনই তো। তাদের ইচ্ছে ছিল প্রিন্সেপঘাট। নৌকায় বসে নিজের হাতে সেজে মহাপ্রভুকে নিবেদন করবে, জল টল খাওয়া হবে। তা মহাপ্রভু নিজের বাহন নিজেই চালনা করেন বলে রাজী হলেননা কিছুতেই।
শেষে কচি শিষ্যদের মলিন মুখের দিকে তাকিয়ে বললেন, চল তবে কিন্তু প্রিন্সেপ ঘাট না, ভেড়ি ঘাট! এক ওস্তাদ শিষ্য আছে, সে সব জানে কোন কোনে মহারাজের নিবেদনের জিনিস মিলবে। এদিকে মহারাজ তো এমনি একা একা ঘুরে এসব জায়গার সব জানে, কোথায় পার্থেনিয়ামের ঝাড় আছে, কোথায় কালীর মন্দির, কোনখানে বাড়ি, কোনখানে বসার জায়গা সব জানেন। মহারাজের লীলা আর এরা সব জানবে কী করে! বলছে দাদা তুমি এসব জায়গার খোঁজ পেলে কি করে!
পাশেই কালীমন্দির। অন্ধকার থেকে এক দুটো ইঁদুরের লাফানোর আওয়াজ ছাড়া আর তেমন আওয়াজ নেই। দুই শিষ্য হাবিজাবি বীজ ফেলে মসৃন করছে একজন পাহারা দিচ্ছে আরেকজন মহারাজের মাথায় আরাম করে দিচ্ছে একটু। এমন সময়, কে যেন এলো, সকলে সচকিত। ওস্তাদ শিষ্য আশ্বস্ত করলো, আরে কিচ্ছু হবেনা, আমি এসব ঢের দেখেছি। প্রভু আপনি নিশ্চিন্ত থাকুন! প্রভু অল্প হাসে, যে আসে তার দিকে তাকিয়ে বলে কী ব্যপার। সে ওই মন্দিরের পুরোহিত, "প্রভু এক দুই টান...."।
এইসব দ্রব্য লোকে শেয়ার করতেই ভালোবাসে। তাই কিছু সময় পর দেখা যায় সকলেই প্রসাদ পাচ্ছে। শিষ্যরা অবাক, 'প্রভু আপনার সত্যিই কিচ্ছু হল না!! " এসব সামান্য নেশায় মহারাজের সত্যিই কিচ্ছু হয়না। মহারাজের তো নেশা পার্থিব জিনিসে নেই! এসব কথা বোঝার সময় তাদের এখনো হয়নি। রাস পূর্ণিমার চাঁদ একটু ক্ষয়েছে কিন্তু তাতে তার রূপের খুব ক্ষতি হয়নি। ভেড়ির জলে চাঁদের সেই রূপ দেখে যে মাতাল হয় তার নেশার মাপকাঠি এরা বুঝবে কি করে। তারা বুঝতেই পারেনা, মহারাজ কেন ভেড়িতে আরো থাকতে চায়, তাদের প্রাণে ভয়, তারা শহরের আলোয় ফিরতে চায়।
অরসিক থাকা মানেই এসব জায়গা ভীড়। তাই মহারাজ সদলবলে শহরের আসবাগারে যান। খাদ্য পানীয়তে মজে যায় শিষ্যরা, মহারাজের এসবে আসক্তি নেই, তাঁর তফাতে বসে শিষ্যদের হুল্লোড় দেখতেই আনন্দ। ভালোবেসে বাচ্ছাগুলো কেক আনে, বত্রিশ লক্ষ কোটি বৎসর এর বৃদ্ধ কেক কাটেন হাসিমুখে। বাড়ি ফিরে দেখেন সংসারাশ্রমে তাঁর মা হাঁটুর ব্যথা উপেক্ষা করে, চালের রুটি বানিয়েছে।পরের দিন তাঁর রান্নার দিদি রাগারাগি করে, কেন আগের দিন পাঁচ ভাজার কথা বলা হলনা, অন্যদিন হয় এত কিছু যেখানে স্রেফ মাংস কেন হবে, ভাইয়ের জন্মদিনে কি আর সে আপত্তি করতো বেশী রান্নায় ইত্যাদি...
মাতাশ্রী পরের দিন ডিউ কেকটা বানালেন। মহারাজ এত ভালোবাসাতেও টলেননা, সামান্য ধোঁয়ায় তাঁর কী হবে!
অফিসে, বিকেলবেলা বাচ্ছা শিষ্য গুলো টেনে নিয়ে চলে, আরে চলো না দাদা একদিনই তো। তাদের ইচ্ছে ছিল প্রিন্সেপঘাট। নৌকায় বসে নিজের হাতে সেজে মহাপ্রভুকে নিবেদন করবে, জল টল খাওয়া হবে। তা মহাপ্রভু নিজের বাহন নিজেই চালনা করেন বলে রাজী হলেননা কিছুতেই।
শেষে কচি শিষ্যদের মলিন মুখের দিকে তাকিয়ে বললেন, চল তবে কিন্তু প্রিন্সেপ ঘাট না, ভেড়ি ঘাট! এক ওস্তাদ শিষ্য আছে, সে সব জানে কোন কোনে মহারাজের নিবেদনের জিনিস মিলবে। এদিকে মহারাজ তো এমনি একা একা ঘুরে এসব জায়গার সব জানে, কোথায় পার্থেনিয়ামের ঝাড় আছে, কোথায় কালীর মন্দির, কোনখানে বাড়ি, কোনখানে বসার জায়গা সব জানেন। মহারাজের লীলা আর এরা সব জানবে কী করে! বলছে দাদা তুমি এসব জায়গার খোঁজ পেলে কি করে!
পাশেই কালীমন্দির। অন্ধকার থেকে এক দুটো ইঁদুরের লাফানোর আওয়াজ ছাড়া আর তেমন আওয়াজ নেই। দুই শিষ্য হাবিজাবি বীজ ফেলে মসৃন করছে একজন পাহারা দিচ্ছে আরেকজন মহারাজের মাথায় আরাম করে দিচ্ছে একটু। এমন সময়, কে যেন এলো, সকলে সচকিত। ওস্তাদ শিষ্য আশ্বস্ত করলো, আরে কিচ্ছু হবেনা, আমি এসব ঢের দেখেছি। প্রভু আপনি নিশ্চিন্ত থাকুন! প্রভু অল্প হাসে, যে আসে তার দিকে তাকিয়ে বলে কী ব্যপার। সে ওই মন্দিরের পুরোহিত, "প্রভু এক দুই টান...."।
এইসব দ্রব্য লোকে শেয়ার করতেই ভালোবাসে। তাই কিছু সময় পর দেখা যায় সকলেই প্রসাদ পাচ্ছে। শিষ্যরা অবাক, 'প্রভু আপনার সত্যিই কিচ্ছু হল না!! " এসব সামান্য নেশায় মহারাজের সত্যিই কিচ্ছু হয়না। মহারাজের তো নেশা পার্থিব জিনিসে নেই! এসব কথা বোঝার সময় তাদের এখনো হয়নি। রাস পূর্ণিমার চাঁদ একটু ক্ষয়েছে কিন্তু তাতে তার রূপের খুব ক্ষতি হয়নি। ভেড়ির জলে চাঁদের সেই রূপ দেখে যে মাতাল হয় তার নেশার মাপকাঠি এরা বুঝবে কি করে। তারা বুঝতেই পারেনা, মহারাজ কেন ভেড়িতে আরো থাকতে চায়, তাদের প্রাণে ভয়, তারা শহরের আলোয় ফিরতে চায়।
অরসিক থাকা মানেই এসব জায়গা ভীড়। তাই মহারাজ সদলবলে শহরের আসবাগারে যান। খাদ্য পানীয়তে মজে যায় শিষ্যরা, মহারাজের এসবে আসক্তি নেই, তাঁর তফাতে বসে শিষ্যদের হুল্লোড় দেখতেই আনন্দ। ভালোবেসে বাচ্ছাগুলো কেক আনে, বত্রিশ লক্ষ কোটি বৎসর এর বৃদ্ধ কেক কাটেন হাসিমুখে। বাড়ি ফিরে দেখেন সংসারাশ্রমে তাঁর মা হাঁটুর ব্যথা উপেক্ষা করে, চালের রুটি বানিয়েছে।পরের দিন তাঁর রান্নার দিদি রাগারাগি করে, কেন আগের দিন পাঁচ ভাজার কথা বলা হলনা, অন্যদিন হয় এত কিছু যেখানে স্রেফ মাংস কেন হবে, ভাইয়ের জন্মদিনে কি আর সে আপত্তি করতো বেশী রান্নায় ইত্যাদি...
মাতাশ্রী পরের দিন ডিউ কেকটা বানালেন। মহারাজ এত ভালোবাসাতেও টলেননা, সামান্য ধোঁয়ায় তাঁর কী হবে!
হ্যাপি বার্থডে!!!!! অনেক অনেক অভিনন্দন রইল, প্রদীপ্ত। খুব ভালো কাটুক এ বছর, সামনের বছর, সারা জীবন।
ReplyDeleteথ্যাংক ইউ কুন্তলাদি 😊
Delete