প্রত্যেকবার পুজো আসে আর আমার সেই ছেলেটার কথা মনে পড়ে যায়। ধুতি পরে হনহন করে চলেছে, একটু আগে ঝামেলা করে এসেছে ছেলের দলের সাথে, একটু পরে পদ্মদিদির কাছে ধরা পড়বে, পালিয়ে গিয়ে সারাদিন অভুক্ত থেকে হঠাৎ করে মিলবে পংক্তিভোজন কিংবা যাত্রাদেখা।
হুট করে কাকার হাতে ধরা পড়ে হতাশায় ডুবে গিয়ে সে যখন গরম কাঁচাগোল্লা চিবোয় মসমস শব্দে আমার মন খারাপ হতে থাকে। সেই ছেলেটার সাথেই আমার শিশির ধোয়া শরৎকালের ভোর দেখা হয় এই বৃষ্টিতে মাখামাখি একটাও গাছ, মাঠ, ঘাস না থাকা শহরে।
সেদিন একটা কাজে ব্যারাকপুর যাচ্ছিলাম। ডানলপ পার হবার অনেক্ষন পর দুপাশের চেহারা বদলে যায় অল্প অল্প করে। চোখ পড়ে যায় একটা ভাঙা বাড়ির বটগাছে। পাঁচিল ঘেরা অনেকটা জায়গা নিয়ে ছিল বাড়িটা। এখন আর কেউ থাকেনা, আর কদিন পরেই তিনদিক খোলা ফ্ল্যাটের বিজ্ঞাপন উঠে যাবে। কারা থাকতো এ বাড়িতে? সেই সর্দার ছেলেটার মত পলানে ছেলে ছিল নাকি? বাড়িদের মন খারাপ হয়? এওরকম একটা বাড়ি দেখেছিলাম, গড়িয়াহাটের কাছে। ঝকঝকে সব বাড়ির মাঝে, বন্ধ হয়ে ছাদ ঝুলে যাওয়া একটা বাড়ি। এক পা এক পা করে ঢুকেছিলাম আমি, মাকড়সার জাল, পাতার স্তুপ পেরিয়ে। আবছা অন্ধকারে দেখা যায় দেওয়ালের একটা জায়গায় আলমারী জাতীয় কিছু ছিল বলে কেমিন ফ্যাকাসে, দু চারটে বাজে অদরকারী জিনিস....এ বাড়িতে দুর্গাঠাকুর আসবে না।
সেই সর্দারের গল্প দিয়ে শুরু করেছিলাম, সেই ছেলেটা তো ঘরে ফিরতেই চায়নি, তবু পুজোর সময় সেই ভুল করে ফিরে যাওয়া ছেলেটার গল্পই মনে পড়ে। আর এই বাড়িটা দেখেও মন কেমন করে, ভুল করে বা ঠিক করে ছেড়ে গেছে সবাই। প্যারালাল ওয়ার্ল্ডে বেশ ভোম্বল সর্দার পুজোয় ধরা পড়ে যাবে না, আর এই ভাঙা বাড়ি গুলো ছেলে মেয়ে সব্বাই ফিরে আসবে, হই হই করে আড্ডা হবে, ছুটোছুটি করে খেলতে গিয়ে ছোটদের মধ্যে একজন ব্যথা পাবে,কান্নাকাটি হুলুস্থুল।
প্যারালাল ওয়ার্ল্ড পুজোয় অন্তত সবার পুজো ইচ্ছেপূরনে কাটুক।
হুট করে কাকার হাতে ধরা পড়ে হতাশায় ডুবে গিয়ে সে যখন গরম কাঁচাগোল্লা চিবোয় মসমস শব্দে আমার মন খারাপ হতে থাকে। সেই ছেলেটার সাথেই আমার শিশির ধোয়া শরৎকালের ভোর দেখা হয় এই বৃষ্টিতে মাখামাখি একটাও গাছ, মাঠ, ঘাস না থাকা শহরে।
সেদিন একটা কাজে ব্যারাকপুর যাচ্ছিলাম। ডানলপ পার হবার অনেক্ষন পর দুপাশের চেহারা বদলে যায় অল্প অল্প করে। চোখ পড়ে যায় একটা ভাঙা বাড়ির বটগাছে। পাঁচিল ঘেরা অনেকটা জায়গা নিয়ে ছিল বাড়িটা। এখন আর কেউ থাকেনা, আর কদিন পরেই তিনদিক খোলা ফ্ল্যাটের বিজ্ঞাপন উঠে যাবে। কারা থাকতো এ বাড়িতে? সেই সর্দার ছেলেটার মত পলানে ছেলে ছিল নাকি? বাড়িদের মন খারাপ হয়? এওরকম একটা বাড়ি দেখেছিলাম, গড়িয়াহাটের কাছে। ঝকঝকে সব বাড়ির মাঝে, বন্ধ হয়ে ছাদ ঝুলে যাওয়া একটা বাড়ি। এক পা এক পা করে ঢুকেছিলাম আমি, মাকড়সার জাল, পাতার স্তুপ পেরিয়ে। আবছা অন্ধকারে দেখা যায় দেওয়ালের একটা জায়গায় আলমারী জাতীয় কিছু ছিল বলে কেমিন ফ্যাকাসে, দু চারটে বাজে অদরকারী জিনিস....এ বাড়িতে দুর্গাঠাকুর আসবে না।
সেই সর্দারের গল্প দিয়ে শুরু করেছিলাম, সেই ছেলেটা তো ঘরে ফিরতেই চায়নি, তবু পুজোর সময় সেই ভুল করে ফিরে যাওয়া ছেলেটার গল্পই মনে পড়ে। আর এই বাড়িটা দেখেও মন কেমন করে, ভুল করে বা ঠিক করে ছেড়ে গেছে সবাই। প্যারালাল ওয়ার্ল্ডে বেশ ভোম্বল সর্দার পুজোয় ধরা পড়ে যাবে না, আর এই ভাঙা বাড়ি গুলো ছেলে মেয়ে সব্বাই ফিরে আসবে, হই হই করে আড্ডা হবে, ছুটোছুটি করে খেলতে গিয়ে ছোটদের মধ্যে একজন ব্যথা পাবে,কান্নাকাটি হুলুস্থুল।
প্যারালাল ওয়ার্ল্ড পুজোয় অন্তত সবার পুজো ইচ্ছেপূরনে কাটুক।
No comments:
Post a Comment