Tuesday, June 7, 2016

একলা পথে ...(বাকিটুকু)

শুরুতেই মাপ চাইছি , অনেকদিন পর আবার পরের পর্ব লিখছি তাই। বেশি বাকি নেই , আগেই শেষ করা উচিত ছিলো।

******************************************************************

 ...আবার একটা মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে চলে এলাম। নদীর ঘাটে গিয়ে দেখি তখনো লোক হয়নি তাই এখন ভটভটি ছাড়বে। না নদীর ধরে ঘটে একা বসে রইলাম। আমার তাড়া নেই।  একজন দুজন করে লোক হচ্ছিলো। সব ৪-৬ জনের দোল. আমি একা তাই ভরসা আছে কথাও না কথাও ঢুকে যাব।  এক দলের এক মাঝবয়েসী লোক , বেশ একটা নেতা নেতা ভাব আছে,  দেখি মাঝির সাথে দরাদরি করতে শুরু করলো। মাথা পিছু ১৫ টাকার পরিবর্তে ২৫ টাকা করে দিলে সে আমাদের নিয়ে যাবে।নেতামষায় আর তার সঙ্গী ভদ্রলোক দুজনেই খানিক নেশা করেছেন , তবে নেতা মশাই এর অবস্থা কিঞ্চিত অস্থিতিমূলক।ভটভটিতে এক মহিলাও ছিলেন , আলগা চটক আছে। তাকে দেখে তো নেতা মশাই এর নেশা এবং অস্তির অবস্থা বেড়ে গেলো। হটাৎ লম্বা হয়ে নৌকোয় শুয়ে পড়লেন। সঙ্গী বললেন " কিরে কি হলো? তুই ঘুমোনোর জন্য এলি নাকি " ?
-তুই থাম।  বরং একটা গান কর।
সঙ্গী হাঁ। নেতা মশাই আবার বললেন , " জানিস না রাজেশ খান্না যখন শুয়ে ছিলো শর্মিলা ঠাকুর গান গাইছিলো '!
কে যে রাজেশ খান্না কে যে সর্মিলা ঠাকুর পুরো ঘেঁটে ঘ।  সঙ্গীর অবস্থা করুন। মেয়েটি মুচকি হাসলো। নৌকো এগিয়ে চলেছে।ওদিকটা বাংলাদেশ এদিকটা ভারত। আমার বাংলাদেশ নিয়ে তেমন কোনো টান বা  নস্টালজিয়া নেই , তবু অদ্ভূত একটা মনের ভাব হলো।  খানিক দূরে তিন নদীর মোহনা। জলঢাকা , ইছামতি আর একটার কি নাম ছিল ভুলে গেছি। খানিক নদীর উপর ঘুরে ফেরা। চা খেতে সেইচা এর দোকানেই আবার।  খিদে পাচ্ছিল , কিন্তু কোনো খাবারই মন:পূত  হচ্ছিলনা। আরো খানিকক্ষণ থাকতে ইচ্ছে করছে।  ওদিকে মেঘ করেছে  খুব।  থাকি আর একটু? বৃষ্টি হলে ভিজব না হয়। এই করে আরো খানিকক্ষণ কাটিয়ে বাইক স্টার্ট করার পর পরই তিনি এলেন। আকাশ ভাঙ্গা না হলে বেশ ঝমঝমিয়ে। তীরের ফলার মত বিধছে গায়ে।  তবু দাঁড়াতে ইচ্ছে করছে না।  রাস্তায় লোক কমে গেছে। গাছগুলো মাথা নেড়ে নেড়ে এনজয় করছে দিব্বি , ব্যাটা থাকতোরা এক জায়গায় দাঁড়িয়ে। হু হু বাওয়া , আম্নুষ হওয়ার মজা মন্দ নাকি। দেখ দেখ কেমন সাঁই সাঁই  করে চলেছি আর  বিভিন্ন জায়গার বৃষ্টি দেখতে দেখতে ভিজতে ভিজতে যাচ্ছি।
কিঞ্চিত পরেই অবিশ্যি এ সুখ আর ছিলো না , বৃষ্টির দাপট বাড়ল , আমার পক্ষিরাজ থামলো।  গাড়ি থামিয়ে আপাদমস্তক ভেজা অবস্থায় এক কা এর দোকানে চা চাইলাম। লোকটা কিরম সন্দেহ জনক দৃষ্টিতে দেখছিল , যেন এরকম ভিজে কেউ যায়না।  যত্তসব জ্বালাধরানো ফোস্কার দল।
উহ বেজায় ঠান্ডা রে বাবা।  কাঁপতে কাঁপতে  রওনা দিলাম।  

No comments:

Post a Comment